জন্মদিনে স্বামীকে নিয়ে কনকচাঁপার আবেগঘন পোস্ট
সুরকার ও সংগীত পরিচালক স্বামী মইনুল ইসলাম খানের জন্মদিনে তাঁকে নিয়ে ফেসবুকে আবেগঘন কথা লিখেছেন সংগীতশিল্পী কনকচাঁপা। আজ স্বামীর ৬৬তম জন্মদিনে তিনি লিখেছেন, ‘তুমি আমাকে শিল্পী হিসেবে, তোমার স্ত্রী হিসেবে মুক্তা যেমন সযত্নে তুলায় পেঁচিয়ে রাখে, তেমন রেখেছ আজীবন। সেখানে আমি কতটুকুই–বা প্রতিদান দিতে পারি!’
স্বামী মইনুল ইসলাম খানের সুরে অডিওতে যেমন গান গেয়েছেন, তেমনই চলচ্চিত্রের গানেও কণ্ঠ দিয়েছেন কনকচাঁপা। এ ছাড়া কনকচাঁপার পুরো সংগীতজীবনে ছায়ার মতো পাশে রয়েছেন তাঁর এই সুরকার ও সংগীত পরিচালক স্বামী। এ কথাটা মনে করে স্বামীর জন্মদিনে কনকচাঁপা লিখেছেন, ‘তোমার জন্মদিনে কিছু “না–বলা কথা” বলি কথাগুলো হলো, এই এক জীবনে তোমার কাছে আমার কৃতজ্ঞতার অন্ত নেই। তুমি আমাকে লালন না করলে আমি কি “আমি” হতাম? আমার হাজার হাজার রেকর্ডিং, হাজার হাজার মঞ্চে তুমি যেভাবে চোখ দিয়ে আমাকে আগলে রেখেছ, তা সত্যিই বিরল। তোমার হাত ধরে রাস্তা পার হতে যেমন আমি ডানে বাঁয়ে তাকাই না, তেমন গাইতে গেলে আর কতক্ষণ গাইব সময় গুনি না। দর্শক ভাবে, কনকচাঁপা নিজে একটার পরে একটা সাজিয়ে গাইছেন, কিন্তু নেপথ্যে তোমার সরব উপস্থিতি অনেকেই বোঝে না। তুমি আমাকে শিল্পী হিসেবে, তোমার স্ত্রী হিসেবে মুক্তা যেমন সযত্নে তুলায় পেঁচিয়ে রাখে, তেমন রেখেছ আজীবন। সেখানে আমি কতটুকুই–বা প্রতিদান দিতে পারি!’
কনকচাঁপা রান্নাবান্নাও করে থাকেন। রান্নার ভিডিও নিজের ফেসবুকে পোস্টও করেন। দেশের জনপ্রিয় এই সংগীতশিল্পীর রান্নার প্রশংসা তাঁর গানের মতোই ছড়িয়েছে।
কনকচাঁপা তাঁর ফেসবুক রান্নার প্রসঙ্গ টেনে পোস্টে লিখেছেন, ‘তুমি বাজার না করলে আমি রান্না করে কোনো শান্তিই পাই না। সামান্য নুনও আমার নুন বলে মনে হয় না। আর তোমার সঙ্গে ঝগড়া না করলে আমার দম আটকে আসে। আর তার চেয়েও বড় কথা আমি তোমার সঙ্গে ঝগড়া করে অনেক মজা পাই, কারণ তুমি বেশির ভাগ সময় জুতসই শব্দ খুঁজে না পেয়ে খেই হারাও। আর আমার মুখে সারগামের সপাট তানের মতো খই ফোটে, হাহা। অগত্যা তুমি যখন অসহায় হয়ে বলো, ছি ছি মানুষ যদি জানত যে তুমি এত ঝগড়া করতে পারো! তখন আমি বুঝি, আমি নিশ্চিত জিতে গেছি, হিহিহি।’
বয়স না বাড়িয়ে বলতে স্বামীর প্রতি আবদার জানিয়ে কনকচাঁপা ফেসবুকে লিখেছেন, ‘তুমি সব সময় মানুষের কাছে নিজের বয়স বাড়াও, এই কাজ আর কখনো করবে না। আর একটা কথা, আম্মা তো নেই, এখন আমিই তোমার একমাত্র আশ্রয়, বোঝো কিন্তু। আমার আরও কিছু গাছ দরকার, ঠিকঠাক কিনে দিয়ো আচ্ছা? আর এ বছর সিগারেটটা ছেড়ে দাও প্লিজ। আজকের দিনে আল্লাহর কাছে আমার এই দোয়া, আল্লাহ যেন তোমাকে অনেক লম্বা নেক হায়াত দেন, সুদীর্ঘ আয়ু নিয়ে আমাকে সঙ্গে নিয়ে বেঁচে থাকো। শুভ জীবন বন্ধু।’
কনকচাঁপা তাঁর ফেসবুক পোস্টের শুরুতে স্বামীকে বন্ধু সম্বোধন করে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে লিখেছেন, ‘বন্ধু, আজ তোমার জন্মদিন! আজ থেকে ৬৬ বছর আগে এই দিনে তুমি জন্মেছিলে। বুড়ি দাদির মতো আমার খুব সেই আঁতুড়ঘর দেখতে ইচ্ছা হয়! শীতের রাত, আমার প্রিয়তমা শাশুড়ি আম্মা না জানি কত কষ্ট করেছেন। তখন তো আর ডায়াপার ছিল না। কী গোলাপি একটা তুলার বল না জানি ছিলে! একটু দেখতে পেতাম! তোমার পয়লা স্কুলে যাওয়ার দিন তোমাকে কেমন দেখাচ্ছিল, সেটা জানার খুব আগ্রহ। যদিও পারিবারিক অ্যালবামে আমি তোমার অনেক ছোটবেলার ছবি দেখে, তোমার শৈশব–কৈশোর মুখস্থ। আমার শ্বশুর–শাশুড়িকে কৃতজ্ঞতা, তাঁরা তোমাকে জন্ম দিয়েছেন।’