গানকে বিদায় জানাতে হচ্ছে না

গত বৃহস্পতিবার আদালতের রায়ের পর এড শিরান
রয়টার্স

অবশেষে স্বস্তির নিশ্বাস ফেললেন ব্রিটিশ সংগীতশিল্পী এড শিরান। অনেক দিন ধরেই তাঁর বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে চলছিল কপিরাইট মামলা। এ মামলা হারলে গান ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন শিরান। কিন্তু তাঁকে গান ছাড়তে হচ্ছে না। বৃহস্পতিবার নিউইয়র্কের ম্যানহাটান ফেডারেল আদালত এড শিরানকে নির্দোষ রায় দিয়েছেন। খবর বিবিসির

আরও পড়ুন

২০১৪ সালে মুক্তি পায় এড শিরানের হিট গান ‘থিংকিং আউট লাউড’। এরপরই গানটির বিরুদ্ধে নকলের অভিযোগ আনেন ক্যাথরিন টাউনসেন্ড। তাঁর অভিযোগ, তাঁর এড টাউনসেন্ডের ১৯৭৩ সালে প্রকাশিত ‘লেটস গেট ইন অন’ থেকে নকল করা হয়েছে গানটি। এড টাউনসেন্ড এই গানের সহগীতিকার ছিলেন। কিন্তু আদালতে তাঁর এই অভিযোগ টেকেনি।

আদালতের রায় বলছেন, শিরান ‘থিংকিং আউট লাউড’ গানটি স্বাধীনভাবে তৈরি করেছেন। রায়ের পর আদালতের বাইরে এসে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানান শিরান। তিনি বলেন, ‘আমাকে অবসরে যেতে হচ্ছে না। আদালতের রায়ে আমি খুব খুশি। আদালতের রায় যদি অন্য রকম হতো, তাহলে গীতিকারদের সৃজনশীল স্বাধীনতাকে বিদায় জানাতে হতো।’ তবে এ ধরনের ভিত্তিহীন অভিযোগ আদালত পর্যন্ত আসায় তিনি হতাশা প্রকাশ করেছেন।

গত ২৮ এপ্রিল শিরান ম্যানহাটানের ফেডারেল আদালতে মামলার শুনানিতে ‘থিংকিং আউট লাউড’ গানের প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন। এবং বলেন, তিনি তাঁর বন্ধু ও এমি ওয়াডগে মিলে গানের সুর করেন। গানের লিরিক তৈরিতেও ওয়াডগের সহযোগিতা ছিল। শুনানিতে তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেন এবং গিটার বাজিয়ে জুরিদের গানটি গেয়েও শোনান এই শিল্পী।

সেদিন তিনি নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে বলেছিলেন, ‘যদি দোষী প্রমাণিত হই, তাহলে গানকে বিদায় জানাব।’ কিন্তু শিরানকে গানকে বিদায় জানাতে হচ্ছে না। শিরানের বিরুদ্ধে এর আগেও গান নকলের অভিযোগ উঠেছে। ২০১৭ সালে ‘শেপ অব ইউ’ গানটির জন্য শিরানের বিরুদ্ধে মামলা হয়। গত বছর লন্ডন হাইকোর্টে সেই মামলায়ও শিরানের পক্ষে রায় আসে।