‘রূপবানে নাচে কোমর দুলাইয়া’—ভাইরাল যুগেও প্রাসঙ্গিক মিলা

তাঁর গাওয়া ‘যাত্রা’, ‘বাবুরাম সাপুড়ে’ কিংবা ‘রূপবানে নাচে কোমর দুলাইয়া’ শূন্য দশকের ভাইরাল গান! মাঝখানে কিছুদিন নীরব ছিলেন। সেই নীরব সময়ই তাঁকে দিয়েছে নতুন করে জ্বলে ওঠার শক্তি। মিলা ইসলাম-এর খোঁজখবর জানাচ্ছেন মাসুম আলী

মিলা ইসলামশিল্পীর সৌজন্যে

‘ফেরা’ শব্দটা মিলার পছন্দ নয়। ‘এসব বলে আমারে বুড়া বানাইয়া দিয়েন না,’ হেসে বললেন মিলা। নিজেকে ‘তরুণ’ ভাবতে চান। তবু প্রসঙ্গটা এসে যায়। কেননা এই দুই দশকের পথে সব সময় যে আলোতে ছিলেন, তা নয়। ব্যক্তিগত নানা কারণে কিছু সময়ের জন্য সংগীতাঙ্গনে তাঁর উপস্থিতি কমে যায়। নতুন গান প্রকাশ পাচ্ছিল না, মঞ্চেও তাঁর দেখা মিলত না। বরং খবরের শিরোনামে উঠে আসত বিয়ে, সংসার, বিচ্ছেদ, আদালতের নানা ঘটনা। কিন্তু সেই কঠিন অধ্যায় এখন অতীত। ভুলে যেতে চান। এখন মিলার ধ্যানজ্ঞান শুধুই গান। জীবনের সব ঝামেলা পেরিয়ে আবারও আলোচনায় ফিরেছেন তিনি—এবার কেবল গান নিয়েই।
‘আহা, একসময় এফএম রেডিওতে কত শুনতাম, কিন্তু জানতাম না এই শিল্পী মিলা। ধন্যবাদ মিলা, আমাদের শৈশবকে রাঙিয়ে তোলার জন্য’—মিলার ইউটিউব চ্যানেলে ‘তুমি কি সাড়া দেবে’ গানটির মন্তব্যের ঘরে এমনটাই লিখেছেন একজন শ্রোতা। ইউটিউবে মিলার গাওয়া ও অভিনীত ‘রূপবানে নাচে কোমর দুলাইয়া’ গানের মিউজিক ভিডিওর ভিউ তিন কোটির বেশি।

মিলা ইসলাম
ছবি : মিলার ফেসবুক থেকে

প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জি সিরিজের ইউটিউব চ্যানেলে ‘বাপুরাম সাপুড়ে’ গানটির ভিউ প্রায় দুই কোটি। এ গানের মন্তব্যের ঘরে একজন লিখেছেন, ‘মিলার মধ্যে খুবই স্বতঃস্ফূর্ত একধরনের চপলতা রয়েছে, যা বিখ্যাত পপ গানেওয়ালদের এক গুরুত্বপূর্ণ গুণ। কৈশোরে তাঁর গান যেমন আনন্দ নিয়ে শুনেছি, আজও তা–ই।’ ভারত থেকে দেবশ্রী নামের এক শ্রোতা লিখেছেন, ‘ইন্ডিয়া থেকে শুনছি। কলেজে পড়ার সময় শুনেছিলাম। আজ হঠৎ করে ইউটিউবে পেয়ে গিয়ে শুনলাম। অনেক দিন ধরে খুঁজছিলাম। বাংলাদেশের গান বলে জানতাম না। কিন্তু দুর্দান্ত গানটা তৈরি করেছিল। জাভা ফোনে শুনতাম। এখন তো অ্যান্ড্রয়েডের যুগ।’ এসব মন্তব্যে মিলাকে পাওয়া যায়।

মিলা নতুন গানে ও কনসার্টে গত বছর থেকেই নিয়মিত। ‘ছেঁড়া পাল’ গানটি নতুন সংগীতায়োজনে গেয়ে নিজের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করেছেন। ২০২৪ সালের জুনে জি সিরিজের ব্যানারে আসা ‘টোনা টুনি’ গানের ভিডিওতে মিলার প্রাণবন্ত উপস্থিতি ‘রূপবান’ গানের স্মৃতি মনে করিয়ে দেয়।

