এআইয়ের ব্যবহার নিয়ে সতর্ক করলেন এ আর রাহমান

এ আর রাহমান। ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে নেওয়া

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের (এআই) এর প্রভাব এখন সবখানে। তবে কিছু ক্ষেত্রে এআইয়ের ব্যবহার নিয়ে সমালোচনাও চলছে। বিশেষ করে বিনোদন ও সংগীত শিল্পে এর ব্যবহার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। এবার এই বিষয়ে মুখ খুললেন অস্কারজয়ী ভারতীয় সুরকার এ আর রাহমান।

আরও পড়ুন

এনডিটিভি গুডটাইমস এর সাউন্ডস্কেপ অনুষ্ঠানে অভিনেত্রী শ্রুতি হাসানের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে, এআই কীভাবে সংগীত ও সৃজনশীল শিল্পের পরিবেশকে নতুনভাবে রূপ দিচ্ছে, তা নিয়ে কথা বলেন এ আর রাহমান। তিনি শিল্পীদের এবং তাঁদের কাজের সুরক্ষার জন্য কঠোর নিয়মের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করেন।
এ আর রাহমান বলেন, ‘আমরা এমন একটা সময়ের ভেতর দিয়ে যাচ্ছি, যেখানে এখনই কিছু নিয়ম বেঁধে দেওয়া প্রয়োজন। কেউ চাইলেই যেন আরেকজনের পরিচয় ব্যবহার করে তা বিকৃত করতে না পারে। এমন নিয়ম তৈরি করা হোক, যেখানে সৃজনশীল মানুষেরা অসাধারণ কাজ করার স্বাধীনতা পাবেন, অন্যদিকে কারও পরিচয় চুরি করার কোনো সুযোগ থাকবে না।’

এ আর রাহমান। ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে নেওয়া

এর আগে গীতিকবি ও চিত্রনাট্যকার জাভেদ আখতারও এআই আর মানবসৃষ্ট সৃষ্টিশীল কাজ নিয়ে নিয়ে নিয়ে কথা বলেছিলেন। এআই কখনোই মানুষের সৃজনশীল প্রবৃত্তি ও অন্তর্দৃষ্টিকে প্রতিস্থাপন করতে পারবে না বলে মনে করেন তিনি। জাভেদ আখতার বলেন, ‘আমরা কল্পনা করতে পারি না পাঁচ বা দশ বছরের মধ্যে কী ঘটবে। তবে বর্তমানে, এআই সৃজনশীলতার জন্য কোনো হুমকি নয়। এটি চিঠি লিখতে পারে, সরকারি নোট তৈরি করতে সাহায্য করতে পারে। কিন্তু সৃজনশীলতা মানুষের অনুভূতি ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে চলে, যা কোনো মেশিনের নেই। এআইয়ের কোনো ট্রমেটিক শৈশব নেই। এর মা মারা যায়নি, প্রেমিকা অন্য কারও সঙ্গে চলে যায়নি। এটির কোনো অবচেতন, কোনো গভীর ক্ষত বা ব্যর্থ সম্পর্ক নেই। সৃজনশীলতা শুধু যুক্তিতে চলে না, এটি ব্যথা, হৃদয়ভঙ্গ ও অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে জন্মায়—যা কোনো মেশিনের নেই।’