আজম খানের সন্তানেরা কে কোথায়

আজম খানের সঙ্গে বড় মেয়ে ইমা খানপারিবারিক অ্যালবাম থেকে

বাংলা রক গানের কিংবদন্তি শিল্পী আজম খানের জন্মদিন আজ। ১৯৫০ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার আজিমপুরে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। জন্ম আজিমপুরে হলেও বেড়ে ওঠেন কমলাপুরে।
বাংলা রক সংগীতকে অনন্য উচ্চতায় নিয়েছেন আজম খান; অনুরাগীদের কাছে তিনি পপগুরু হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন। ২০১১ সালের ৫ জুন মারা যান এই রক তারকা।
মৃত্যুকালে স্ত্রী সাহেদা বেগম ও তিন সন্তানকে রেখে গেছেন আজম খান। ১৯৮১ সালে সাহেদা বেগমকে বিয়ে করেন আজম খান। তাঁদের সংসারে দুই মেয়ে ও এক পুত্রসন্তান রয়েছে।

আজম খান
ছবি: প্রথম আলো

আজম খানের বড় মেয়ে ইমা খানও বাবার পথ ধরে গান করছেন; পাশাপাশি লেখালেখিও করেন তিনি। কোভিড মহামারির সময় স্বামী মারা যায়। স্বামীর মৃত্যুর পর ঢাকা ছেড়েছেন ইমা; সন্তানদের নিয়ে কক্সবাজারে প্রকৃতির সান্নিধ্যে জীবন কাটাচ্ছেন।
আজম খানের জন্মদিনে আজ বুধবার দুপুরে ইমা খান প্রথম আলোকে জানান, বাবার জন্মদিনে নামাজ পড়ে দোয়া করছেন তিনি। পরিবারের বাকি সদস্যরাও আজম খানকে স্মরণ করছেন।

ঢাকা ছাড়ার আগে বনশ্রীতে থাকতেন ইমা খান। আজম খানের দ্বিতীয় সন্তান হৃদয় খান ও তৃতীয় সন্তান অরণি খান ঢাকায় থাকেন। দুজনই গানের বাইরে ক্যারিয়ার গড়েছেন; তাঁরা টুকটাক ব্যবসা করছেন।
আজম খান এক বীর মুক্তিযোদ্ধা, একাত্তরে অস্ত্র হাতে গেরিলাযুদ্ধ করেছেন তিনি।
মুক্তিযুদ্ধের পর আজম খান বন্ধুদের নিয়ে সংগীতের দল গড়েন, নাম দেন ‘উচ্চারণ’। ১৯৭২ সালে ‘উচ্চারণ’ ব্যান্ডের যাত্রা শুরু হয়। সে বছরই বিটিভিতে প্রচারিত ‘এত সুন্দর দুনিয়ায় কিছুই রবে না রে’ আর ‘চার কলেমা সাক্ষী দেবে’ গান দুটি তাঁকে জনপ্রিয় করে তোলে। এরপর ‘ওরে সালেকা ওরে মালেকা’, ‘রেললাইনের ওই বস্তিতে’, ‘আসি আসি বলে তুমি আর এলে না’, ‘আলাল ও দুলাল’, ‘হারিয়ে গেছে খুঁজে পাব না’ ইত্যাদি গানে তিনি শ্রোতাদের মাতিয়ে তোলেন।

‘এক যুগ’ নামে তাঁর প্রথম অডিও ক্যাসেট প্রকাশিত হয় ১৯৮২ সালে। সব মিলিয়ে তাঁর গানের অ্যালবাম ১৭টি। গানের ভুবনের বাইরে খেলাধুলার প্রতিও ছিল তাঁর দারুণ ভালোবাসা। ১৯৯১ থেকে ২০০০ সালে তিনি গোপীবাগ ফ্রেন্ডস ক্লাবের পক্ষ হয়ে প্রথম বিভাগ ক্রিকেট খেলতেন। অভিনয়ও করেছিলেন ২০০৩ সালে, ‘গডফাদার’ নামের একটি বাংলা চলচ্চিত্রে। পাশাপাশি বিজ্ঞাপনচিত্রে মডেল হয়েছেন এবং সাঁতারের প্রশিক্ষক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।

আরও পড়ুন