‘ঘুড়ি’ থেকে ‘ঈশ্বর’—সোমেশ্বরী থেকে অলির গল্প শুরু
সকালের মেট্রোরেলের ভিড়ে, অফিসফেরত বাসের ক্লান্ত যাত্রায় হেডফোন কানে, কিংবা গভীর রাতের নিস্তব্ধতায় ইউটিউবে শোনেন—‘ঈশ্বর কি তোমার আমার মিলন লিখতে পারত না…’ কিংবা ‘ঘুড়ি তুমি কার আকাশে ওড়ো…’। দুটি গানেই ভালোবাসার দীর্ঘশ্বাস হৃদয় ছুঁয়ে যায়। নরম সুর আর বিষাদের রেখা মিলেমিশে তৈরি হয় এক অন্য রকম আবেশ। অজান্তেই কেউ গুনগুন করে ওঠেন। অথচ খুব কম মানুষই জানেন—এই শব্দগুলোর আড়ালে আছেন এক নীরব মানুষ; যিনি বরাবরই একটু আড়ালে থাকতে ভালোবাসেন, থাকেন নিজের মতো করে। তিনি গীতিকার সোমেশ্বর অলি।
তবে একেবারেই যে তিনি নিভৃতে থাকেন, তা নয়। এ শহরেই আছেন তিনি। বন্ধু–পরিচিত, সমমনা লেখক–শিল্পীদের সঙ্গে আড্ডায় তাঁকে পাওয়া যায় মাঝেমধ্যে। গান নিয়ে আলাপেই যেন তাঁর স্বাচ্ছন্দ্যের জগৎ।
দেড় দশকের বেশি সময় ধরে তাঁর লেখা অসংখ্য গানের লাইন জড়িয়ে আছে বাংলা গানপ্রেমীদের স্মৃতিতে। যে সূত্রে আজ তিনি আলোচনায়—কারণ, আজ তাঁর জন্মদিন। সকাল থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকে ছবি দিয়ে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন, লিখছেন প্রশংসার কথা। শুভেচ্ছা জানাতেই যোগাযোগ হলো এই তরুণ গীতিকারের সঙ্গে। দিনটা কাটছে ব্যস্ততায়—জন্মদিনের আয়োজনে নয়, বাসা বদলের কাজে। নতুন বাসায় উঠছেন, ধীরে ধীরে গুছিয়ে নিচ্ছেন মালপত্র। জনপ্রিয়তা আর নীরব জীবনযাপনের এক অদ্ভুত সমন্বয়ের মানুষ তিনি—তাঁকে ঘিরে কিছু জানা–অজানা গল্পই এ প্রতিবেদনের বিষয়।
সোমেশ্বরী নদীপারের ছেলে
নেত্রকোনার দুর্গাপুরে সোমেশ্বরী নদীর তীরে জন্ম ও বেড়ে ওঠা সোমেশ্বর অলির। সংসারে গরু–ধানের প্রাচুর্য, আদর্শ কৃষক পরিবারের সন্তান তিনি। শৈশবের স্মৃতিতে মিশে আছে ফজরের পর বাবার কোরআন তিলাওয়াতের সুর, মা আর ভাইদের কণ্ঠে তিলাওয়াত।
তাঁর স্মৃতিতে আরও আছে পাশের হিন্দু বাড়ির উলুধ্বনি, ঢাক–ঢোল, শঙ্খের সুর। ঘরে টেলিভিশন ছিল না। বাবা টিভি–রেডিও পছন্দ করতেন না, পাশের বাড়িতে গিয়ে টিভি দেখাও ছিল নিষেধ। সে নিষেধাজ্ঞা ভেঙেই শুক্রবার বিকেলের সিনেমা দেখা, লুকিয়ে লুকিয়ে রেডিও শোনা—এসবের ভেতরেই গড়ে উঠতে থাকে তাঁর প্রথম ‘শ্রোতা সত্তা’। স্কুলজীবনে রেডিও ছিল তাঁর স্থায়ী সঙ্গী। অন্যরা মাঠে ডাকে খেলতে, তিনি পড়ে থাকেন গান–কবিতার শব্দের ভেতর।
