‘বসন্ত এসে গেছে’ গাইতে আর ভালো লাগে না লগ্নজিতার
গানটি কলকাতার গণ্ডি পেরিয়ে বাংলাদেশের শ্রোতাদের মধ্যেও দারুণ জনপ্রিয়। প্রায় দেড় দশক ধরে গানটি শ্রোতাদের মধ্যে আবেদন ধরে রেখেছে। বসন্ত এলেই কানে আসে, ‘বসন্ত এসে গেছে।’
এ গান দিয়েই রাতারাতি তারকাখ্যাতি পেয়েছেন কলকাতার গায়িকা লগ্নজিতা চক্রবর্তী। ২০১৪ সালে মুক্তি পাওয়া সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ‘চতুষ্কোণ’ সিনেমায় ‘বসন্ত এসে গেছে’ গানটি গেয়েছেন লগ্নজিতা। গানটি লিখেছেন অনুপম রায়, সুরও তাঁর।
গানটির আরেক সংস্করণে অনুপম রায়কেও শোনা গেছে, তবে অনুপমের গাওয়া গানটি সিনেমায় ছিল না। ফলে লগ্নজিতার কণ্ঠেই গানটি ছড়িয়ে পড়েছিল। এরপর আর ‘বসন্ত এসে গেছে’ লগ্নজিতার পিছু ছাড়েনি।
যেকোনো কনসার্টে গেলেই গানটি গাওয়ার আবদার আসে। প্রায় দেড় দশক ধরে গানটি গেয়ে চলেছেন। শ্রোতাদের অনুরোধে গানটি গাইতে গাইতে ক্লান্তি পেয়ে বসেছে তাঁকে।
গত বছরের শেষ ভাগে কলকাতার ‘সন্দেশ’ নামে এক চ্যানেলের পডকাস্টে লগ্নজিতা অকপটে স্বীকার করেছিলেন, তাঁর আর ‘বসন্ত এসে গেছে’ গাইতে ভালো লাগে না।
বিষয়টি নিয়ে কলকাতার আরেক সংগীতশিল্পী সুরজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলাপ করেছিলেন লগ্নজিতা। পডকাস্টে তিনি বলেন, ‘আড্ডা মারতে মারতে বললাম যে উফ্, আমার না “বসন্ত এসে গেছে” গাইতে আর ভালো লাগে না। কত দিন যে গাইতে হবে!’
লগ্নজিতা চক্রবর্তী বলেন, সুরজিৎ চট্টোপাধ্যায়ই তাঁকে বুঝিয়েছেন, ‘বসন্ত এসে গেছে’ গানটি তাঁর লক্ষ্মী। যত দিন বেঁচে থাকবেন, তত দিন গাইতে হবে।
আরেক সাক্ষাৎকারে লগ্নজিতা বলেন, গায়িকা হওয়ার স্বপ্ন তাঁর কোনো দিনই ছিল না। পুরোটাই ‘অ্যাক্সিডেন্টাল’। লগ্নজিতা বলেন, ‘আমি কনভেনশনাল, আনকনভেনশনাল—কোনো গায়িকাই হতে চাইনি। সৃজিতদা, অনুপমদা যদি আমাকে “বসন্ত এসে গেছে”র জন্য না ডাকত, তাহলে আমার গান গাওয়া হতো না।’
‘বসন্ত এসে গেছে’ গানটি হিট করার পর ‘হৃদয়ের রং’, ‘বেহায়া’, ‘প্রেমে পড়া বারণ’, ‘এভাবে গল্প হোক’সহ আরও কয়েকটি হিট গান উপহার দিয়েছেন লগ্নজিতা।