ভ্যাট প্রদানে উদ্বুদ্ধ করতে মমতাজের গান

মমতাজ বেগমছবি : সংগৃহীত

গানের শিল্পী ও সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমের এখনকার ব্যস্ততা আগামী সংসদ নির্বাচন নিয়ে। মাসের বেশির ভাগ সময় এখন তাই নিজ এলাকার মানুষের সঙ্গে কাটে। এই ব্যস্ততার মধ্যেও নতুন একটি গানে কণ্ঠ দিতে মানিকগঞ্জ থেকে রামপুরা বনশ্রী এলাকার স্টুডিওতে এলেন। জাতীয় ভ্যাট দিবস ও ভ্যাট সপ্তাহ উপলক্ষে বাংলাদেশ ‘ভ্যাট’ শিরোনামের গানটি প্রকাশিত হয়েছে।

আরও পড়ুন

গত শুক্রবার রাতে সুরকার ও সংগীত পরিচালক ফোয়াদ নাসের বাবুর স্টুডিওতে গানটিতে কণ্ঠ দেন মমতাজ। গানটির কথা লিখেছেন তুষার মিজান। জাতীয় ভ্যাট দিবস ও ভ্যাট সপ্তাহ উপলক্ষে আজ রোববার গানটি প্রকাশিত হয়েছে। গানের মানুষ মমতাজ দীর্ঘদিন ধরে সরাসরি রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।

গায়িকা মমতাজ বেগম। ফেসবুক থেকে

এবারও তিনি মানিকগঞ্জ–২ আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। রাজনীতির পাশাপাশি নিজ এলাকায় বিভিন্ন বিষয়ে সচেতনতা তৈরিতে নানা কর্মসূচি নেওয়ার খবর দেখা যায় তাঁকে। তিনি গানে গানেও বিভিন্ন বিষয়ে সচেতনতা তৈরির কাজ করেন। এবার তিনি ভ্যাট প্রদানে উদ্বুদ্ধ করতে একটি গান গাইলেন।

মমতাজ বললেন, ‘সচেতনতা তৈরির কোনো কাজের প্রস্তাব পেলে সঙ্গে সঙ্গে রাজি হয়ে যাই। পরিবেশদূষণ, বাল্যবিবাহ, ট্রাফিক আইন মেনে চলাসহ সচেতনতা তৈরির কত ইস্যু নিয়ে যে গান গেয়েছি, তার হিসাব নেই।

মমতাজ বেগম, তুষার মিজান ও ফোয়াদ নাসের বাবু। ছবি : সংগৃহীত

মানুষ ভালোবাসে, পছন্দ করে—তাই এসব কাজে আনন্দও লাগে। আমি মনে করি, শিল্পী হিসেবে আমাদের সামাজিক দায়িত্ব অন্য অনেকের চেয়ে বেশি। তাই দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে এসব কাজ করে থাকি। আমি মনে করি, আমাদের কথায় যদি মানুষ উদ্বুদ্ধ হয়, সচেতন হয়—এটা সমাজ ও দেশের জন্য উপকার। এবারের গানটি গেয়েও ভালো লাগল। গানের কথাগুলো চমৎকার। সুরটাও দারুণ।’

মমতাজ জানান, ১০টি গানের প্রস্তাব পাওয়ার পর যদি তাঁর কাছে একটিমাত্র সচেতনতামূলক গানের প্রস্তাব আসে, সবার আগে তিনি সামাজিক সচেতনতার গানটিই করে থাকেন। মমতাজ বললেন, ‘এখানে সবচেয়ে ভালো লাগার বিষয় হচ্ছে, মানুষের জন্য কিছু একটা করার সুযোগ পাচ্ছি। মানুষের জন্য কিছু করতে পারাটা সমাজ ও দেশের জন্য করা। এতে শিল্পীমন তৃপ্ত হয়, মানুষ হিসেবেও এক অর্থে নিজেকে ভাগ্যবান মনে হয়, কারণ আল্লাহ আমাকে যে মেধা দিয়েছেন, তা মানুষ, সমাজ ও দেশের উপকারে কাজে লাগছে।’

গানটির গীতিকার তুষার মিজান বললেন, ‘এটাকে ত্রিপদী জারিগান বলে। ভ্যাটের টাকা দিয়ে রাষ্ট্রের কী কী উন্নয়ন হবে, সে কথাই আমি গানের কথায় তুলে ধরেছি। গানের বিষয়বস্তু যেহেতু স্পর্শকাতর, তাই গানটি লেখার সময় আমাকে অনেক কিছু ভাবতে হয়েছে। সারা দেশে গানটি আগামী সপ্তাহখানেক ধরে বাজবে। মানুষকে ভ্যাট প্রদানে উদ্বুদ্ধ করতে ও সচেতনতা তৈরিতে এমন আয়োজন।’