কবিতার জগতে প্রবেশ আরও পরে, কলেজে ওঠার পর—গ্রাম ছেড়ে যখন যান নেত্রকোনা শহরে। পাবলিক লাইব্রেরিতে বসে অসংখ্য বই পড়েছেন, সেখানকার কবি–লেখকদের আড্ডায় বসে বদলে গেছে তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি, বোধ, পৃথিবীকে দেখার চোখ। সে সময়টাকে তিনি নিজের জীবনের ‘আমূল পরিবর্তনের’ সময় বলেন। কবিতা তখন তাঁর কাছে হয়ে ওঠে কোনো কিছুর সঙ্গে আপস না করার উপায়; নিজের জেদ, আক্রোশ আর প্রতিবাদকে শিল্পে রূপ দেওয়ার একমাত্র আশ্রয়।
কবিতার নেশায় ঢাকা, তারপর সাংবাদিকতা
কবিতা লিখতেই একসময় ঢাকা শহরের পথে পা রাখেন সোমেশ্বর অলি। বাড়ির ‘সুবোধ ছেলে’ তখন ঢাকায় এসে বাস্তবতার মুখোমুখি—থাকার নির্দিষ্ট ঠিকানা নেই, কাজ নেই; আছে শুধু লেখালেখির স্বপ্ন আর একরাশ দুঃসাহস। কখনো কোনো বাম সংগঠনের অফিসে থেকে মিছিল–প্রতিবাদে যাওয়া, কখনো পাবলিক লাইব্রেরি আর বন্ধুদের রুমে রাত কাটানো—এভাবেই শহরে টিকে থাকার চেষ্টা। তিন বছর ফ্রিল্যান্সিং করার পর ২০০৭ সালে ‘যায়যায়দিন’ পত্রিকায় সাব–এডিটর হিসেবে প্রথম চাকরি। এরপর ‘সমকাল’, পরে অনলাইন গণমাধ্যম—মোটামুটি এক দশক সাংবাদিকতা করেছেন তিনি, যার অধিকাংশই বিনোদন সাংবাদিকতা। সাংবাদিকতার কাজ তাঁকে দিয়েছে বড় শহরে টিকে থাকার নিরাপত্তা আর দিয়েছে মানুষের অন্তর—শিল্পীর ভেতরের মানুষকে দেখার অভিজ্ঞতা। কিন্তু অনেক বছর পর বুঝতে পেরেছেন—গৎবাঁধা শোবিজ নিউজ, ব্রেকিং আর রুটিন সাক্ষাৎকারের ভিড়ে তিনি নিজে আর আনন্দ পাচ্ছেন না। ২০১৭ সালে সাংবাদিকতা থেকে ইস্তফা দেন তিনি, পেশা হিসেবে গীতিকেই বেছে নেন অধিক আত্মবিশ্বাস নিয়ে।
‘ঘুড়ি’ থেকে শুরু, গীতিকার অলির জন্ম
গীতিকার হওয়ার গল্পটা অনেকটাই আকস্মিক। মূল অনুরাগ ছিল কবিতায়, গানের কথা লেখা শুরু হয়েছিল যেন বাতিল কবিতার জায়গা থেকে। ওই সময়েই কাছের মানুষ হয়ে ওঠেন গায়ক ও গীতিকার লুৎফর হাসান।
