বিয়ে করছেন অমিতাভ রেজা, পাত্রী কে

অমিতাভ রেজা ও মুশফিকা মাসুদছবি: নির্মাতার ফেসবুক

বেশ কয়েক মাস ধরে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে আছেন নির্মাতা অমিতাভ রেজা। এ বছরের মার্চে সেখান থেকে ‘সিনেমা পাঠশালা’ নামের একটি ভার্চ্যুয়াল স্কুল চালুর খবরও দেন। আজ শুক্রবার জানা গেল, এই নির্মাতা বিয়ে করতে যাচ্ছেন। নিউইয়র্ক স্থানীয় সময় কাল সকালে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সারবেন বর ও কনে। পাত্রীর নাম মুশফিকা মাসুদ, পেশায় তিনি চিত্রনাট্যকার ও পরিচালক। অমিতাভ ও মুশফিকা দুজনেই প্রথম আলোকে তাঁদের বিয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

অমিতাভ রেজা ও মুশফিকা মাসুদ
ছবি: নির্মাতার ফেসবুক

দুজনের একটি স্থিরচিত্র ফেসবুকে পোস্ট করে অমিতাভ রেজা লিখেছেন, ‘কখনো সহযাত্রী, কখনো সহযোদ্ধা , কিন্তু ভাবিনি কখনো আমার থেকে ফাজিল কারও সাথে জীবন কাটাব। আহারে জীবন …।’ অমিতাভ রেজার সেই পোস্টে বিনোদন অঙ্গনের কেউ কেউ মন্তব্য করে শুভকামনা জানিয়েছেন।
অমিতাম রেজা সম্পর্কে মুশফিকা মাসুদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘অমিতাভ খুবই চমৎকার একজন মানুষ। অসাধারণ মেধাবী। দুর্দান্ত সিনেমা পরিচালক। আমরা দুজন একই ভাষায় কথা বলি। সত্যি কথা বলতে, ও যেভাবে ভালোবেসেছে, কোনো বাঙালি এভাবে ভালোবাসতে পারে, তা সত্যিই অবিশ্বাস্য। ওর ভালোবাসাই আমাকে ভালোবাসা শিখিয়েছে।’ এর আগে মুশফিকা তাঁর ফেসবুক পোস্টে অমিতাভকে নিয়ে লিখেছেন, ‘আমার আত্মার গভীরে একটাই মানুষ বিরাজমান... আর সে হলো তুমি জান।’ দুজনের একটি স্থিরচিত্র পোস্ট করে মুশফিকা লিখেছেন, ‘একসঙ্গে আমরা বিস্ময়করভাবে শক্তিশালী।’ সেই স্থিরচিত্রের মন্তব্যে অমিতাভ রেজা লিখেছেন, ‘তুমি আমার সৌন্দর্য, তুমি আমার জীবন… আমার চার্লি চ্যাপলিন।’ পাল্টা মন্তব্যে মুশফিকা লিখেছেন, ‘এবং তুমি আমার ওং কার-ওয়াই।’

আরও পড়ুন

অমিতাভ রেজার স্ত্রী মুশফিকা মাসুদ কে? খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, যুক্তরাজ্যের লিভারপুল জন ম্যুরস ইউনিভার্সিটি থেকে আইন বিষয়ে স্নাতক করেছেন। এরপর তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের ফেয়ারস্টেইন গ্র্যাজুয়েট স্কুল অব সিনেমা থেকে পোস্ট প্রোডাকশন নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। তারপর ব্রুকলিক কলেজ থেকে ফিল্ম প্রোডাকশন বিষয়েও পড়াশোনা করেছেন। তাঁর বানানো ‘দ্য অ্যানিভার্সারি’ নামের একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র যুক্তরাষ্ট্রের একটি উৎসবে ১০ হাজার ডলার পুরস্কার জিতে নেয়।
নির্মাতা অমিতাভ রেজার এটি তৃতীয় বিয়ে। এর আগে তিনি অভিনয়শিল্পী নওরীন হাসান খান জেনী ও মিম রশিদের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন। একটা সময় এসে তাঁদের দুজনের সঙ্গে দাম্পত্যজীবনের ইতি ঘটে।