তিন মহাজনের গান নিয়ে নবনীতা

নবনীতা চৌধুরীফেসবুক থেকে

নবনীতা চৌধুরীর লোকগানের নতুন অ্যালবাম প্রকাশিত হয়েছে। তিন মহাজনের গান শিরোনামের অ্যালবামটি বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের ইউটিউব চ্যানেলে অবমুক্ত হয়।

আরও পড়ুন

অ্যালবামে স্থান পেয়েছে বাংলা লোকগানের তিন মহাজন—লালন সাঁই, হাসন রাজা ও রাধারমণ দত্তের গান।

নতুন অ্যালবাম নিয়ে এক ফেসবুক পোস্টে শিল্পী বলেন, ‘বাংলা লোকগানের তিন মহাজন—লালন সাঁই, হাসন রাজা এবং রাধারমণ দত্তের গান দিয়ে সাজানো আমার এই গানের ডালি। সময় পেলে আপনারা শুনবেন। আমাকে মতামত জানাবেন। যে আনন্দ নিয়ে এবং গভীর প্রার্থনায় এই গানগুলো আমি গেয়েছি, আশা করি আপনাদেরকেও তা স্পর্শ করবে।’

এখনকার সময়ে শিল্পীরা অ্যালবাম আকারে গান প্রকাশ খুব একটা করেন না। বেশির ভাগ শিল্পীই একক গান প্রকাশ করে থাকেন। সে জায়গা থেকে কেন দশটি গান নিয়ে অ্যালবাম করলেন, এমন প্রশ্নের উত্তরে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় নবনীতা চৌধুরী

নবনীতা চৌধুরী। প্রথম আলো

মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে আমার মনে হয়, গানেরও তো একটা জার্নি আছে। বাউলগান, লোকগান—এগুলো আসলে একটা করে শোনার গান না। যিনি শুনবেন আর যিনি গাইবেন, তাঁদের একটা যাত্রা সম্পন্ন হতে হয়। শ্রোতা ও শিল্পীর মধ্যে একটা সংযোগ তৈরি হতে হয়। যে কারণে আমার একটানা এক ঘণ্টা, দুই ঘণ্টা গাইতে ভালো লাগে। মঞ্চে গান করার সময় আমি গানের ফাঁকে গানের গল্পও বলি—গান কোথা থেকে এল, কোন গান থেকে আমি কী বুঝতে পরলাম; এভাবেই শ্রোতার সঙ্গে একটা সংযোগ তৈরির চেষ্টা করি। এই জায়গা থেকে মনে হয় অ্যালবামে ১০টা-১২টা গানের নিচে শ্রোতার সঙ্গে সেই সংযোগটা তৈরি হয় না।’

তিন মহাজনের গান অ্যালবামে স্থান পাওয়া ১০টি গানের মধ্যে আছে লালন সাঁইয়ের ‘আছেন কোথায় স্বর্গপুরে’, ‘বাড়ির কাছে আরশিনগর’; হাসন রাজার ‘আমি না লইলাম’, ‘হাসন রাজায় কয়’ এবং রাধরমণ দত্তর ‘কুঞ্জের মাঝে কে গো’, ‘জলের ঘাটে দেইখ্যা আইলাম’ ইত্যাদি গান।