ঢাকায় টালমাটাল দিনগুলোতে একরকম আড্ডা–জীবন ছিল তাঁদের। বন্ধুত্বের সেই বৃত্তে ছিলেন জাহিদ আকবর, লুৎফর হাসানসহ আরও অনেক তরুণ গীতিকার–সুরকার–লেখক—যাঁদের তিনি মজা করে বলেন ‘কলা–রুটি জেনারেশন’। পকেটে টাকা নেই, পেটে কখনো শুধু কলা আর রুটি নিয়েই কাটে দিন; অথচ মাথায়–মনে ঘুরপাক খায় গল্প, কবিতা, গান, সিনেমার স্বপ্ন। এই সময়েই লেখা হয় ‘রঙিন দালান’। এস আই টুটুলের কণ্ঠে গাওয়া গানটি—‘তোমার বাড়ির রঙিন দালান আস্তে ধীরে ভাঙতেছে…’ শ্রোতার কানে পৌঁছায় আর গীতিকার হিসেবে অলির নাম প্রথমবার আলোচনায় আসে।
এরপর আসে ২০১১ সাল। গায়ক লুৎফর হাসান প্রকাশ করেন নিজের গাওয়া প্রথম অ্যালবাম ‘ঘুড়ি তুমি কার আকাশে ওড়ো’। টাইটেল গান ‘ঘুড়ি’সহ বেশির ভাগ গান লিখেছেন অলি। গানের কাব্যিক আবহ, বিষণ্নতা আর নস্টালজিয়া মিলেমিশে যে তরুণসত্তাকে স্পর্শ করে, তার রেশ এখনো কাটেনি। ইউটিউবে কোটি মানুষের শোনা এই গানকে তিনি নিজেই মনে করেন নিজের অন্যতম বড় মাইলফলক। বললে বাড়াবাড়ি হবে না, এ গানই তাঁকে গীতিকার হিসেবে প্রতিষ্ঠা দেয়।
টেলিভিশন নাটকের গানের জগতে সোমেশ্বর অলির সবচেয়ে আলোচিত কাজগুলোর একটি ‘বড় ছেলে’ নাটকের গান ‘তাই তোমার খেয়াল’। নাটক না দেখলেও অনেকেই গানটি জানেন, গেয়ে থাকেন। এক সাক্ষাৎকারে গানটির প্রসঙ্গে তিনি জানান, নাটকের গল্প শুনে গানটা লিখেছেন তিনি। আগে থেকে জমা থাকা অভিজ্ঞতা, পড়াশোনা, বোধ—সব একসময় উগরে পড়ে। গল্পের প্রেক্ষাপট, চরিত্রের সংকট আর পরিণতি বুঝে যখন লেখা শুরু করেন, তখন লক্ষ্য থাকে—গল্পের প্রয়োজন মেটানো যেমন, তেমনি নিজের স্বাক্ষরও যেন থাকে লাইনে–লাইনে।
‘রূপকথার জগতে’ থেকে ‘চল বন্ধু চল’
সিডি থেকে ইউটিউব, তারপর ওটিটি—বাংলাদেশি গানশিল্পের কয়েকটি বড় বদলের সময় সরাসরি প্রত্যক্ষ করেছেন সোমেশ্বর অলি। সিডির যুগে যখন তিনি লিখছেন, তখনই ধীরে ধীরে সামনে চলে আসে মিউজিক ভিডিও আর ইউটিউবকেন্দ্রিক বাজার। পরে নাটকের গান, তারপর ওয়েব ফিল্ম, ওটিটি প্ল্যাটফর্মের ফিল্ম—সব মিলিয়ে মাধ্যমে যেমন বদল এসেছে, তিনিও শিখেছেন নিজেকে মানিয়ে নিতে। ওটিটি প্ল্যাটফর্মে তাঁর বড় মাইলফলক ‘নেটওয়ার্কের বাইরে’ ওয়েব ফিল্মের গান ‘রূপকথার জগতে’। সাজিদ সরকারের সুর ও সংগীতে রেহান রাসুল ও অবন্তী সিঁথির কণ্ঠে গানটি এখনো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘুরে বেড়ায়, মানুষের