সিডনিতে শ্রোতার ভালোবাসায় ভাসলো অর্ণব-সুনিধির ‘সন্ধ্যাতারা’

মঞ্চে ‘সন্ধ্যাতারা’ হয়ে আলো ছড়ালেন শায়ান চৌধুরী অর্ণব ও সুনিধি নায়েকআকাশ দে

সিডনির রাতের আকাশে তখন জ্বলজ্বল করছে অগুনতি তারা। আর মঞ্চে সুরের আকাশে ‘সন্ধ্যাতারা’ হয়ে আলো ছড়ালেন শায়ান চৌধুরী অর্ণব ও সুনিধি নায়েক। সম্প্রতি সিডনির ব্যাংকসটাউন স্পোর্টস ক্লাবের থিয়েটার হলে অনুষ্ঠিত হলো কনসার্ট সন্ধ্যাতারা। পথ প্রোডাকশনসের আয়োজনে কোনো করপোরেট পৃষ্ঠপোষকতা বা ঝলমলে বিজ্ঞাপন ছিল না, ছিল কেবল দর্শক-শ্রোতাদের নিখাদ ভালোবাসা। আর সেই ভালোবাসার জোরেই কানায় কানায় পূর্ণ মিলনায়তনে জমে উঠেছিল এক মুগ্ধকর সুরের আসর।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই মঞ্চে আসে সিডনির স্থানীয় ব্যান্ড দ্য ক্রু। তাদের অনবদ্য পরিবেশনা দর্শকদের প্রস্তুত করে মূল আকর্ষণের জন্য। এরপর গিটার হাতে মঞ্চে ওঠেন অর্ণব।

এই আয়োজন ছিল ব্যতিক্রম
আকাশ দে

‘হোক কলরব’, ‘সে যে বসে আছে’, ‘আমায় ভাসাইলিরে আমায় ডুবাইলিরে’র মতো জনপ্রিয় গানে দর্শক মাতিয়ে তোলেন তিনি। ঠিক তখনই মঞ্চে আসেন তাঁর জীবন ও সুরসঙ্গী সুনিধি নায়েক। সুনিধির কণ্ঠে ‘সন্ধ্যাতারা’ গানের মিষ্টি সুর যেন ভিন্নমাত্রা যোগ করে। দুই শিল্পীর যুগলবন্দী পরিবেশনা মুহূর্তেই সিডনির মঞ্চে একাকার করে দেয় দুই বাংলাকে।
এই আয়োজন ছিল ব্যতিক্রমী। কোনো বড় প্রতিষ্ঠানের আর্থিক সহায়তা ছাড়াই কেবল দর্শকদের সমর্থনের ওপর নির্ভর করে এমন একটি সফল অনুষ্ঠান উপহার দেওয়া ছিল আয়োজকদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।

দর্শকদের সমর্থনের ওপর নির্ভর করে এমন একটি সফল অনুষ্ঠান উপহার দেওয়া ছিল আয়োজকদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ
প্রথম আলো

পথ প্রোডাকশনসের অন্যতম উদ্যোক্তা শাওন অরিজিৎ আবেগঘন কণ্ঠে বলেন, ‘আমাদের এ যাত্রা হয়তো ছোট ছিল, কিন্তু আপনাদের হৃদয়ে এর যে স্থান তৈরি হয়েছে, সেটিই আমাদের সবচেয়ে বড় পুরস্কার।’

কানায় কানায় পূর্ণ মিলনায়তনে জমে উঠেছিল আসর
প্রথম আলো

কনসার্টে উপস্থিত নিকাহ বাই প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার নাজিয়া মাহমুদ বলেন, ‘অনেক দিন পর এমন একটি অনুষ্ঠানে এলাম, যেখানে শুধু গানই ছিল মূল আকর্ষণ। অর্ণব আর সুনিধির গানগুলো যেন আমাদের সবার মনের কথা বলছিল। মনে হচ্ছিল, আমরা সিডনিতে নই, যেন নিজের দেশের উঠানে বসে গান শুনছি। যেমন ছিল অসাধারণ গান, তেমনই ছিল তাঁদের সাদাসিধে উপস্থাপন। আয়োজকদের ধন্যবাদ, এমন একটি সংগীতসন্ধ্যা উপহার দেওয়ার জন্য।’