২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

পেপার রাইম ব্যান্ডের গায়ক সাদ মারা গেছেন

আহমেদ সাদছবি: সংগৃহীত

নব্বইয়ের দশকের জনপ্রিয় ব্যান্ড পেপার রাইমের ভোকালিস্ট আহমেদ সাদ মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)। গতকাল রাত ১১টা ৫৫ মিনিটে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাদের মৃত্যু হয়েছে। সাদের বয়স হয়েছিল ৫২ বছর।

সাদের স্কুলজীবনের বন্ধু ও পেপার রাইম ব্যান্ডের সদস্য অনিন্দ্য কবির অভিক প্রথম আলোকে জানান, দীর্ঘদিন ধরে কণ্ঠনালির ক্যানসারে ভুগছিলেন তিনি। দিন তিনেক আগে হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হলে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল সাদকে। হাসপাতাল থেকে তাঁকে আর ফেরানো গেল না।

১৯৯৬ সালে ব্যান্ডের একমাত্র অ্যালবাম ‘পেপার রাইম’ প্রকাশের পর শ্রোতাদের মধ্যে তুমুল সাড়া ফেলে
ছবি: সংগৃহীত

২০০৮ সালে ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার পর গান থেকে অনেক দূরে ছিলেন তিনি। মাঝে তিনি ক্যানসারমুক্ত হলেও কয়েক মাস আগে তাঁর শরীরে ক্যানসার ফিরে আসে।

১৯৯২ সালের ২৪ জানুয়ারি পাঁচ বন্ধু সাদ, নাসের, রাশেদ, সুমন, অভিকের হাত ধরে যাত্রা করেছিল পেপার রাইম। ১৯৯৬ সালে ব্যান্ডের একমাত্র অ্যালবাম ‘পেপার রাইম’ প্রকাশের পর শ্রোতাদের মধ্যে তুমুল সাড়া ফেলে। অ্যালবামের ‘অন্ধকার ঘরে’ গানটি এখনো শ্রোতাদের মুখে মুখে ফেরে। এর বাইরে ‘আকাশের কী রং’, ‘এলোমেলো’ গানগুলোও শ্রোতৃপ্রিয়তা পায়।

তবে অ্যালবাম প্রকাশের পরপরই ব্যান্ডের কার্যক্রম অনিয়মিত হয়ে পড়ে। ২০০৯ সালে ব্যান্ডটি আবার সচলের উদ্যোগ নেওয়া হলেও সাদের অসুস্থতার কারণে তা সম্ভবপর হয়নি।

‘পেপার রাইম’ ব্যান্ডের সদস্যেরা
ছবি: সংগৃহীত

২০১৭ সালে শেষবারের মতো পেপার রাইমের কোনো গান প্রকাশিত হয়। ‘আবার’ নামে একটি মিক্সড অ্যালবামে ব্যান্ডটির একমাত্র গান ছিল ‘দাঁড়াও বন্ধু’ শিরোনামে।
অনিন্দ্য কবির অভিক জানান, আগামীকাল বৃহস্পতিবার জোহরের পর সাদের জানাজা হবে। এরপর মিরপুর বুদ্ধিজীবী করবস্থানে তাঁকে সমাহিত করা হবে।
সাদ এক পুত্র ও এক কন্যা রেখে গেছেন।

আরও পড়ুন