শাবনূর আপাকে সেদিন মনের কথাটা বলতে পারিনি...

বিনোদন দুনিয়ার তারকাদেরও পছন্দের তারকা থাকে, প্রিয় তারকা থাকে। সংগীত তারকা ইমরান মাহমুদুলের পছন্দের তারকা, প্রিয় তারকা চিত্রনায়িকা শাবনূর। ছোটবেলায় শাবনূরের প্রেমে পড়েছেন এই তরুণ গায়ক। অনেক দিন হলো সিনেমা ছেড়েছেন শাবনূর। নতুন সিনেমায় পর্দায় তাঁকে আর দেখা যায় না। তাই বলে কি প্রেম কমে যাবে ভক্তের? না, ভক্ত হিসেবে শাবনূরের প্রতি এখনো একটুও ভালোবাসা কমেনি ইমরানের।

শুক্রবার স্মৃতিচারণা করে শাবনূরের সঙ্গে তোলা একটি ছবি পোস্ট করে নিজের ফেসবুক পেজে প্রিয় নায়িকাকে নিয়ে স্ট্যাটাস দিয়েছেন ইমরান। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘ছোটবেলা থেকে প্রচুর সিনেমা দেখার পোকা ছিলাম আমি। বহু ছবি সিনেমা হলে গিয়ে দেখা আমার। আমি শাবনূর আপুর কি পরিমাণ ভক্ত ছিলাম, তা বলে বোঝানো যাবে না।’

প্রিয় তারকাকে নিয়ে লেখা প্রসঙ্গে ইমরান বলেন, ‘ফোনের গ্যালারি ঘাঁটতে ঘাঁটতে হঠাৎ এই ছবিটি সামনে এল। ইচ্ছা হলো ফেসবুকে তাঁর সঙ্গে স্মৃতি তুলে রাখি। কারণ, ছোটবেলা থেকেই এই নায়িকার একধরনের অন্ধ ভক্ত আমি। এখনো আমার একমাত্র পছন্দের নায়িকা তিনিই। বলতে পারেন, তাঁর একজন ক্রেজি ভক্ত আমি। তাঁর টানেই সিনেমা হলে ছুটতাম। এখনো মিস করি তাঁকে।’

ইমরান জানান, ২০১৮ সালের কোনো একদিন জাজ মাল্টিমিডিয়ার আয়োজনে ‘পোড়ামন ২’ ছবির সাকসেস পার্টিতে প্রথম শাবনূরের সঙ্গে তাঁর দেখা। সেই পার্টিতে অনেক তারকাই উপস্থিত ছিলেন সেদিন। যে মানুষটিকে সারা জীবন পর্দায় দেখার জন্য ছুটে গেছেন হলে, টেলিভিশন বা ভিসিআরের পর্দার সামনে কল্পনারাজ্যের স্বপ্ন এঁকে বসেছেন, সেই তারকা দিব্যি চোখের সামনে!

ইমরান বলেন, ‘সেদিনই প্রথম দেখা শাবনূর আপার সঙ্গে। ছবি তোলার লোভ সামলাতে পারিনি। শাবনূর আপাকে সেদিন মনের কথাটা বলতে পারিনি। তাঁকে জানাতে পারিনি আমার পছন্দের কথাটা। হয়তো তিনি জানেনও না আমি তাঁর এত বড় ভক্ত। সেদিনই প্রথম দেখা, সেদিনই শেষ। এরপর আর দেখা হয়নি তাঁর সঙ্গে ।’

স্ট্যাটাসের আরেক অংশে ইমরান লিখেছেন, ‘শাবনূরের অনেক ছবি সিনেমা হলে গিয়ে দেখেছি। তার মধ্যে “বিচার হবে”, “বিয়ের ফুল”, “নারীর মন”, “ফুল নেব না অশ্রু নেব”, “মাটির ফুল”, “আনন্দ অশ্রু”, “তোমাকে চাই” “চাওয়া থেকে পাওয়া”, “মহামিলন”, “জীবন সংসার”সহ আরও অনেক সিনেমা আমার হলে গিয়ে দেখা।’
ইমরান জানান, বয়স তখন ৯। হলে গিয়ে শাবনূর অভিনীত তাঁর দেখা প্রথম ছবি “বিচার হবে”। দ্বিতীয়বার ছবিটি মুক্তি পায়। চাচার সঙ্গে ঢাকার ‘মতি মহল’ সিনেমা হলে সিনেমাটি দেখেছিলেন তিনি। বলেন, ‘বুদ্ধি হওয়ার পর থেকেই শাবনূর অভিনীত সিনেমা দেখে আসছি। এরপর যত ছবিতেই তিনি অভিনয় করেছেন, আমার মনে হয় সবই দেখেছি। সিনেমা হলে, না হয় টেলিভিশন, না হয় ভিসিআরে। সবশেষ দেখা “আমার স্বপ্ন তুমি।”’

শাবনূরের প্রতি এই এত ভালো লাগা, ভালোবাসার কারণ বলতে গিয়ে ইমরান বলেন, ‘সিনেমা হলে বসে যখন তাঁর অভিনয় দেখতাম, তাঁর চরিত্রগুলো এমনই থাকত, মনে হতো শাবনূর নায়িকা না, পাশের বাড়ির মেয়ে। এত মিষ্টি, এত ন্যাচারাল একটা মেয়ে, নিজের কাছে আপন মনে হতো। মনে হতো বাড়ি থেকে বের হলেই শাবনূরের সঙ্গে দেখা হবে।’

তাঁর বক্তব্য, ‘আমার কাছে মনে হয়, সর্বশেষ ’৯০–এর পর দীর্ঘ সময় যে নায়িকার নামে হলে মুভি চলত, সেটা শাবনূরই। এরপর আর এখন পর্যন্ত কোনো নায়িকাকে এভাবে আলোড়ন তুলতে দেখা যায়নি।’