প্রথমবার দেশের গানে বালাম
‘জয় বাংলা, বাংলার জয়’, ‘মোরা একটি ফুলকে বাঁচাব বলে যুদ্ধ করি’, ‘নোঙর তোলো তোলো’—এসব গান গাওয়ার সময় একধরনের শিহরণ অনুভব করতেন সংগীতশিল্পী বালাম। গানগুলো তাঁকে ফিরিয়ে নিয়ে যেত একাত্তরের দিনগুলোয়। মনে জাগিয়ে তুলত স্বাধীন দেশের প্রতি ভালোবাসার কথা। দেশপ্রেমের সেই জায়গা থেকেই বহুদিন ধরে ভাবছিলেন দেশের গান কণ্ঠে তুলে নেবেন। সেই ইচ্ছা এবার পূরণ হলো তাঁর।
দীর্ঘ তিন বছরের বিরতি শেষে ‘চুপচাপ চারদিকে’ গান দিয়ে ভালোবাসা দিবসে ফেরেন বালাম। তখনই পরিকল্পনা করেন, স্বাধীনতা দিবসে দেশাত্মবোধক গান গাইবেন। অবশেষে ২৬ মার্চ উপলক্ষে প্রকাশ পেয়েছে ‘জাগো বাংলাদেশ জাগো’ শিরোনামের গানটি। ইতিমধ্যে বালামের ভক্তরা গানটি নিয়ে তাঁদের ভালো লাগার কথাও জানিয়েছেন। বালাম বলেন, ‘এর আগে অনেকের সঙ্গে দেশের গান গেয়েছি। উদ্দীপ্ত হতাম। কখনোই নিজের একটি দেশাত্মবোধক গান করিনি। কিন্তু আমার মনে হতো, একটি দেশের গান করা উচিত।’
বালাম আরও বলেন, ‘এখনো দেখা যায়, সেসব গান আমাদের নাড়া দেয়, স্বাধীনতার পেছনের ৯ মাসের সংগ্রামের কথা মনে করিয়ে দেয়। সেই অনুভূতি থেকেই একবসায় গানটি লিখে শেষ করি।’
গানটি লেখার পর বালামের মনে হয়, ঠিক যেভাবে চেয়েছিলেন, সেভাবেই তিনি দেশের গানটি লিখতে ও সুর–সংগীত করতে পেরেছেন। পরে তাঁর টিমের সঙ্গে গানটি শেয়ার করেন। সবার পছন্দ হয়। একসঙ্গে কণ্ঠে তুলে নেন ‘জাগো বাংলাদেশ জাগো’।
এর আগে রোমান্টিক ও স্যাড ঘরানার গানে দেখা গেছে বালামকে। তবে সব ঘরানার গানই কমবেশি চর্চা করতেন।
এবার রক ধাঁচের মিউজিক দিয়ে ভক্তদের সামনে ভিন্ন আঙ্গিকে তুলে ধরেছেন ‘জাগো বাংলাদেশ’ গানটি। তিনি বলেন, ‘একটু ভিন্নভাবে গানটি করার চেষ্টা করেছি। আমি চেয়েছি গানের মধ্য দিয়ে তরুণদের উজ্জীবিত করতে। সে রকমই শক্তিমান কিছু এই গানে আছে, যা শুনলে তরুণেরা রোমাঞ্চিত হবেন। গানের কথায়ও সেসব শব্দ আছে।’
বালাম জানান, এখন থেকে তিনি নিয়মিত প্রতি উৎসবে ভক্তদের গান উপহার দেবেন। গানটি বালামের ইউটিউব চ্যানেলে মুক্তি পেয়েছে। বালামের এই টিমে ড্রামার হিসেবে ছিলেন রায়হান ফিরোজ, গিটারে রেজওয়ান ফিরোজ, বেজ গিটারে শিশির ও কি-বোর্ডে বাপ্পী।