গান শুনিয়ে সংগীতজীবনের ৫০ বছর উদ্‌যাপন করলেন উল্কা হোসেন

রাত আটটা পর্যন্ত গানের জাদু ছড়িয়ে উল্কা উদ্‌যাপন করেন তাঁর সংগীতজীবনের ৫০ বছরসরগম

সুরের মূর্ছনায় গত শুক্রবার সন্ধ্যা মাতিয়ে রাখলেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী উল্কা হোসেন। ২২ ডিসেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় এ শিল্পীর একক সংগীতসন্ধ্যা। এদিন পৌষের হিমেল ছোঁয়া আর শিল্পীর গানে গানে মেতে ওঠেন সমবেত শ্রোতারা।
আয়োজক সংগঠন সরগমের ঐতিহ্য অনুযায়ী ঘড়ির কাঁটা ধরে বিকেল সাড়ে পাঁচটায় মাইক্রোফোন অন হয়। সরগম সম্পাদক কাজী রওনাক হোসেন সবাইকে স্বাগত জানিয়ে অনুষ্ঠান শুরু করেন। রাত আটটা পর্যন্ত গানের জাদু ছড়িয়ে উল্কা উদ্‌যাপন করেন তাঁর সংগীতজীবনের ৫০ বছর।
এ শিল্পীর প্রথম পরিবেশনা ছিল ‘জন্ম আমার ধন্য হলো মাগো’। এরপর একে একে পরিবেশন করেন সংগীতের স্বর্ণযুগের কিছু গানের পাশাপাশি রবীন্দ্রসংগীত, নজরুলসংগীত ও পল্লিগীতি।

পরিবেশিত গানের মধ্যে ছিল ‘আমি রজনীগন্ধা ফুলের মতো’, ‘যার ছায়া পড়েছে’, ‘কে দুরন্ত বাজাও’, ‘অরুণ কান্তি কে গো যোগী ভিখারি’, ‘আমি পূরব দেশের পুর নারী’, ‘চাঁদের কন্যা চাঁদ সুলতানা’, ‘তুমি আসবে বলে’, ‘বিমূর্ত এই রাত্রি আমার’, ‘ঘুম ঘুম চাঁদ ঝিকিমিকি তারা’, ‘মধুমালতী ডাকে আয়’, ‘দুই ভুবনের দুই বাসিন্দা’, ‘খাঁচার ভিতর অচিন পাখি’, ‘পুরোনো সেই দিনের কথা’ গানগুলো।

২২ ডিসেম্বর উল্কা হোসেনের জন্মদিনও ছিল। যাঁরা এটা জানতেন, তাঁরা শিল্পীকে শুভেচ্ছা জানান
সরগম

এ ছাড়া সংগীতশিল্পী উল্কা হোসেন তাঁর মৌলিক গানের মধ্যে গীতিকার মনিরুজ্জামান মনির ও সুরকার আলাউদ্দীন আলীর ‘আমার কলমবন্ধু’ এবং সুরকার আইয়ুব বাচ্চু ও গীতিকার সাজ্জাদ হুসেনের ‘একা একা সময় গুনে গুনে’ গান দুটি পরিবেশন করেন। পরপর ১৬টি গান গেয়ে প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে শ্রোতাদের মুগ্ধ করে রাখেন তিনি।
২২ ডিসেম্বর উল্কা হোসেনের জন্মদিনও ছিল। যাঁরা এটা জানতেন, তাঁরা শিল্পীকে শুভেচ্ছা জানান। শুভেচ্ছা জানাতে এসেছিলেন প্রতিষ্ঠিত শিল্পী, সাহিত্যিক, কবিসহ অনেকেই। উল্কা হোসেন রীতিসিদ্ধ সাংগীতিক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিল্পী।