শিল্পকলায় আজ সাবিনা ইয়াসমীনকে সম্মাননা, একক সংগীতানুষ্ঠান
সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির ব্যবস্থাপনায় আজ রোববার ৭ সেপ্টেম্বর কালজয়ী সংগীতশিল্পী সাবিনা ইয়াসমীনকে সম্মাননা প্রদান এবং তাঁর একক সংগীতানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সন্ধ্যা সাতটায় একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে শুরু হবে এ অনুষ্ঠান।
শিল্পকলা একাডেমির জনসংযোগ বিভাগের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানা গেছে, আজকের অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেবেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ শিল্পীকে সম্মাননা প্রদান করবেন। উপস্থিত থাকবেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আব্দুর রশীদ এবং সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মফিদুর রহমান।
‘শুধু গান গেয়ে পরিচয়’ শিরোনামে অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে প্রদর্শিত হবে সাবিনা ইয়াসমীনকে নিয়ে প্রামাণ্যচিত্র। থাকছে দেশবরেণ্য শিল্পীদের স্মৃতিচারণা, নবীন শিল্পী ও সংগীত পরিচালকদের কম্পোজিশনে তাঁর গান পরিবেশনা এবং শিল্পীর একক সংগীতানুষ্ঠান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করবেন অভিনেতা, নির্মাতা আফজাল হোসেন।
বাংলা গানের গৌরব সাবিনা ইয়াসমীন ১৯৫৪ সালের ৪ সেপ্টেম্বর সাংস্কৃতিক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ছয় বছর বয়সে গান গেয়ে প্রথম পুরস্কার জেতেন অল পাকিস্তান স্কুল মিউজিক কম্পিটিশনে।
১৯৬২ সালে রবীন ঘোষের সুরে ছোটদের জন্য গান গেয়ে সংগীতে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রবেশ করেন। একই বছর এহতেশাম পরিচালিত নতুন সুর ছবিতে শিশুশিল্পী হিসেবে গান করেন। ১৯৬৭ সালে আমজাদ হোসেন ও নুরুল হক বাচ্চু পরিচালিত ‘আগুন নিয়ে খেলা’ চলচ্চিত্রে প্রথম প্লেব্যাক করেন।
এরপর একে একে হয়ে ওঠেন বাংলা গানের অপরিহার্য কণ্ঠস্বর। সত্য সাহা, আলম খান, সুবল দাস, আলাউদ্দিন আলী, আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলসহ অসংখ্য কিংবদন্তি সুরকারের সঙ্গে কাজ করেছেন তিনি। চলচ্চিত্রের গানসহ বিভিন্ন ধারায় ১৬ হাজারের বেশি গান রেকর্ড করেছেন তিনি। আধুনিক গান, পল্লিগীতি, রবীন্দ্রসংগীত, নজরুলসংগীত ও গজল—সব ক্ষেত্রেই রেখেছেন সুরেলা স্বাক্ষর। বাংলাদেশে তিনিই একমাত্র শিল্পী, যিনি ১৫ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জিতে রেকর্ড গড়েছেন। পেয়েছেন একুশে পদক (১৯৮৪), স্বাধীনতা পুরস্কারসহ (১৯৯৬) দেশে–বিদেশে বহু সম্মাননা।