বিটিএসের জাংকুকের অজানা কষ্টের গল্প উঠে এল এই বইয়ে

জাংকুক। রয়টার্স

কে-পপ তারকা, কোরীয় ব্যান্ড বিটিএসের সবচেয়ে কম বয়সী সদস্য জাংকুক কীভাবে বিশ্বজুড়ে সংগীত তারকায় পরিণত হলেন, সেটাই উঠে এসেছে নতুন বইয়ে। বইটি লিখেছেন ভোগ সাময়িকীর সাবেক ফ্যাশন সম্পাদক মনিকা কিম। ‘দ্য মিনিং অব জাংকুক: দ্য ট্রায়াম্প অব বিটিএস অ্যান্ড দ্য মেকিং অব আ গ্লোবাল পপস্টার’ বইয়ে তিনি জানিয়েছেন গায়ককে নিয়ে নানা অজানা কথা। বইটির একাধিক অংশ ইতিমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে, যেখানে উঠে এসেছে জাংকুকের কঠোর পরিশ্রম, ভক্তদের প্রতি আবেগ ও তারকা হয়ে ওঠার গল্প।
মনিকা কিম লিখেছেন, বিটিএসের ব্যাপক জনপ্রিয়তার পেছনে সংস্থার ভূমিকা থাকলেও জাংকুকের জনপ্রিয়তার পেছনে রয়েছে তাঁর কঠোর পরিশ্রম, হার না–মানার মানসিকতা।

হাঁপাতে হাঁপাতে মঞ্চে পারফর্ম
বইয়ে কিম বর্ণনা করেন ২০১৬ সালের এক কনসার্টের কথা, যেখানে ক্লান্ত ও শ্বাসকষ্টে ভুগতে থাকা জাংকুককে পাওয়া যায়। তবে শরীর সায় না দিলেও মঞ্চ ছাড়তে রাজি হননি জাংকুক। মনিকাকে তিনি বলেছিলেন, ‘আমি ভালো অবস্থায় ছিলাম না, সেটা শরীর বুঝিয়ে দিচ্ছিল। তবু আমি শুধু এটা ভেবে পারফর্ম করে গিয়েছি যে এই ভক্তদের সঙ্গে অনেক দিন দেখা হবে না।’ ভক্তদের কাছে এটি বইয়ের সবচেয়ে যন্ত্রণাময় অধ্যায়গুলোর একটি, যেখানে দেখা যায়, কীভাবে বিটিএসের এই তরুণ সদস্য শারীরিক কষ্ট সইয়েও ভক্তদের জন্য কনসার্ট চালিয়ে গেছেন।

জাংকুক। ইনস্টাগ্রাম থেকে

এক ভক্ত মন্তব্য করেছেন, ‘জাংকুক আমাদের ভালোবাসার প্রতিদান দিতে চায়। কিন্তু আমি মাঝেমধ্যে ভাবি, সে নিজেকে যেন আমাদের চাওয়াগুলোর সামনে হারিয়ে না ফেলে। তার নিজের জন্যও ভাবা দরকার।’
বইয়ের এই অধ্যায় প্রকাশ্যে আসার পর আরেক ভক্ত লিখেছেন, এ ঘটনাগুলো রোমান্টিক করে দেখার কিছুই নেই। এমন অবস্থায় জাংকুককে কখনোই পারফর্ম করার অনুমতি দেওয়া উচিত হয়নি।

তিনটি বড় ব্র্যান্ডের আগ্রহ, একটাই পছন্দ
বইটিতে মনিকা কিম আরও উল্লেখ করেন, কীভাবে ক্যালভিন ক্লেইন জাংকুককে শুভেচ্ছাদূত হিসেবে পাওয়ার পরপরই বিক্রির রেকর্ড ভেঙে দেয়। অথচ এর আগেও অন্তত তিনটি বড় ফ্যাশন হাউস জাংকুককে পাওয়ার জন্য মরিয়া ছিল, কিন্তু তিনিই তাদের ফিরিয়ে দেন।

আরও পড়ুন

জাংকুক যখন বিটিএসে যোগ দেন, তখন তাঁর বয়স মাত্র ১৫ বছর। এখন তাঁর প্রভাব সংগীতের গণ্ডি ছাড়িয়ে ফ্যাশন, খাদ্য, এমনকি লাইফস্টাইল পর্যন্ত ছড়িয়ে গেছে। তিনি যা পরেন, খাচ্ছেন বা ব্যবহার করেন, তা মুহূর্তেই বিক্রি হয়ে যায়। মনিকা কিম লিখেছেন, ‘জাংকুকই সেই মানুষ, যিনি আমাকে সত্যি অবাক করে দিয়েছেন। তিনি অসম্ভবভাবে সুন্দর। অসম্পূর্ণভাবে পরিপূর্ণ।’

আরও পড়ুন

বই যেন শুধু জাংকুকের গল্প নয়; বরং এক তরুণ শিল্পীর অন্তরঙ্গ সংগ্রামের দলিল। যেখানে মঞ্চের ঝলমলে আলোর পেছনে রয়েছে নিঃশব্দ কষ্ট, অবিচল নিষ্ঠা আর ভক্তদের প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা।

তথ্যসূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস