সড়ক দুর্ঘটনায় গায়কের মৃত্যু, মেয়েকে নিয়ে শেষ পোস্ট ভাইরাল
গাড়ি দুর্ঘটনায় পাঞ্জাবি গায়ক হারমান সিধুর মর্মান্তিক মৃত্যুর খবর প্রকাশের পর তাঁর মেয়েকে নিয়ে করা শেষ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পোস্টটি ভাইরাল হয়ে গেছে। ছোট মেয়েকে ঘিরে সেই আবেগঘন ভিডিও দেখে শোকাহত ভক্ত ও সহকর্মীরা স্মরণ করছেন এই গায়ককে।
গতকাল শনিবার মাত্র ৩৭ বছর বয়সে থেমে গেল হারমান সিধুর জীবন। ভারতের পাঞ্জাবের পাতিয়ালা থেকে মানসা ফেরার পথে তাঁর গাড়ির সঙ্গে একটি ট্রাকের ভয়াবহ সংঘর্ষ হয় বলে জানা গেছে। দুর্ঘটনার পর গায়ককে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। তিনি রেখে গেছেন স্ত্রী ও ছোট এক মেয়েকে।
মেয়েকে নিয়ে শেষ আবেগঘন পোস্ট
দুর্ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে হারমান সিধুর শেষ পোস্ট, যেখানে তিনি তাঁর ছোট মেয়ের সঙ্গে ছিলেন। ভিডিওটি দেখে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছেন তাঁর অনুরাগীরা।
ভিডিওতে দেখা যায়, এক হাঁটু গেড়ে বসে মেয়েকে একটি ফুল দিচ্ছেন সিধু। ছোট্ট মেয়েটি বেগুনি রঙের পোশাক পরে ক্যামেরার সামনে হাসিমুখে পোজ দিচ্ছিল। মুহূর্তগুলো এখন অনেকের চোখে জল এনে দিচ্ছে।
হারমান সিধু সম্পর্কে
এই গায়কের বিধ্বস্ত গাড়ির দৃশ্যও ইতিমধ্যে অনলাইনে ছড়িয়ে পড়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সংঘর্ষের তীব্রতা এতটাই ছিল যে বেঁচে থাকার কোনো সুযোগ ছিল না। ময়নাতদন্তের জন্য তাঁর মরদেহ হাসপাতালে নেওয়া হয়; পরে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
পাঞ্জাবি সংগীতাঙ্গনে হারমান সিধু সবচেয়ে বেশি পরিচিত ছিলেন ‘পেপার ইয়া পেয়ার’ গানটির জন্য, যেটিতে তাঁর সঙ্গে ছিলেন জনপ্রিয় গায়িকা মিস পূজা। গানটি আজও শ্রোতাদের কাছে সমান জনপ্রিয়।
এ ছাড়া হারমান সিধুর জনপ্রিয় গানগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘কোই চক্কর নাই’, ‘বেবে বাপু’, ‘বাব্বর শের’, ‘মুলতান ভার্সেস রাশিয়া’ ইত্যাদি।’
নিউজ ১৮ অবলম্বনে