যুদ্ধ এখনো তাড়া করে ডুয়াকে

ডুয়া লিপা। রয়টার্স

হালে গান ছাড়াও যুদ্ধবিরোধী বার্তা ছড়িয়ে আলোচনায় ব্রিটিশ গায়িকা ডুয়া লিপা। বিশেষ করে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের আক্রমণ বন্ধ করতে অনেকবারই সোচ্চার হয়েছেন এই তরুণ গায়িকা। অনেকেই জানেন না গায়িকার অতীতের সঙ্গে যুদ্ধের যোগের কথা। সম্প্রতি ফরাসি সাময়িকী এল-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ প্রসঙ্গে কথা বলেছেন ডুয়া।

১৯৯৫ সালে লন্ডনে জন্ম ডুয়া লিপার। তবে তাঁর মা-বাবা যুক্তরাজ্যের মানুষ নন, কসোভোর। ১৯৮৮ সালে কসোভোতে যুদ্ধ শুরু হলে আটকা পড়েন। ১৯৯২ সালে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নেন যুক্তরাজ্যে। পরে সেখানেই থিতু হন। ফলে ছোটবেলা থেকেই ডুয়া লিপা বড় হয়েছেন যুদ্ধের কথা শুনে।

আরও পড়ুন

তিনি বলেন, ‘ওখানে (কসোভো) আমার বন্ধুরই পরিবারের সদস্যরা যুদ্ধে নিহত হয়েছে। অনেকের বাড়িঘর ধ্বংস হয়েছে।

ডুয়া লিপা। অভিনেত্রীর ইনস্টাগ্রাম থেকে

তাদের কাছে যুদ্ধ নিয়ে অনেক গল্প শুনেছি। যুদ্ধে সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, এমন মানুষদের সঙ্গে আমার সরাসরি যোগাযোগ হবে, এটা আপনার সামনে নতুন এক দুনিয়া খুলে দেবে—যা আপনার পুরোপুরি অজানা ছিল।’

গাজায় চলমান ইসরায়েলি হামলা নিয়ে ডুয়া বলেন, ‘এই দুর্ভোগ তাদের পাওনা ছিল না। এটা তাদের প্রতি অবিচার। একটা যুদ্ধের মধ্যে থাকা মানে অন্য রকম একটা অভিজ্ঞতা।’

ডুয়ার ভক্তরা এখন মজেছেন তাঁর নতুন অ্যালবাম ‘র‍্যাডিক্যাল অপটিজম’-এ। ৩ মে মুক্তি পেয়েছে তাঁর তৃতীয় স্টুডিও অ্যালবামটি। এরই মধ্যে অ্যালবামের তিনটি গান ‘হুডিনি’, ‘ট্রেনিং সিজন’ ও ‘ইলুশন’ মুক্তির পর সাড়া ফেলেছে। সবচেয়ে বেশি আলোচনায় ছিল ‘হুডিনি’।

গানটি বেলজিয়াম, বুলগেরিয়া ও গ্রিসের টপ চার্টে শীর্ষে ছিল, যুক্তরাজ্যে ছিল দুইয়ে। এ ছাড়া আরও বেশ কয়েকটি দেশের সেরা দশে ছিল।

গত বছর ‘বার্বি’ দিয়ে অভিনয়ে অভিষেক হয় ডুয়া লিপার। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে মুক্তি পায় তাঁর অভিনীত দ্বিতীয় সিনেমা ‘আরগাইল’। ম্যাথু ভন পরিচালিত স্পাই অ্যাকশন কমেডি সিনেমায় তাঁকে দেখা গেছে স্যাম রকওয়েল, ব্রায়ান ক্রানস্টন, ক্যাথেরিন ও’হারার মতো শিল্পীদের সঙ্গে। তবে সাক্ষাৎকারে ২৮ বছর বয়সী গায়িকা জানিয়েছেন, অভিনয় নয়; বরং গানেই মন দিতে চান তিনি। মাঝেমধ্যে সুযোগ পেলে ক্যামেরার সামনেও দাঁড়াতে চান, এ-ই যা!