একসময় কমেডিয়ান হতে চেয়েছিলাম: বিটিএসের আরএম

বিটিএসের সদস্য আরএম। রয়টার্স

‘আমি সব সময় স্পটলাইটে থাকতে পছন্দ করি। এটা ছোটবেলায়ও ছিল, এখনো একই আছে। দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাওয়া আমি কখনো ভুল মনে করি না।’ নিজের সম্পর্কে এভাবেই বলেন বিটিএসের দলনেতা কিম নামজুন, যাকে সবাই আরএম নামেই চেনেন। সম্প্রতি হার্পারস বাজার কোরিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তাঁর জীবন, ক্যারিয়ার, সেনাবাহিনীকাল এবং ভক্তদের প্রতি নিজের মনোভাব নিয়ে খোলাখুলি কথা বলেছেন বিশ্বসংগীতের আলোচিত এই তারকা।

অনেকেই বলে থাকেন তিনি দৃষ্টি আকর্ষণ করতে ভালোবাসেন। সাক্ষাৎকারে আরএম সেটা অকপটে স্বীকারও করেন। তিনি বলেন, ছোটবেলায় তাঁর ডাকনাম ছিল টক বক্স। ইন্টারনেট থেকে মজার গল্প সংগ্রহ করে বন্ধুদের সঙ্গে ভাগ করা, পাবলিক স্পিকিং, প্রেজেন্টেশন—এসবই তাঁর শখ ছিল। ‘মানুষকে হাসাতে পছন্দ করতাম। একসময় কমেডিয়ান হতে চেয়েছিলাম। তাই মনোযোগ পাওয়ার এই ইচ্ছা এখনো রয়েছে’, বলেন আরএম।

আরএম
ছবি: ইউনিসেফ

ভক্তদের কাছে কেমন থাকতে চান
আরএম বলেন, তিনি চান ভক্তরা তাঁকে মনে রাখুক একজন সাধারণ মানুষ হিসেবেই। ‘অভিষেকের পর ১২ বছর পেরিয়েছে। একসময় আমাকে কিউট, কুল বা স্মার্ট হিসেবে দেখা হতো। এখন আর সেই ধরনের খ্যাতির আকাঙ্ক্ষা নেই। আমি শুধু নিজের গতিতে, নিজের দিকেই চলতে চাই। আজকাল সেটা করা কঠিন। অন্তত একজন হলেও আমি হতে চাই, যে নিজের মতো চলে; আমি চাই, সেটা ভক্তরা অনুভব করুক। আমি আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করব, যেন মানুষ আমাকে ইতিবাচকভাবেই মনে রাখে।’, বলেন তিনি।

উত্থান-পতন আর ভক্তদের শক্তি
সাক্ষাৎকারে আরএম খোলাখুলি বলেন, ‘আমরাও অনেক উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে গেছি। কিন্তু একে অপরের ওপর বিশ্বাস রেখেছি, একে অপরকে ভরসা করি। আমাদের ভক্তরাই আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি।’ নিজের দলের সদস্যদের প্রতি আনুগত্য ও সমর্থনের কথাও ব্যক্ত করেন তিনি।

বিটিএসের সদস্য আরএম। রয়টার্স

সঙ্গী যখন স্যাক্সোফোন
আরএম সেনাবাহিনীতে থাকাকালীন স্যাক্সোফোন বাজানোই ছিল তাঁর সবচেয়ে বড় আনন্দ। সেনাবাহিনী থেকে অব্যাহতি নেওয়ার পর বাজানো নিয়ে সমালোচনা হলেও তিনি বলেন, ‘স্যাক্সোফোনের জন্যই আমি আমার সেনাজীবন উপভোগ করতে পেরেছি।’ এটা তাঁকে কঠোর সামরিক জীবনের চাপ থেকে মুক্তি দিয়েছে।

দলের সঙ্গে সম্পর্ক
আরএম সাক্ষাৎকারে বিটিএসের অন্য সদস্য জিন, সুগা, জে-হোপ, জিমিন, ভি ও জাংকুককে নিয়েও কথা বলেন। তাঁর ভাষ্যে, ‘ওরা আমাকে সবচেয়ে বেশি যা বলে, তা হলো “কিছু করো না”, “শুধু স্থির থেকো”, “চিন্তা করো না, আমরা করব।” এটা আমাকে আবেগাপ্লুত করে।’ আগে আরএম দলের সবাইকে ডেকে বলতেন, ‘শোনো, কিছু বলব, সবাই এসো।’ কিন্তু সেনাবাহিনী থেকে ফিরে এখন তিনি সাধারণভাবে বলেন, ‘আরে, ক্লান্ত নাকি?’ বা ‘আজ আসছ না?’

আরও পড়ুন

বিটিএসের নতুন অধ্যায়
আরএম ও তাঁর সহকর্মীরা চার বছর পর প্রথম পূর্ণাঙ্গ অ্যালবাম নিয়ে আসার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। বিটিএসের সাত সদস্য জুলাই থেকে যুক্তরাষ্ট্রে বসেই নতুন অ্যালবামের কাজ শুরু করেছেন। এটি ‘প্রুফ’ (২০২২)-এর পর দলের প্রথম সম্পূর্ণ অ্যালবাম হবে। তাদের সর্বশেষ কনসার্ট ইয়েট টু কাম ইন বুসান হয়েছিল ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে।

তথ্যসূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস