কেমন আছেন কবীর সুমন

কবীর সুমনসংগৃহীত

শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি ভারতীয় সংগীতশিল্পী কবীর সুমন। গতকাল সোমবার দুপুরে খবর আসে যে গুরুতর অসুস্থ কবীর সুমন। জানা গেছে, তাঁকে হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) রাখা হয়েছে। একাধিক সূত্রে জানা গেছে, সুমনের চিকিৎসার জন্য জরুরি ভিত্তিতে মেডিকেল বোর্ডও গঠন করা হয়েছে। শিল্পীর অসুস্থতার খবরে উদ্বিগ্ন তাঁর ভক্তরা। এখন কেমন আছেন দুই বাংলায় জনপ্রিয় এই সংগীত ব্যক্তিত্ব?

হাসপাতাল সূত্রে বিভিন্ন ভারতীয় গণমাধ্যম খবরে জানিয়েছে যে আগের চেয়ে একটু ভালো আছেন কবীর সুমন। তাঁর অক্সিজেন স্যাচুরেশনও এখন স্বাভাবিক হয়েছে। তবে ফুসফুসের সংক্রমণ আছে। হৃদ্‌যন্ত্রজনিত সমস্যাও রয়েছে।
জানা গেছে, গতকাল রাতেই হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে চিকেন স্যান্ডউইচ খাওয়ার আবদার করেছিলেন শিল্পী। তাঁর সেই আবদার রাখা হয়। তাঁকে স্যান্ডউইচ সরবরাহ করা হয়েছে।

জানা গেছে যে কবীর সুমনের রক্তে শর্করার পরিমাণ এখনো অনিয়ন্ত্রিত। উচ্চরক্তচাপজনিত সমস্যাও রয়েছে। এখনো অক্সিজেনের সাপোর্টেই আছেন তিনি। শিল্পীর চিকিৎসায় হৃদ্‌রোগবিশেষজ্ঞ, বক্ষব্যাধিবিশেষজ্ঞ এবং ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিটের (সিসিইউ) চিকিৎসকদের নিয়ে একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে।
এদিকে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর খানিকটা সুস্থ হয়ে নিজেই নিজের আপডেট দেন কবীর সুমন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখেন, ‘শ্বাসকষ্ট নিয়ে কলকাতা মেডিকেল কলেজে ভর্তি হয়েছি। শিগগিরই সেরে উঠব। চিন্তা করবেন না।’

কবীর সুমন
ফেসবুক

পঁচাত্তর বছর বয়সী শিল্পীর জন্য চিন্তায় আছেন অনুরাগীরা। গত বছরের নভেম্বরে শেষবার ঢাকায় এসেছিলেন কবীর সুমন। তখন চার দিনের বাংলা খেয়াল কর্মশালার জন্য ঢাকায় আসেন তিনি। এর আগে তিনি ২০২২ সালের অক্টোবরে ঢাকায় এসেছিলেন। তাঁর প্রথম আধুনিক গানের অ্যালবাম ‘তোমাকে চাই’ প্রকাশিত হয় ১৯৯২ সালে।

বাংলা গানের গতিপথ বদলে দেওয়া এই অ্যালবাম প্রকাশের ৩০ বছর পূর্ণ হয় ২০২২ সালে। এ উপলক্ষে ঢাকায় ‘তোমাকে চাই–এর ৩০ বছর উদযাপন’ শিরোনামে গানের অনুষ্ঠানে অংশ নেন এই গায়ক।
ওই অনুষ্ঠানে নিজের অসুস্থতার কথা জানিয়ে কবীর সুমন বলেছিলেন, ‘আমার একটা অসুখ হয়েছে, এই অসুখের কারণে আমি যেমন হাতে লিখতে পারি না, তেমনই গিটারও বাজাতে পারি না। আর কোনো দিন পারব না। একটানা বসে থাকলেও সমস্যা হয়। মাঝে মাঝে মনে হয়, শুয়ে শুয়ে গান গাই! তবে এ জন্য আমার আলাদা কোনো দুঃখ নেই। গুরুদের কৃপায় আমি এখনো একটু একটু গান গাইতে পারি, এটাই আনন্দ।’