এবার বাগ্‌দানের কথা নিজেই জানালেন ডুয়া

ডুয়া লিপা। রয়টার্স

কয়েক মাস ধরে চর্চিত ‘লাখ টাকার’ প্রশ্নের উত্তর মিলল অবশেষে। ক্যালাম টার্নারের সঙ্গে ডুয়া লিপা বাগ্‌দান সেরেছেন কি না, তাঁর হাতে বাগ্‌দানের আংটি দেখা গেল কি না, সেটা নিয়ে এতটাই চর্চা হচ্ছিল যে শেষমেশ গায়িকা নিজেই মুখ খুললেন। জানালেন, বাগ্‌দান সেরেছেন তাঁরা। শুভ দিনক্ষণ দেখে এখন বিয়েটাও সেরে ফেলবেন।
‘এটা একটা বিশেষ অনুভূতি’। ব্রিটিশ ভোগ সাময়িকীতে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এভাবেই বাগ্‌দান নিয়ে বলেন ২৯ বছর বয়সী গায়িকা।

‘হ্যাঁ, আমরা বাগ্‌দান সেরেছি। এটা ছিল খুবই রোমাঞ্চকর সময়। একসঙ্গে বুড়ো হওয়ার সিদ্ধান্ত, জীবনটা একসঙ্গে দেখা আর সারা জীবন সেরা বন্ধু হয়ে থাকার ভাবনাটাই অনেক বিশেষ কিছু।’ বলেন এই সময়ের বিশ্বসংগীতের আলোচিত গায়িকা। এক বছরের বেশি সময় একসঙ্গে আছেন ডুয়া ও ক্যালাম। ৩৫ বছর বয়সী লন্ডনের এই অভিনেতা ‘ফ্যান্টাস্টিক বিস্টস’ ও ‘মাস্টার্স অব দ্য এয়ার’ দিয়ে পরিচিতি পান। ২০২০ সালে বিবিসি ওয়ানের ‘দ্য ক্যাপচার’ সিরিজে অভিনয়ের জন্য বাফটা মনোনয়নও পেয়েছিলেন তিনি।

ডুয়ার বাগ্‌দানের গুঞ্জন প্রথম চাউর হয় গত বছরের বড়দিনে। বছরের শেষের দিকে তাঁর হাতে একটি বিশেষ আংটি দেখা যায়, এরপর সবাই ধরেই নেয় বাগ্‌দান সেরেছেন ডুয়া। তবে তখন এ সম্পর্কে কিছুই জানাননি তিনি। এখন বাগ্‌দানের কথা স্বীকার করলেও কবে সেটা সেরেছেন, সেটা প্রকাশ করেননি ব্রিটিশ গায়িকা।

ক্যালাম টার্নারের সঙ্গে ডুয়া লিপা। ছবি: ডুয়ার ইনস্টাগ্রাম থেকে

ডুয়া বলেন, আংটিটি বানানোর আগে ক্যালাম তাঁর বোন ও ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের সঙ্গে পরামর্শ করেছিলেন। ‘ও একদম আমার মতো। যার সঙ্গে সারা জীবন কাটানোর সিদ্ধান্ত নিচ্ছি, সে যে আমাকে এতটা ভালো বোঝে, এটা ভেবেই ভালো লাগছে।’

ভোগ সাময়িকীকে দেওয়া এই বিশেষ সাক্ষাৎকারে গায়িকা জানান, শিগগিরই বিয়ে করতে চান তাঁরা, তবে দিন-তারিখ এখনো চূড়ান্ত হয়নি। ডুয়া জানান, তাঁর চলমান বিশ্বভ্রমণ কনসার্ট শেষ করেই বিয়ের দিনক্ষণ পাকা করবেন। চলতি বছরের ডিসেম্বরে মেক্সিকোতে শেষ হবে তাঁর ওয়ার্ল্ড ট্যুর। ‘আমরা এ সময়টা উপভোগ করছি। আমি কখনো বিয়ে নিয়ে খুব একটা ভাবিনি, তবে বাগ্‌দানের পর বিয়ে নিয়ে রোমাঞ্চিত। বিয়ের দিন কী পরব, সেটা নিয়েই ভাবছি।’ বলেন ডুয়া।

আরও পড়ুন

অন্যদিকে, টার্নার ব্যস্ত নতুন কাজ নিয়ে। তিনি অভিনয় করছেন অ্যাপল টিভি প্লাসের নতুন সায়েন্স ফিকশন সিরিজ ‘নিউরোমান্সার’-এ; এটি তৈরি হচ্ছে উইলিয়াম গিবসনের ১৯৮৪ সালের উপন্যাস অবলম্বনে।