মিলা ইসলাম
শিল্পীর সৌজন্যে

গেল কুরবানির ঈদে মুক্তি পাওয়া সিনেমা ‘ইনসাফ’-এ মিলার কণ্ঠে থাকা গানটি দারুণ সাড়া ফেলেছে। পাশাপাশি দেশের বাইরে একাধিক কনসার্টে অংশ নিয়ে দর্শকদের মাতিয়ে তুলেছেন এই রকস্টার। মঞ্চে তাঁর প্রাণবন্ত পারফরম্যান্স আর আত্মবিশ্বাসী উপস্থিতি যেন আবার মনে করিয়ে দেয় সেই ‘বাবুরাম সাপুড়ে’র যুগ, যে যুগে মিলা ছিলেন বাংলাদেশের সংগীতমঞ্চের আকর্ষণ।

‘অনেক দিন দূরে থাকায় যেমন সময় নষ্ট হয়েছে, তেমনি এই বিরতিটা প্রয়োজনও ছিল,’ বললেন মিলা। একটু থেমে যোগ করলেন, ‘জীবনের নানা অনুভূতি, অভিজ্ঞতা ও সংগ্রামকে পাশে ফেলে নতুন করে শুরু করতে সময় লাগে। আমি সেই সময়টা নিয়েছি। এখন মনে হয়, আবার ওড়ার সময় এসেছে। আমার বিশ্বাস ছিল, শ্রোতারা আমাকে ভুলে যাবেন না। সেই বিশ্বাসই আমাকে আবার টেনে এনেছে মঞ্চে।’ অবশ্য মিলা বারবার মনে করিয়ে দেন, ‘গানে ফিরিনি, গানের ছিলাম।’

জীবনের নানা অনুভূতি, অভিজ্ঞতা ও সংগ্রামকে পাশে ফেলে নতুন করে শুরু করতে সময় লাগে। আমি সেই সময়টা নিয়েছি। এখন মনে হয়, আবার ওড়ার সময় এসেছে।
মিলা ইসলাম
মিলা ইসলাম
শিল্পীর সৌজন্যে

আন্তর্জাতিক মঞ্চে
এখন আরও প্রাণবন্ত মিলা। নিয়মিতই শো করছেন। গান নিয়ে নতুন নতুন পরিকল্পনা। রোববার যখন তাঁর সঙ্গে আলাপ হয়, তখন তিনি দূর দেশে—কে-পপের দেশ দক্ষিণ কোরিয়ায়। সৌদি আরব ও কানাডার পর এবার গানের সুরে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করেছেন দক্ষিণ কোরিয়ায়। গত রোববার দক্ষিণ কোরিয়ার চাংওন শহরে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক ২০তম অভিবাসী আরিরাং বহু সংস্কৃতি উৎসবে গান করেন তিনি। জানালেন, ২৪টি দেশের মধ্যে তাঁদের পরিবেশনা বেশ সাড়া ফেলেছে। ‘আমরা চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছিলাম। প্রবাসী বাঙালিদের পাশাপাশি স্থানীয় এবং নানান দেশ থেকে আসা দর্শকদের মনও জয় করতে পেরেছি। এটা শুধু আমার নয়, আমাদের বাংলাদেশের সংগীতের জয়,’ বললেন মিলা। আরও বললেন, ‘স্টেজে দাঁড়িয়ে গান গাওয়ার আনন্দের তুলনা হয় না। শ্রোতার মুখের হাসি, তালি, উল্লাস—সবকিছুই আমাকে নতুন করে বাঁচায়।’

গুঞ্জনে নয়, গানে মনোযোগ
নতুন উদ্যমে কাজ শুরুর পর থেকেই সিনেমার গান, একক গান, স্টেজ—সবখানেই সক্রিয় মিলা। ‘ইনসাফ’ ছবিতে তাঁর গাওয়া ‘আকাশেতে লক্ষ তারা ২.০’ ইউটিউব ও ওটিটির কল্যাণে ছড়িয়ে পড়েছে। শওকত আলী ইমন সুরারোপিত এবং ফারিণ ও শরীফুল রাজ অভিনীত এ গানের ভিডিওর ইউটিউবে ভিউ ৮৫ লাখের বেশি। এই গানের পরিপ্রেক্ষিতে সময়ের আরেক আলোচিত শিল্পী ন্যান্‌সি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মিলার উদ্দেশে লিখেছিলেন, ‘আমাদের একমাত্র রকস্টার, তোমার জন্য ভালোবাসা ও সজোর করতালি। তুমি ভেঙেছ বাধার দেয়াল, চ্যালেঞ্জ করেছ চলতে থাকা নিয়মে, আর অনুপ্রাণিত করেছ অসংখ্য মানুষকে তোমার সাহসী কণ্ঠে। তুমি শুধুই একজন সংগীতশিল্পী নও, তুমি এক চলমান আন্দোলন। এই নতুন অধ্যায় হোক আরও শক্তি, আবেগ আর স্মরণীয় সুরে ভরপুর। রক অন, রানি।’
বন্ধু, সহকর্মী, ভক্তদের ভালোবাসায় আপ্লুত মিলা। বলেন, ‘শ্রোতারা এখনো আমার পুরোনো গানগুলো ভালোবাসেন, নতুন গানগুলোও গ্রহণ করছেন। সামনে আরও কয়েকটি গান প্রকাশের প্রস্তুতি নিচ্ছি।’

