সঞ্জীব চৌধুরী স্মরণে টিএসসিতে সঞ্জীব উৎসব

কাল প্রয়াত সংগীতশিল্পী সঞ্জীব চৌধুরীর জন্মদিন। ২০১০ সাল থেকে প্রতিবছর এ দিনে ‘সঞ্জীব উৎসব’ আয়োজন করে সঞ্জীব উৎসব উদ্‌যাপন পর্ষদ। এবারও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে একাদশবারের মতো হবে এ উৎসব। একাদশ সঞ্জীব উৎসবে গান গাইবেন লিমন, লাবিক কামাল গৌরব, জয় শাহরিয়ার, আরমীন মুসা, বাংলা ফাইভ, সন্ধি, সালেকীন, শুভ্র, রিয়াদ হাসান, সাহস মোস্তাফিজ, সুহৃদ স্বাগত, দুর্গ, কোলস্লো, অর্ঘ্য, রাফসান, লিসান, পলাশ, পিজু ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক সংসদ। বিকেল চারটায় শুরু হবে এ আয়োজন।

সঞ্জীব চৌধুরী (২৫ ডিসেম্বর ১৯৬৪—১৯ নভেম্বর ২০০৭)।
ছবি: সংগৃহীত

সঞ্জীব উৎসবের অন্যতম আয়োজক সংগীতশিল্পী জয় শাহরিয়ার বলেন, ‘দেখতে দেখতে ১৪ বছর পেরিয়ে গেল, সঞ্জীবদা নেই। উৎসবেরও ১২ বছর পেরিয়ে গেল। সঞ্জীব উৎসব দাদাকে ভালোবেসেই করা। এ উৎসবের মূল উদ্দেশ্য, যারা দাদাকে কাছে পায়নি, তাদের কাছে দাদার গান ও গানের দর্শন পৌঁছে দেওয়া।’ এ আয়োজনে সার্বিক সহযোগিতা করছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক সংসদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ব্যান্ড সোসাইটি ও আজব কারখানা। বিকেল চারটায় শুরু হবে এ আয়োজন।

সঞ্জীব চৌধুরী

‘আমি তোমাকেই বলে দেব’, ‘রঙ্গিলা’, ‘সমুদ্র সন্তান’, ‘জোছনা বিহার’, ‘তোমার ভাঁজ খোলো’, ‘চাঁদের জন্য গান’, ‘স্বপ্নবাজি’ প্রভৃতি কালজয়ী গানের সঙ্গে জড়িয়ে আছে সঞ্জীব চৌধুরীর নাম। ‘গাড়ি চলে না’, ‘বায়োস্কোপ’, ‘কোন মিস্তরি নাও বানাইছে’ গানগুলো গেয়ে বাংলা লোকগানকে তিনি নাগরিক জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশে পরিণত করেছেন।

সঞ্জীব চৌধুরী (২৫ ডিসেম্বর ১৯৬৪—১৯ নভেম্বর ২০০৭)। ছবি: সংগৃহীত

তিনি ছিলেন জনপ্রিয় ব্যান্ড ‘দলছুট’-এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। দলছুটের চারটি অ্যালবামে কাজ করার পাশাপাশি অনেক গান রচনা ও সুর দিয়েছেন তিনি। ১৯৬৪ সালের ২৫ ডিসেম্বর হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার মাকালকান্দি গ্রামে জন্ম নেন এই শিল্পী। ২০০৭ সালের ১৯ নভেম্বর শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।