শিষ্যকে জুতাপেটা ভিডিও ভাইরাল, যা বললেন রাহাত ফতেহ আলী
পাকিস্তানের জনপ্রিয় গায়ক রাহাত ফতেহ আলী খান গানে গানে মুগ্ধতা ছড়িয়েছেন। তাঁর গাওয়া গানের বিভিন্ন ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এবার এই শিল্পীর ১ মিনিট ৬ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ভাইরাল। গানের শিল্পী রাহাতের এই ভিডিও কোনো গানের নয়। ভাইরাল হওয়ার মূল কারণ হলো, ১ মিনিট ৬ সেকেন্ডের সেই ভিডিওতে রাহাত ফতেহ আলী খানকে দেখা গেছে নির্মমভাবে এক ব্যক্তিকে জুতাপেটা করতে। মারার একপর্যায়ে ওই ব্যক্তি মাটিতে পড়ে যান।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, রাহাত ফতেহ আলী খান ‘আমার বোতল কোথায়?’ বলতে বলতে ওই ব্যক্তিকে আঘাত করতে থাকেন। ওই ব্যক্তি কাকুতি-মিনতি করতে থাকেন। বলেন, বোতলের বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। এরপরও মারা থামাননি গায়ক। ভিডিওতে তাঁর এহেন অমানবিক রূপ দেখে হতবাক ভক্ত ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা। ভিডিও ভাইরাল হতেই নিন্দার ঝড় বইছে। তবে এ বিষয়ে কথা বলেছেন রাহাত ফতেহ আলী খান নিজেই। ভিডিওটির ব্যাখ্যাও দিয়েছেন তিনি।
এই ভিডিওতে রাহাত ফতেহ আলী খান বলেন, ‘ছাত্ররা ভুল করে। তার জন্য শাস্তি দিতে হয়। কিন্তু পরে এর জন্য ক্ষমাও চেয়েছেন গায়ক। তাঁর কথায়, ‘শিষ্য ও গুরুর মধ্যে এটা ব্যক্তিগত বিষয়। ও আমার সন্তানের মতো। একজন শিষ্য যখন ভালো কিছু করে, তখন তাকে ভালবাসা দিই। আর যখন ভুল কাজ করে, তখন শাস্তি দিই।’ ওই ছাত্রও জানিয়েছেন, তাঁর কাছে ওস্তাদজি ক্ষমা চেয়েছেন। তিনি তো বাবার মতো। আর বাবা যদি সন্তানকে শাস্তি দেন, তাতে দোষের কিছু নেই বলেও জানান ওই ব্যক্তি।
মার খাওয়া সেই ব্যক্তি এ–ও বলেন, ওই বোতলে আসলে কিছু পবিত্র পানি ছিল, আর সেটা আমি কোথায় রেখেছিলাম, ভুলে গিয়েছিলাম। তাই তিনি মেরেছেন। এ ধরনের ভিডিও ছড়িয়ে লোকজন ঠিক করেননি। এরপর রাহাত ফতেহ আলী খান বলেন, ঘটনার পরই তিনি সেই ব্যক্তির কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। তবে পাকিস্তানি এই সংগীতশিল্পী যত যা–ই বলুক না কেন, সেই ভিডিওর নিচে নেটিজেনরা বিভিন্ন প্রশ্ন তুলেছেন। কেউ বলেছেন, ‘এটা ভালোবাসার নমুনা!’ কেউ আবার লিখেছেন, ‘এটা কী ধরনের শাস্তি ভাই! ছি ছি!’ এমনই নানা মন্তব্য উঠে এসেছে।
ওস্তাদ নুসরাত ফতেহ আলী খানের ভাতিজা রাহাত ফতেহ আলী খান। তিনি পারিবারিক ঐতিহ্য যেমন ধরে রেখেছেন, তেমনি সিনেমায় গান গেয়েও কুড়িয়েছেন অঢেল প্রশংসা ও জনপ্রিয়তা। তাঁর গাওয়া শ্রোতাপ্রিয় গানের মধ্যে রয়েছে ‘জরুরি থা’, ‘ও রে পিয়া’, ‘জগ সুনা সুনা লাগে’, ‘তেরে বিন’, ‘তেরি ওর’, ‘ম্যায় যাঁহা রাহুঁ’, ‘তেরে মাস্ত মাস্ত দো ন্যায়ন’, ‘তুম যো আয়ে জিন্দেগি মে’, ‘দিল তো বাচ্চা হ্যায় জি’ ইত্যাদি।