মিলা ইসলাম
শিল্পীর সৌজন্যে

একসময় মিলাকে ঘিরে নানা গুঞ্জনে সরগরম ছিল মিডিয়া। ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আর কোনো চর্চা তিনি বাড়াতে চান না। ‘ভাই, এসব নিয়ে আর প্যাঁচাল বাড়াতে চাই না!’ একটু বিরক্তি নিয়েই বললেন। যোগ করলেন, ‘আগে এসব গসিপ আমাকে কষ্ট দিত, এখন আর গুরুত্ব দিই না। কারণ, এগুলো নিয়ে ভাবলে মনোবল নষ্ট হয়। আমি জানি, আমার কাজই আমার পরিচয়। মানুষ কী বলল, তাতে আমার কিছু যায় আসে না।’ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেন। এই তো কিছুদিন আগে ফেসবুকেও একটি পোস্টে লিখেছেন, ‘এ মুহূর্তে আমি ক্যারিয়ারকে “বিয়ে” করেছি। আমি আপাতত বিয়ে নিয়ে ভাবছি না, এখন ক্যারিয়ার নিয়ে ভাবছি। নতুন অনেক কাজ করছি, কনসার্ট করছি। আশা করব, আমার বিয়ের জন্য দোয়া না করে ক্যারিয়ারের জন্য শুভকামনা জানাবেন।’

সময়, সিন্ডিকেট ও ভাইরাল যুগ
২০ বছরে ফিতা, সিডি, ভিসিডি, এমপিথ্রি, এফএম রেডিওর যুগ থেকে এখন ইউটিউব ও টিকটকের সময়। এই পরিবর্তনকে ইতিবাচকভাবে দেখেন মিলা। ‘আগে অডিও ক্যাসেট, রেডিও বা টিভিতে গান ছড়াত, এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় মুহূর্তেই পৌঁছে যায়। শ্রোতারা সঙ্গে সঙ্গেই প্রতিক্রিয়া জানাতে পারেন, এটা শিল্পীর জন্য ভালো। কারণ, এতে আমরা চ্যালেঞ্জ নিতে শিখি,’ বললেন তিনি। মিলা মনে করেন, কোনো সিন্ডিকেটই এখন শ্রোতার ভালোবাসা কিনে নিতে পারে না। বলেন, ‘দিন শেষে শ্রোতাই আসল বিচারক। গান ভালো না হলে কোনো সিন্ডিকেটই তাঁকে বাঁচাতে পারে না। এখন সময় বদলে গেছে; ইউটিউব, ফেসবুক, টিকটক—সবখানেই নতুন শিল্পীরা নিজেরাই শ্রোতা বানিয়ে নিচ্ছেন। এটা সুযোগের সময়। সুযোগটা নিজের মতো কাজে লাগাতে পারলেই প্রমাণ করা যাবে নিজেকে।’

মিলা ইসলাম
শিল্পীর সৌজন্যে
ফেসবুকে প্রায়ই দেখা যায়, ঘরোয়া পরিবেশে নজরুলগীতি বা রবীন্দ্রসংগীত গাইছেন মিলা। কখনো রাগ ইমন চর্চা করছেন। সেখানে তাঁর দখল স্পষ্ট।

ভাইরাল সংস্কৃতি নিয়ে হতাশাও আছে। এক সাক্ষাৎকারে মিলা বলেন, ‘একটা কথা সবার মনে রাখা উচিত, ভাইরাল মানেই হিট, এটা ভুল। আগে গান জনপ্রিয় হতো, তারপর মানুষ সেই গানে নাচত। এখন গান প্রকাশের পরই টিকটকারদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়, যেন ভাইরাল হয়। এতে শিল্পের জায়গা থেকে গান সরে যাচ্ছে।’ এআই নিয়েও তাঁর শঙ্কা, ‘বাইরে শুরু হয়ে গেছে। যেভাবে এগোচ্ছে, মনে হয় এখানেও খুব শিগগির এআই দিয়েই গান গাওয়ানো হবে। অথচ শিল্পের আসল সৌন্দর্য মানুষের অনুভূতি, কখনো মেশিনে আসবে না।’

