দুঃসংবাদটা পাওয়ার পর কিছুই ভালো লাগছে না: সাবিনা ইয়াসমীন

সাবিনা ইয়াসমীন

সংগীতশিল্পী সাবিনা ইয়াসমীনের জন্মদিনে কোনো সাড়ম্বর নেই, দিনটিকে ঘিরে কোনো পরিকল্পনাও সাজাননি তিনি। জন্মদিনের সকালে সহকর্মী, গীতিকার, পরিচালক গাজী মাজহারুল আনোয়ারের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর থেকে স্তব্ধ হয়ে আছেন শিল্পী। কিছুতেই খবরটি বিশ্বাস করতে পারছেন না, দিন পনেরো আগেও তাঁর সঙ্গে দেখা হয়েছে! আড্ডা দিয়েছেন প্রাণ খুলে, হঠাৎ শুনলেন তিনি আর ‘নাই’।

সাবিনা ইয়াসমীন

শোকাহত সাবিনা ইয়াসমীন আজ দুপুরে প্রথম আলোর সঙ্গে আলাপকালে বললেন, ‘আমার মনের অবস্থা খুব খারাপ। দুঃসংবাদটা পাওয়ার পর কিছুই ভালো লাগছে না।’ ছয় দশকের দীর্ঘ ক্যারিয়ারে কুড়ি হাজারেরও বেশি গান লিখেছেন গাজী মাজহারুল আনোয়ার। এর মধ্যে ‘রংবাজ’ ছবির ‘সে যে কেন এলো না’, ‘মানসী কথা’র ‘এই মন তোমাকে দিলাম’সহ প্রায় আট হাজার গানে কণ্ঠ দিয়েছেন সাবিনা ইয়াসমীন।

গাজী মাজহারুল আনোয়ার

‘জয় বাংলা বাংলার জয়’, ‘একতারা তুই দেশের কথা বল রে এবার বল’, ‘একবার যেতে দে না আমার ছোট্ট সোনার গাঁয়’, ‘গানেরই খাতায় স্বরলিপি লিখে’সহ অসংখ্য গানের গীতিকার, চলচ্চিত্র পরিচালক ও প্রযোজক গাজী মাজহারুল আনোয়ার আজ রোববার সকালে মারা গেছেন।

সাবিনা ইয়াসমীনের জন্ম ১৯৫৪ সালের ৪ সেপ্টেম্বর, ঢাকায়। তাঁর পৈতৃক নিবাস সাতক্ষীরায়। বাবার চাকরি সূত্রে নারায়ণগঞ্জ, রাজশাহীসহ বেশ কয়েকটি শহরে তাঁর শৈশব কেটেছে। এ শিল্পীর বাবা লুতফর রহমান ও মা মৌলুদা খাতুন গানের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পাঁচ বোনের মধ্যে চারজন গান করেন; তাঁরা হলেন—ফরিদা ইয়াসমীন, ফওজিয়া খান, নীলুফার ইয়াসমীন ও সাবিনা ইয়াসমীন।


সংগীতে অবদানের জন্য ১৯৮৪ সালে একুশে পদক, ১৯৯৬ সালে স্বাধীনতা পুরস্কার ও ১৪ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন সাবিনা ইয়াসমীন।