ধীরেন্দ্রনাথ দত্তকে নিয়ে প্রিন্স মাহমুদের ‘শহীদ’

ধীরেন্দ্রনাথ দত্তকে নিয়েই গান করেছেন প্রিন্স মাহমুদকোলাজ

এর আগে আন্তর্জাতিক ভাষা দিবস নিয়ে ‘একুশ-বায়ান্ন’ এবং দেশের রাজনীতিবিদ, সাহিত্যিক, চিত্রশিল্পী, গায়কসহ নানা শ্রেণির বিখ্যাতজনদের নিয়ে ‘বাংলাদেশ’ নামে দেশের গান করেছেন। এবার ইতিহাসের আরেক নায়ক রাজনীতিবিদ ও ভাষাসৈনিক ধীরেন্দ্রনাথ দত্তকে নিয়ে গান করছেন প্রিন্স মাহমুদ। গানের শিরোনাম ‘শহীদ’।
ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ১৯৪৮ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে সর্বপ্রথম বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি তুলেছিলেন। তাঁকে নিয়েই গান করেছেন প্রিন্স মাহমুদ। গানটির কথা, সুর-সংগীত তাঁর নিজেরই।

এ ব্যাপারে প্রিন্স মাহমুদ জানান, ২০০৩ বা ২০০৪ সালে ‘একুশ-বায়ান্ন’ ও ধীরেন্দ্রনাথ দত্তকে নিয়ে গানটির কথা ও সুর তৈরি করেন তিনি। ‘একুশ-বায়ান্ন’ গানটি শেষ করতে পারলেও তখন এটি আর করা হয়নি।

প্রিন্স মাহমুদ বলেন, ‘তখন গানটি সুর করার পর আমার কাছে অতটা ভালো লাগেনি। তা ছাড়া ধীরেন্দ্রনাথ সম্পর্কে আমার আরও জানার দরকার ছিল। এ জন্য রেখে দিয়েছিলাম। এখন গানটির কথা, সুর—দুটোই পরিণত হয়েছে। এখন যে ট্র্যাকটি করেছি, ভালোই হবে আশা করছি।’

প্রিন্স মাহমুদ
প্রথম আলো

গানটি প্রসঙ্গে এই গীতিকার ও সুরকার আরও বলেন, ‘শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ সম্পর্কে প্রথম কিছুটা জানতে পারি খুলনায় আমার ইংরেজি স্যার অসিত বরণ ঘোষের কাছ থেকে। এরপর বিভিন্নভাবে তাঁর সম্পর্কে আরও জানার চেষ্টা করি। এরপর তাঁকে নিয়ে গান করার পরিকল্পনা করি। শহীদ ধীরেন্দ্রনাথদের মতো মহানায়কদের আমরা ভুলে যাচ্ছি। এ প্রজন্মের অনেকেই তাঁর সম্পর্কে জানেন না, চেনেন না। আমরা তাঁকে ভুলে গেছি, ভুলে যাচ্ছি, মনে রাখিনি। যাঁরা ভাষার জন্য, দেশের জন্য ত্যাগ করেছেন, এভাবে চলতে থাকলে তাঁদের অনেকে ইতিহাস থেকে মুছে যাবেন। একদিন ইতিহাস মুখ ফিরিয়ে নেবে। যেটি জাতির জন্য, দেশের জন্য বেদনাদায়ক হবে।’

ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের মতো ইতিহাসের আরও অনেক ভুলে যাওয়া নায়ককে নিয়েও গান করার ইচ্ছা আছে বলেও জানান এই সুরকার।
প্রিন্স মাহমুদ আরও জানান, গানটির ট্র্যাক প্রস্তুত। দু-এক দিনের মধ্যেই শিল্পীরা এতে কণ্ঠ দেবেন। ৩০ থেকে ৩৫ জন শিল্পী গাইবেন গানটি।

কারা কারা গানটিতে কণ্ঠ দেবেন, তা না জানালেও প্রিন্স বলেন, ‘আমি এ পর্যন্ত যেসব ব্যান্ড শিল্পীর সঙ্গে কাজ করেছি, তাঁদের অনেকে গাইবেন। এ ছাড়া এ প্রজন্মের অনেক শিল্পীই গাইবেন। যেহেতু এটি একজন ভাষাসৈনিক, মুক্তিযুদ্ধের সময়ে একজন শহীদের গান, তাই সব প্রজন্মের শিল্পীদের মেলবন্ধন করে গানটি করতে চাইছি।’
আগামী ২৬ মার্চ গানটি প্রকাশিত হতে পারে।