‘আমি এখনো শুরুতেই আছি’
ফেসবুকে প্রায়ই দেখা যায়, ঘরোয়া পরিবেশে নজরুলগীতি বা রবীন্দ্রসংগীত গাইছেন মিলা। কখনো রাগ ইমন চর্চা করছেন। সেখানে তাঁর দখল স্পষ্ট। ‘মায়ের কাছে আমার সংগীতের হাতেখড়ি। তাঁর কাছ থেকে নজরুলগীতি, রবীন্দ্রসংগীত শিখেছি। আজও ঈদের সময় আমরা একসঙ্গে বসে গান করি। আমি চাই, সবাই পরিবার থেকেই সংস্কৃতিচর্চা শুরু করুক,’ বলেন মিলা। দুই দশকের যাত্রা পেরিয়েও নিজেকে ‘সেই সময়ের শিল্পী’ ভাবতে নারাজ মিলা। বরং এখনো নিজেকে তরুণই মনে করেন। ‘অনেকে বলে, দীর্ঘ সফর। কিন্তু আমি সেটিকে দীর্ঘ ভাবতে চাই না,’ বললেন তিনি। যোগ করেন, ‘কারণ, আমি এখনো অনেক কিছু দিতে চাই। অনেক মঞ্চ, অনেক গান, অনেক শ্রোতা আমার অপেক্ষায়। এই যে কোরিয়াতে এতগুলো দেশের শিল্পীদের মধ্যে আমাদের পরিবেশনায় যে পরিমাণ সাড়া পেয়েছি, তা প্রমাণ করে, আমরা সময়ের সঙ্গেই আছি; একটুও পিছিয়ে পড়িনি।’
কোরিয়ার অনুষ্ঠানের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে মিলা আরও বলেন, ‘শ্রোতাদের ভালোবাসা আমার সবচেয়ে বড় সম্পদ। এই ভালোবাসাই আমাকে সময়ের সঙ্গে হারিয়ে যেতে দেয়নি; বরং নতুন শক্তি দিয়েছে। মাঝেমধ্যে ভাবি, সত্যিই কি ২০ বছর পার হয়ে গেল? অথচ মনে হয়, যেন কিছুদিন আগেই শুরু করলাম।’

মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) দেশে ফিরছেন মিলা। জানালেন, দেশে ফিরেই আবার ব্যস্ত হয়ে পড়বেন গান নিয়ে। সামনে আছে আরও কিছু বড় পরিকল্পনা। ‘ভিনদেশে শো করতে গিয়ে বুঝেছি, আমাদের গান এখন বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে,’ বললেন তিনি। ‘প্রবাসী শ্রোতারা এখনো আমার পুরোনো গানগুলো একসঙ্গে গেয়ে ওঠেন। তাঁদের উচ্ছ্বাস, তাঁদের হাসিমুখ আমাকে প্রতিনিয়ত নতুন করে বাঁচায়, নতুন করে গান গাইতে অনুপ্রাণিত করে।’

কোরিয়ার অনুষ্ঠানের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে মিলা আরও বলেন, ‘শ্রোতাদের ভালোবাসা আমার সবচেয়ে বড় সম্পদ। এই ভা
মায়ের কাছে সংগীতের হাতেখড়ি
শিল্পীর সৌজন্যে

সেই নবম শ্রেণিতে পড়ার সময় নিজের গান দিয়ে সাড়া ফেলেছিলেন। দুই দশক পরও সেই নাম এখনো আলোচনায়। এখন এখানে-সেখানে পারিবারিক, সামাজিক আয়োজনে ‘বাবুরাম সাপুড়ে’ কিংবা ‘রূপবানে নাচে কোমর দুলাইয়া’ গানের তালে দুলে ওঠেন ৯ থেকে ৯০ বছরের মানুষ। তবে মিলার ভাবনা ভিন্ন, ‘এই পর্যায়ে এসে মনে হয় না আলোচনায় থাকতে হবে,’ বললেন মিলা। জানালেন, ‘বরং ভালো কাজ দিয়েই টিকে থাকতে হবে। আমি সে পথেই হাঁটছি। আমি এখনো শুরুতেই আছি—এই পথের শেষ আমি দেখতে চাই না।’
দুই দশকের পথচলায় মিলা এখন আরও পরিণত, আরও আত্মবিশ্বাসী। একসময় আলোচনার কেন্দ্রে ছিলেন তিনি, এখন আলো খুঁজে পান নিজের সুরে। মিলা জানেন, আলোচনায় থাকা নয়, আলো ছড়ানোই আসল কথা। তাই তিনি হাঁটছেন সেই পথে, যেখানে গানের মধ্যেই বেঁচে থাকবে তাঁর নাম, তাঁর সময়, তাঁর সুর।