রুনা আন্টি থেকে বুদ্ধি নেয় মেয়েরা: আলমগীর

এক ফ্রেমে রুনা লায়লা, আলমগীরসহ পরিবারের প্রায় সবাই উপস্থিতফেসবুক থেকে

দেশবরেণ্য অভিনেতা মহিউদ্দিন আহমেদ আলমগীর। একটা সময় ছিল, যখন নায়ক আলমগীরের সিনেমা মানেই দারুণ কিছু, হলে ছুটতেন ভক্ত-দর্শকেরা। ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে অভিনয়জগতে বিচরণ তাঁর।
এখন বয়স হয়েছে। সময়টা কেমন কাটছে বা ছেলেমেয়েরা কে কোথায় আছেন, এমন প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন আলমগীর। মেয়ে আঁখি আলমগীরকে নিয়ে হাজির হয়েছিলেন একটি বেসরকারি টেলিভিশনের ঈদ অনুষ্ঠানে।
অভিনেতা বলেন, ‘ছেলে আমার ব্যবসা দেখাশোনা করে। ছোট মেয়েটা গৃহিণী। আর আঁখি। আমার সব ভালোবাসা, যা কিছু আছে, সব ভালোবাসা নাতি-নাতনিদের দিকে চলে গেছে। দুটো নাতি আছে, তারা যমজ। তাদের মধ্যে এক মিনিটের বড় আছে একটা। ও আমার হাঁটা দেখে। তারপর বলে, আমার মতো হাঁটবে। আরে বলে কী ছয় বছরের বাচ্চা! আমার হাঁটা ও হাঁটবে! ড্রেস পরে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে বলবে, “হাই আলমগীর, হাউ আর ইউ?” নিজেকে আলমগীর করে ডাকছে। তো এগুলার যে আনন্দ, এই আনন্দ তো অস্বাভাবিক।’

আঁখি আলমগীর, রুনা লায়লা ও আলমগীর
সংগৃহীত

গুণী এই অভিনেতা বলেন, ‘মেয়েরা কোনো কিছু করার আগে আমাকে জিজ্ঞেস করে না। এই মেয়েও না, ওই মেয়েও না। ওরা জিজ্ঞেস করবে, “রুনা আন্টি, আমরা কী করব বলেন তো!” বুদ্ধিটা কিন্তু ওখান থেকে আসে। আমাকে জিজ্ঞেসও করে না! বলেও না কোনো কিছু।’

এ সময় বাবার কথা টেনে আঁখি বলেন, ‘সেটা হচ্ছে, আমরা যদি তাকে সারপ্রাইজ দিতে চাই, তখন কী করব? তখন তো জিজ্ঞেস করলে বলবে, কিছু না। আব্বু না বলেই দেবে। কিন্তু রুনা আন্টি বন্ধুসুলভ। উনি অনেক সিনিয়র হলেও আমাদের মতো করে ভাবেন, চিন্তা করেন। অনেক খোলা মনের। তো ওনাকে দিয়ে বিলটা পাস করাই।’