প্রোফাইল স্টোরি, রিলসে বাজতে থাকে—‘কোনো এক রূপকথার জগতে তুমি চিরসাথি আমার, জীবনের এই পথে…’। সাজিদ সরকারের সঙ্গে তাঁর বোঝাপড়া এখন বিশেষ এক জায়গায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে। ‘বড় ছেলে’র ‘তাই তোমার খেয়াল’ থেকেই শুরু, তারপর একের পর এক গান—‘রূপকথার জগতে’, ‘চল বন্ধু চল’, আরও অনেক।
‘ঈশ্বর’ এবং বড় পর্দায় নতুন আলো
ছোট পর্দা আর ওটিটির পরে বড় পর্দায় সোমেশ্বর অলির বড় সুযোগ আসে শাকিব খান অভিনীত ‘প্রিয়তমা’ সিনেমায়। সেখানে তাঁর লেখা গান ‘ঈশ্বর’—সুর করেছেন প্রিন্স মাহমুদ, কণ্ঠ দিয়েছেন রিয়াদ। গানটি প্রকাশের পর শুধু শাকিব খানের ভিন্ন লুকই নয়, গানটির সুর–বিন্যাস ও কথাও বেশ আলোচনায় আসে। অলি নিজে বলছেন, এই গান তাঁর জীবনকে ‘দারুণভাবে রাঙিয়ে দিয়েছে’। গানটি মুক্তির পরপরই কলকাতার একাধিক ছবিতে গান লেখার প্রস্তাব পেয়েছেন তিনি, কয়েকটিতে চুক্তিবদ্ধও হয়েছেন। দেশে–বিদেশে আরও ভালো কাজের সুযোগ পাচ্ছেন। একই সঙ্গে মোস্তফা কামাল রাজের ‘ওমর’ ছবিতে তাঁর লেখা ‘দুই নয়নের মণি’ গানে প্রায় পাঁচ বছর পর সিনেমায় কণ্ঠ দিয়েছেন আরফিন রুমী—এটিও তাঁর ক্যারিয়ারে উল্লেখযোগ্য একটি রেখা টেনেছে। ‘ঈশ্বর’ গানটির জন্য তিনি পেয়েছেন স্বপ্নধরা বিএফডিএ অ্যাওয়ার্ড–এ ২০২৩ সালের সেরা গীতিকারের স্বীকৃতি। এর আগেই ‘ঘুড়ি তুমি কার আকাশে ওড়ো’ গানের জন্য পেয়েছেন সিজেএফবি অ্যাওয়ার্ড, আর ‘রূপকথার জগতে’ তাঁকে এনে দিয়েছে ব্লেন্ডার’স চয়েস–ডেইলি স্টার ওটিটি অ্যান্ড ডিজিটাল কনটেন্ট অ্যাওয়ার্ডসের সম্মাননা। তবে পুরস্কারের তালিকার চেয়ে তাঁর কাছে বেশি মূল্যবান শ্রোতার মুখে মুখে ঘুরে বেড়ানো গান।
জনপ্রিয়তা নয়, লিরিকের ওজন
সোমেশ্বর অলির জনপ্রিয় গানগুলোর তালিকা বড়—‘ঘুড়ি’, ‘তাই তোমার খেয়াল’, ‘বুকের বাঁ পাশে’, ‘আমার আকাশ পুরোটাই’, ‘খরচাপাতির গান’, ‘শূন্য থেকে আসে প্রেম’, ‘মায়া’, ‘একটাই তুমি’, ‘চল বন্ধু চল’, ‘দোলার জোছনা’, ‘দোজখ’, ‘আসো মামা হে’—এভাবে এক শোনায় শেষ করার মতো নয়। কিন্তু তাঁকে শুধু জনপ্রিয় গানের সংখ্যায় মাপতে চাইলে ভুল হবে। তাঁর লেখার বড় শক্তি—নিত্যদিনের খুব পরিচিত কোনো অনুভূতিকে এমন এক দৃষ্টিতে তুলে