‘সালমার কাছ থেকে আলাদা হয়ে গেছি’, ফেসবুকে লিখেছেন স্বামী
এক দিনে ফেসবুকে দুটি পোস্ট দিয়েছেন গায়িকা মৌসুমী আক্তার সালমার আইনজীবী স্বামী সানাউল্লাহ নূরে সাগর। প্রথমটিতে তিনি লিখেছিলেন, ‘সালমার কাছ থেকে আলাদা হয়ে গেছি।’ সন্ধ্যায় আরেক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘আরও বিস্তারিত।’ এতে বুঝতে আর বাকি নেই, সালমার সঙ্গে আইনজীবী স্বামী সাগরের ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে।
২০১৮ সালের শেষ দিনে পারিবারিক আয়োজনে বিয়ে করেন সালমা। প্রথম সংসারের বিচ্ছেদের সাড়ে তিন বছর পর আইনজীবী সানাউল্লাহ নূরেকে বিয়ে করেন সালমা। এর পরের বছরের জানুয়ারিতে সাংবাদিকদের ডেকে স্বামীর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন এই গায়িকা। সাত বছরের মাথায় তাঁর এই সংসারের বিচ্ছেদের খবর জানালেন সানাউল্লাহ।
ফেসবুকে সানাউল্লাহর লেখা পোস্ট এ রকম, ‘কণ্ঠশিল্পী সালমার সঙ্গে আমার দাম্পত্য জীবনের ইতি টেনেছি। আমাদের মধ্যে বিচ্ছেদ হয়েছে। একান্তই পারস্পরিক মতের অমিল, চিন্তা এবং মানসিকতার দূরত্বই দুজনের আলাদা হয়ে যাওয়ার কারণ। পারস্পরিক সম্মান ও মর্যাদাকে অক্ষুণ্ন রেখে আমাদের বৈবাহিক জীবনের সমাপ্তি ঘটালাম। আশা করছি, এই বিষয়টা নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করা থেকে সবাই বিরত থাকবেন।’
সানাউল্লাহ নূরে সাগর ফেসবুক পোস্টের শেষে লিখেছেন, ‘আমরা দুটি মানুষ আলাদা হলেও আমাদের একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। সুতরাং আমার সন্তানের মাতা হিসেবে সালমা চিরজীবন আমার কাছে সম্মান, শ্রদ্ধা ও মর্যাদার জায়গায় অটুট থাকবেন। সর্বোপরি কণ্ঠশিল্পী সালমার প্রতি আমি চিরকৃতজ্ঞ!’ বিচ্ছেদের বিষয়ে সালমা এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কিছুই বলেননি।
কুষ্টিয়ার মেয়ে মৌসুমী আক্তার সালমা সংগীতবিষয়ক রিয়েলিটি শো ‘ক্লোজআপ ওয়ান–তোমাকেই খুঁজছে বাংলাদেশ’-এর দ্বিতীয় আসরের বিজয়ী ছিলেন। এর পর থেকে তিনি নিয়মিতই গানের সঙ্গে যুক্ত রেখেছেন নিজেকে। পেয়েছেন জনপ্রিয়তাও। ২০১১ সালে পারিবারিকভাবে তাঁর প্রথম বিয়ে হয় দিনাজপুর-৬ আসনের সাবেক এমপি শিবলী সাদিকের সঙ্গে। সে সংসারে তাঁদের রয়েছে একমাত্র কন্যা স্নেহা। ২০১৬ সালে বনিবনা না হওয়ায় সেই সংসারে বিচ্ছেদ ঘটে। সালমা ও সাগরের সংসারেও একটি কন্যাসন্তান রয়েছে।