একটি রবীন্দ্রসংগীত গাওয়ার জন্য দেড় কোটি
এড শিরান থেকে শুরু করে মার্টিন গ্যারিক্স সময়ে জনপ্রিয় তারকাদের সঙ্গে কাজ করছেন তিনি। গান ছাড়াও জীবনযাপন থেকে ব্যবহার—সবকিছুর কারণেই অনুরাগীদের বিশেষ পছন্দ অরিজিৎ সিংকে। কিন্তু তাঁর এই ইমেজের সঙ্গে তাঁকে মেলাতে পারলেন না বাবুল সুপ্রিয়! কিন্তু কেন?
হিন্দিতে অনুবাদ করা হচ্ছে ছয়টি রবীন্দ্রসংগীত। মুম্বাইয়ের একটি অডিও সংস্থার পক্ষ থেকে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বলিউডের জনপ্রিয় গীতিকার অমিতাভ ভট্টাচার্যকে এই অনুবাদের দায়িত্ব দিয়েছেন বাবুল সুপ্রিয়।
রঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, এই গানগুলো কোথায়, কখন লেখা হয়েছে। গানগুলো গাইছেন শ্রেয়া ঘোষাল, শান, মধুমন্তী বাগচী, বাবুল সুপ্রিয় নিজে। অরিজিৎ সিংয়ের এই অ্যালবামে দুটি গান গাওয়ার কথা ছিল। একটি একক ও একটি দ্বৈত গান গাওয়ার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু সেই গান গাওয়ার জন্য তিনি যে পারিশ্রমিক চেয়েছেন, সেটা শুনেই চক্ষু চড়কগাছ হয়েছে বাবুলের।
অরিজিৎ সিংয়ের ম্যানেজারের পক্ষ থেকে দেড় কোটি রুপি করে চাওয়া হয়েছে প্রতিটি গানের জন্য। অরিজিৎ এমন পারিশ্রমিক চাওয়ায় অবাক হয়েছেন বাবুল।
বাবুল সুপ্রিয় এই বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গের গণমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকাকে জানিয়েছেন, ‘রবীন্দ্রসংগীতের ঐতিহ্যকে ধরে রাখা, বজায় রাখাটাই হলো এই কাজের মূল উদ্দেশ্য। কোনো বাণিজ্যিক উদ্যোগ নয় এটা। সেখানে দেড় কোটি করে প্রতিটি গানের জন্য চাওয়ায় আমি খুবই আশ্চর্য হয়েছি। অবাক হয়েছি খুব।’
তিনি এদিন আরও জানিয়েছেন, তাঁরা সবাই কম পারিশ্রমিকে কাজ করছেন।
সেখানে অরিজিৎ এমন অর্থ চাওয়ায় তিনি বিস্ময় প্রকাশ করে বলেছেন, ‘খুব সাদামাটা জীবন যাপন করে অরিজিৎ, আমরা তো এমনটাই জানি। সেটাই দেখেছি। সেখানে অরিজিৎকে এই টাকার অঙ্কের সঙ্গে মেলাতে পারছি না। গত সপ্তাহে শ্রেয়া, মধুমন্তী, শানের গানগুলো ডাব করে এসেছি। অমিতাভকে দিয়ে গানগুলো লেখানো হয়েছে। চেয়েছিলাম, যাতে গানের মূলভাব না বদলায়। অরিজিতের জন্য যে গানগুলো ভেবেছিলাম, সেগুলো তাঁকে ছাড়া ভাবতেই পারছি না।’
এ বিষয়ে অরিজিৎ নিজে কোনো মন্তব্য করেননি এখনো।