সেরা গায়কের মনোনয়ন পেয়েছিলেন অয়ন চাকলাদার, চন্দন সিনহা, ইমরান মাহমুদুল ও এরফান মৃধা শিবলু। তবে শেষ পর্যন্ত বাজিমাত করলেন এরফান মৃধাই। গত বছর মুক্তি পাওয়া ‘হাওয়া’ সিনেমার তুমুল জনপ্রিয় গান ‘সাদা সাদা কালা কালা’র জন্য মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কারে সেরা গায়কের পুরস্কার জিতেছেন তিনি।
গত বছরের মাঝামাঝি গানটি প্রকাশের পর বাংলাদেশের গণ্ডি পেরিয়ে ভারতসহ বিশ্বের নানা প্রান্তের মানুষের মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়ে ‘সাদা সাদা কালা কালা’, রাতারাতি পরিচিতি পান এরফান মৃধা শিবলু।
‘সাদা সাদা কালা কালা’ হিট করার পর একের পর এক গানের প্রস্তাব পেয়েছেন তিনি। তবে অনেকেই জানেন না গানের পাশাপাশি অভিনয়ও করেন শিবলু।
তাঁর ভাষ্যে, ‘গান দিয়ে খুব দ্রুত মানুষের কাছে যাওয়া যায়, অভিনয় কেউ দেখে কেউ দেখে না। অনেকে জানেই না। গান শুনতে না চাইলেও শোনা হয়, যেমন জ্যামে বসে আছেন, গাড়িতে বেজে উঠলে যে কেউ শুনতে পারেন।’
‘সাদা সাদা কালা কালা’ প্রকাশের আগে একটি টিভি নাটকে প্রথমবার গান করেন শিবলু। লালনগীতি, রবীন্দ্রসংগীত, নগরবাউল, মাইলস, এলআরবিসহ ব্যান্ডের গান শুনে বেড়ে উঠেছেন তিনি। এখন আর্টসেল, শিরোনামহীন, মেঘদল, তানযীর তুহিনের গান ভালো লাগে তাঁর।
শৈশবেই গানের সঙ্গে যোগ ঘটে ঢাকার ছেলে শিবলুর। তাঁর মেজ মামা ও মা টুকটাক গান করতেন। নজরুল শিক্ষালয়, ছায়ানটে কিছুদিন গান শিখেছেন। পরে ১৯৯৯ সালের দিকে বন্ধুদের নিয়ে ‘উড়নচণ্ডী’ নামে একটি ব্যান্ড করেন। তবে ব্যান্ডের সদস্যরা দেশের বাইরে চলে গেলে গান থেকে বিরতি নেন। ২০০০ সালের দিকে অনিমেষ আইচের সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ শুরু করেন, পরে নির্মাতা মেজবাউর রহমান সুমনের সঙ্গে কাজ করতে থাকেন।