এ আর রাহমানের গান নিয়ে প্রতিবাদ সুজিত মুস্তাফার

সুজিত মুস্তাফা ও এ আর রাহমানকোলাজ

ভারতের ‘পিপ্পা’ ছবিতে ব্যবহৃত ‘কারার ঐ লোহকবাট’ গানটি নিয়ে বির্তক তৈরি হয়েছে। গানটি প্রকাশের পর থেকেই সবার অভিযোগের তির ভারতের অস্কারজয়ী সুরকার ও সংগীত পরিচালক এ আর রাহমানের দিকে। নেটিজেনরা বলছেন, নতুন সংগীতয়োজনে তৈরি গানটি প্রকৃত গানের ভাব নষ্ট করেছে। গানটি নজরে এসেছে দেশের নজরুল সংগীতের গুণী শিল্পী সুজিত মুস্তাফার। গানটি নিয়ে যারাই এই ধরনের কাণ্ড ঘটিয়েছেন তাদের প্রতি তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি।

৭ নভেম্বর এ আর রাহমানের ইউটিউব প্ল্যাটফর্মে প্রকাশিত হয় ‘কারার ঐ লোহকবাট’ গানটি। আজ শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত গানটির ভিউ ৮৮ হাজার। মন্তব্য এসেছে প্রায় চার হাজারের মতো। বেশির ভাগ মন্তব্যই নেতিবাচক। সুজিত মুস্তাফা তাঁর ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘এ রকম একটা বিষয় ঘটুক, আমি কখনোই চাইনি। এটি নজরুলের নিজের সুর করা অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি গান। এই গানে এভাবে হাত দেওয়া মানে ক্রিয়েটরদের মোরাল রাইটের আর কোনো অস্তিত্ব থাকল না।’

এ আর রাহমান
ইনস্টাগ্রাম

কথায় কথায় নিজের ইচ্ছার কথাও প্রকাশ করলেন সুজিত মুস্তাফা। তিনি লিখেছেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে নজরুলের গানে মাত্র দুটো জিনিস চেয়েছি। এক হচ্ছে, আদি রেকর্ড উদ্ধারের আগে ভিন্ন সুরে তার বেশ কিছু গান জনপ্রিয় হয়ে গেছে, তার বিপুল সৃষ্টির তুলনায় এই সংখ্যাটা এমন কিছু বেশি নয়। নজরুল যেন টিকে থাকেন এটলিস্ট তার কথাগুলো যেন টিকে থাকে এই গানের মাধ্যমে, তাই আদি সুরের পাশাপাশি এই সুরগুলোকে আমি সমর্থন দিয়েছি। আর নজরুল গায়কীর মধ্যে ইমপ্রোভাইজ করাটা সক্ষম শিল্পীদের জন্য যেন মুক্ত থাকে সেটাই কামনা করেছি। এটুকুর জন্য আমাকে যেভাবে একপক্ষ বানিয়ে, দোষী বানিয়ে একটা দল সমানে ঢোল পিটিয়ে যাচ্ছে, এ আর রাহমানের ক্ষেত্রে এবার তারা কি পদক্ষেপ নেয় সেটি আমি দেখতে চাচ্ছি। এ আর রাহমান এবং তার সঙ্গে যারা অংশ নিয়ে এই কাণ্ডটি করেছে তাদের আমি তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’

সুজিত মোস্তফা
প্রথম আলো

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় যশোরোর গরিবপুর যুদ্ধের সত্য ঘটনা অবলম্বনে তেরি হয়েছে রাজা কৃষ্ণ মেনন পরিচালিত ‘পিপ্পা’। আজ রাজে অ্যামাজন প্রাইম ভিডিওতে মুক্তি পাবে এই ওয়েব ফিল্মটি। এ আর রাহমানের সংগীতায়োজনে ‘কারার ওই লৌহ–কবাট’ গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন একাধিক ভারতীয় বাঙালি গায়ক। এদের মধ্যে আছেন তীর্থ ভট্টাচার্য, রাহুল দত্ত, পীযূষ দাস, শালিনী মুখোপাধ্যায় প্রমুখ।