প্রেমিক–প্রেমিকার মান–অভিমান ঝগড়াঝাঁটি নিয়ে লুৎফরের গান

২০১১ সালের ১৫ জুলাই প্রকাশিত হয় ‘ঘুড়ি তুমি কার আকাশে ওড়ো’ গানটি। এই গান গেয়েই রীতিমতো সাড়া ফেলেন লুৎফর হাসান। এরপর আরও অনেক গান প্রকাশিত হয়েছে তাঁর

২০১১ সালের ১৫ জুলাই প্রকাশিত হয় ‘ঘুড়ি তুমি কার আকাশে ওড়ো’ গানটি। এই গান গেয়েই রীতিমতো সাড়া ফেলেন লুৎফর হাসান। এরপর আরও অনেক গান প্রকাশিত হয়েছে তাঁর। গাওয়ার পাশাপাশি সমানতালে গান লেখেন, সুরও করেন। তাঁর লেখা এবং সুর করা গান গেয়ে নতুন প্রজন্মের শিল্পীদেরও কেউ শ্রোতৃপ্রিয় হয়েছেন যেমন, তেমনি জ্যেষ্ঠ শিল্পীদের কেউ নতুনভাবে আলোচনায়ও এসেছেন। গতকাল শুক্রবার লুৎফর হাসানের লেখা ও গাওয়া নতুন আরেকটি গান প্রকাশিত হয়েছে। গানের শিরোনাম ‘আর হবো না কারও’।

লুৎফর হাসানের গাওয়া ‘আর হবো না কারও’ গানের পোস্টার

‘আর হবো না কারও’ গানে শিল্পী লুৎফর হাসান প্রেমিক-প্রেমিকার মান-অভিমান, ঝগড়াঝাঁটি ও খুনসুটির নানা প্রসঙ্গ তুলে ধরেছেন। টাঙ্গাইলের নবগ্রাম এলাকায় শিল্পীর বাড়ির সামনে গানটির ভিডিও ধারণ করা হয়। ‘আর হবো না কারও’ শিরোনামের এই গানের সংগীত পরিচালক শান সায়েক। শিল্পীর নিজের ইউটিউব ও ফেসবুকে গানটি প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশের পর গানটি প্রশংসা পাচ্ছে।

গানটি প্রসঙ্গে লুৎফর হাসান বলেন, ‘গুছিয়ে নিতে পারো, আসুক যত হাতছানি আর হবো না কারও’ এই কথাগুলো মূলত প্রেমিক–প্রেমিকার মান–অভিমান ঝগড়াঝাঁটি খুনসুটির আদ্যোপান্ত। দিন যাপনে এসব আমাদের নিয়মিত চিত্রই আমি চেষ্টা করেছি সেই অনুভূতি নিয়ে কাজ করতে।’

‘আর হবো না কারও’ গানে শিল্পী লুৎফর হাসান প্রেমিক-প্রেমিকার মান-অভিমান, ঝগড়াঝাঁটি ও খুনসুটির নানা প্রসঙ্গ তুলে ধরেছেন। টাঙ্গাইলের নবগ্রাম এলাকায় শিল্পীর বাড়ির সামনে গানটির ভিডিও ধারণ করা হয়

‘আর হবো না কারও’ প্রকাশের পর সংগীতাঙ্গনের অনেকেই প্রশংসা করেছেন। এর মধ্যে জনপ্রিয় গীতিকার ও সুরকার প্রিন্স মাহমুদের মন্তব্য লুৎফর হাসানকে আবেগপ্রবণ করেছে। গানটি শোনার পর প্রিন্স মাহমুদ লিখেছেন, ‘ভালো গেয়েছে।’ মন্তব্যটি নিজের ফেসবুক ওয়ালে শেয়ার করে লুৎফর হাসান লিখেছেন, ‘গান গাওয়াটাই সার্থক। যাঁর গান শুনে বেড়ে উঠেছি, তাঁর এমন মন্তব্য আমার জন্য বিরাট প্রাপ্তি।’

‘আর হবো না কারও’ গানটি প্রসঙ্গে লুৎফর হাসান বললেন, ‘গ্রামে গেলাম। শর্ষে ফুলে হলুদ হয়ে আছে পুরো মাঠ। এলাকার ছোট ভাই সোলায়মানকে বললাম, গান আছে। লিপসিং করে ভিডিও করে রাখি। ফুটেজ নিয়ে ঢাকায় এসে এডিটর সম্রাটকে বললাম এডিট করে দিতে। এভাবেই হয়ে গেল। গানের ভিডিও নিয়ে কথা বলার কিছু নাই।’

লুৎফর হাসান এ–ও জানালেন, ‘আমি গানটা করেছি মন দিয়ে। প্রেমিকার রাগ, অভিমান, ঝগড়াঝাঁটি নিয়ে লিখেছিলাম। শান সায়েকের স্টুডিওতে গেলাম। সে গিটার হাতে নিল। সুর হলো। কয়েক দিন পর গেলাম, দেখি মিউজিক রেডি। ভয়েস দিয়ে আসলাম। শান সায়েক আমার ভাই, বন্ধু। তার আন্তরিকতা সব সময় আমার ব্যাপারে যত্নশীল। আমার হাতে এখন বেশ কয়েকটা গান। এ সপ্তাহেই চারটা গানের শুটিং। সেগুলো বেশ আয়োজন করেই শুটিং হচ্ছে ভালো টিমের সাথে। গানের মিছিল শুরু হয়ে গেছে। সামর্থ্য থাকতে এই মিছিল ধারাবাহিক চলবে। আর প্রত্যেকটা গানই আলাদা বক্তব্যের। আশা করি, আমার গান যাঁরা পছন্দ করেন, তাঁরা হতাশ হবেন না।’