ধরা, যেখানে শ্রোতা একসময় নিজেকেই নতুন করে আবিষ্কার করেন। ভাষা আর ব্যাকরণ নিয়ে তিনি যথেষ্ট সচেতন। সহজে ‘বিক্রি হয়’—এমন শব্দ বা ট্রেন্ডি অঙ্গভঙ্গি দিয়ে গান লেখার কোনো আগ্রহ তাঁর নেই। গানে ‘তুই’-এর অতিরিক্ত ব্যবহার থেকে শুরু করে অর্থহীন শব্দের ফুলঝুরি—এসব তাঁকে বিচলিত করে। তাঁর বিশ্বাস—শুদ্ধতা মেনে নিয়েও নতুন ভাব ও অর্থ তৈরি করা যায়; দরকার শুধু শ্রম আর দায়বদ্ধতা।
কবিতার বই, অপ্রকাশিত গান আর ভবিষ্যতের স্বপ্ন
২০২৩ সালে প্রকাশিত হয় সোমেশ্বর অলির প্রথম কবিতার বই ‘কিছুটা উপর থেকে মানুষ দেখতে ভালো লাগে’। কবিতা এখনো তাঁর কাছে সেই প্রথম আশ্রয়, যেখানে গানের বাজারি হিসাব–নিকাশের কোনো চাপ নেই। অলির ঝুলিতে এখনো অনেক অপ্রকাশিত গান—বছরের পর বছর আগে লেখা, কখনো পুরোপুরি শেষ না হওয়া, কখনো শুধু দু–চারটি লাইনে আটকে থাকা। সুযোগ–সময় মিললে এগুলো নিয়ে আলাদা করে কাজ করতে চান তিনি। ফোকধারার গান, গজল–আঙ্গিকের কিছু কাজ, এমনকি মিউজিক্যাল ফিল্মের চিত্রনাট্য—ভবিষ্যতের করণীয়ের তালিকায় এসব আছে। তাঁর ভাষায়—‘কবে হবে জানি না, তবে চাই।’
অলি নিজের পরিচয় দেন মূলত কাজের মাধ্যমে। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে দুই শতাধিক গান লিখেও তিনি পর্দার সামনের আলোর ভিড়ে দাঁড়াতে চান না। সামনে আসার চেয়ে তিনি স্বচ্ছন্দ থাকেন লেখার টেবিলে, শব্দের ভেতরে। দেশের নবীন থেকে প্রবীণ নানা শিল্পী তাঁর লেখা গানে কণ্ঠ দিয়েছেন। তাঁর গান ছড়িয়ে গেছে ক্যাসেট, সিডি, ইউটিউব, নাটক, ওয়েব ফিল্ম আর সিনেমার পর্দাজুড়ে। দেশেই নয়, পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর অডিও–ভিডিও অঙ্গনেও এখন কাজ করছেন তিনি।
আজ অলির জন্মদিনে হয়তো কোনো বড় আয়োজন নেই, সে অর্থে তারকাসুলভ গ্ল্যামারাস সেলফি ‘মিছিল’ চোখে পড়েনি। কিন্তু কোথাও না কোথাও হয়তো আবার কেউ শোনাচ্ছেন—‘ঘুড়ি তুমি কার আকাশে ওড়ো’ বা ‘ঈশ্বর কি তোমার আমার মিলন লিখতে পারত না…’। আর সেই গানের ভেতর দিয়েই নীরবে, গোপনে, শ্রোতার হৃদয়ে থেকে যাচ্ছেন গীতিকার সোমেশ্বর অলি।
(প্রথম আলোতে প্রকাশিত প্রতিবেদন ও বাংলা মুভি ডেটাবেজ এ সোমেশ্বর অলির সাক্ষাৎকার থেকে তথ্য নেওয়া হয়েছে)