ভালোবাসা দিবসেই ফিরবেন বব মার্লে

বব মার্লে। রয়টার্স ফাইল ছবি

বক্তারা বলেন, তৃতীয় বিশ্ব থেকে উঠে আসা প্রথম সুপারস্টার। জীবনের শেষনিশ্বাস অবধি গেয়েছেন খেটে খাওয়া মানুষের জয়গান। তিনি সংগীতশিল্পী বব মার্লে। আজ তাঁর জন্মদিন।

আরও পড়ুন

জ্যামাইকান এই সংগীতের তারকা দেশ-কালের সীমানা অতিক্রম করে আজও সমান প্রাসঙ্গিক। ১৯৪৫ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি ব্রিটিশ জ্যামাইকার নাইন মাইলের একটি বস্তিতে জন্মগ্রহণ করেন ষাট-সত্তরের দশকের নান্দনিক সব সুরের স্রষ্টা বব মার্লে। একাধারে কণ্ঠশিল্পী, গীতিকার, সুরকার, প্রযোজক, গিটারবাদক তিনি। ‘বাফেলো সোলজার’, ‘নো ওম্যান, নো ক্রাই’, ‘গেটআপ স্ট্যান্ডআপ’সহ অসংখ্য গান দিয়ে জয় করেছেন কোটি ভক্তের হৃদয়।

বব মার্লে জীবনভর ছিলেন মানবতার পক্ষে। তাঁর গানের মূল উপজীব্যই প্রতিবাদ-ভালোবাসার জয়গান। গান দিয়েই অধিকারবঞ্চিত মানুষের পক্ষ নিতেন, সেই গান দিয়েই করেছেন সাম্রাজ্যবাদের বিরোধিতা। গণমানুষের গান গাওয়ায় সবার প্রিয় হয়ে উঠেছিলেন এই জ্যামাইকান রেগে স্টার, যিনি সর্বকালের সেরা শিল্পীদের মধ্যে একজন। তরুণদের আদর্শ।

‘বব মার্লে : ওয়ান লাভ’ সিনেমার প্রিমিয়ারে প্রযোজক ও শিল্পীরা
এএফপি

জন্মমাস ফেব্রুয়ারিতেই মুক্তি পাওয়ার কথা বব মার্লের বায়োপিক ‘বব মার্লে: ওয়ান লাভ’। এটি নির্মাণ করেছেন রেইনাল্ডো মার্কস গ্রিন। সবকিছু ঠিক থাকলে ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্বব্যাপী ‘ওয়ান লাভ’ ছড়িয়ে দেবে ববের আদর্শ, নৈতিকতা আর ভালোবাসার বার্তা। সম্প্রতি লন্ডনে ছবিটির প্রিমিয়ারে অংশ নেন মার্লের ছেলে ও প্রযোজক জিগি মার্লে। তিনি বলেছেন, ‘ছবিটির মূল উদ্দেশ্য সিনেমার মাধ্যমে বাবার চিন্তাধারা, বার্তা পরবর্তী প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেওয়া। ছবিটি পৃথিবীতে ছড়িয়ে দেবে ইতিবাচকতার বার্তা।’

চলচ্চিত্রটি প্রযোজনা করছেন বব মার্লের স্ত্রী রিটা মার্লে, সন্তান জিগি ও সেডেলা মার্লে। নির্বাহী প্রযোজনায় আছেন ব্র্যাড পিট। ববের চরিত্রে অভিনয় করবেন ব্রিটিশ অভিনেতা কিংসলে বেন-আদির। সেন্সর পেলে ভালোবাসা দিবসে বাংলাদেশেও মুক্তি পেতে পারে মার্লের বায়োপিক।

চলচ্চিত্রটির পটভূমির শুরু ১৯৭৬ সালে কিংস্টোনে। বব মার্লে তখন উত্তাল রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রতিবাদে একটি পিস কনসার্টের পরিকল্পনা করেন। এরপর মার্লে দম্পতিকে হত্যার চেষ্টা করা হয়। হামলার দুই দিন পরই কনসার্টে গান গেয়েছিলেন বব। পরবর্তী সময়ে স্ত্রীসহ লন্ডনে পাড়ি জমান মার্লে। ১৯৮১ সালে মাত্র ৩৬ বছর বয়সে ক্যানসারের কাছে হার মেনে অনন্তযাত্রার পথে পাড়ি জমান নিপীড়িত মানুষের পক্ষে প্রতিবাদী কণ্ঠের এই সংগীতশিল্পী।