শচীন টেন্ডুলকারের নাম নেওয়া হয় শচীন দেববর্মন থেকেই

গতকাল ছিল উপমহাদেশের অন্যতম সুরকার শচীন দেববর্মনের জন্মদিন। ১৯০৬ সালের ১ অক্টোবর কুমিল্লায় জন্ম হয় তাঁর। জন্মদিন উপলক্ষে জেনে নেওয়া যাক শচীন দেববর্মন সম্পর্কে ১০টি তথ্য।

শচীন দেববর্মন

১. সুরকার হিসেবে খ্যাত হলেও গানও গেয়েছেন শচীন দেববর্মন। ১৪টি হিন্দি ও ১৩টি বাংলা ছবিতে কণ্ঠ দিয়েছেন তিনি।
২. রাজপরিবারে জন্ম হয় শচীন দেববর্মনের। তাঁর বাবা ছিলেন ত্রিপুরা রাজপরিবারের সন্তান, মা মণিপুরের রাজপরিবারের।
৩. কাজী নজরুল ইসলাম ছিলেন তাঁদের পরিবারের খুব ঘনিষ্ঠ। শচীন দেববর্মনদের কুমিল্লার বাড়িতে নজরুল কিছুদিন ছিলেন। নজরুলের সুরে চারটি গানও গেয়েছেন ‘শচীন কর্তা’।

শচীন দেববর্মন
ছবি : সংগৃহীত

৪. ১৯২০–এর দশকের শেষের দিকে কলকাতা রেডিওতে কাজ করেছেন শচীন দেববর্মন।
৫. অ্যালবাম যুগ শুরুর আগে তিনি প্রথম গান রেকর্ড করেন ১৯৩২ সালে।
৬. ক্রিকেটার শচীন টেন্ডুলকারের নাম নেওয়া হয় শচীন দেববর্মন থেকেই। শচীন টেন্ডুলকারের বাবা রমেশ টেন্ডুলকার ছিলেন সুরকারের কাজের পাঁড় ভক্ত। তাই সন্তানের নামকরণ করেন তাঁর নামেই।

আরও পড়ুন

৭. হিন্দিতে তাঁর প্রথম বড় হিট গান ‘দো ভাই’ সিনেমার ‘মেরা সুন্দর স্বপনা বিত গায়া’। গানটি গেয়েছিলেন গুরু দত্ত।
৮. মুম্বাই ইন্ডাস্ট্রির বস্তুবাদী চিন্তাভাবনায় শচীন দেববর্মন কলকাতায় ফিরে যাওয়ার চিন্তা করেন কিন্তু পরে মন পরিবর্তন করেন।

শচীন দেববর্মন
ছবি : সংগৃহীত

৯. ১৯৬৯ সালে মুক্তি পাওয়া ‘আরাধনা’ ছবির বিখ্যাত ‘মেরে স্বপনো কি রানি’ গানে মাউথ অরগান বাজানোর জন্য ছেলে রাহুল দেববর্মনকে বলেন। বাকিটা ইতিহাস। গানে মাউথ অরগান বাজিয়েই ব্যাপক খ্যাতি পান রাহুল।
১০. কিশোর কুমারের কণ্ঠে তাঁর অন্যতম জনপ্রিয় গান ‘বড়ি সুনি সুনি’ রিহার্সালের পর কোমায় চলে যান শচীন দেববর্মন। এরপর আর সেরে ওঠেননি।