অস্ত্রোপচার শেষে কেবিনে আলিফ আলাউদ্দীন

আলিফ আলাউদ্দীন

অস্ত্রোপচার শেষে সংগীতশিল্পী আলিফ আলাউদ্দীনকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যায় পাঁচ ঘণ্টার অস্ত্রোপচার শেষে তাঁকে পোস্ট–অপারেটিভ কেয়ারে রাখা হয়েছিল। আজ দুপুরে তাঁকে সেখান থেকে কেবিনে নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানালেন তাঁর স্বামী সংগীতশিল্পী কাজী ফয়সাল আহমেদ।

ফয়সাল বললেন, ‘এখনো চিকিৎসকের পর্যবেক্ষণে আছে আলিফ। ডায়ালাইসিস শুরু হয়েছে। অস্ত্রোপচার শেষে আলিফের একটি কিডনি অপসারণ করা হয়েছে। আরেকটি কিডনির অবস্থাও খুব একটা ভালো না। সবাই ওর জন্য দোয়া করবেন।’

আলিফ আলাউদ্দীন

অস্ত্রোপচারের আগে ফয়সাল জানান, আলিফ আলাউদ্দীনের দুটি কিডনিই ৯০ ভাগ কার্যক্ষমতা হারিয়েছে। কিডনি জটিলতার কারণে অন্যান্য সমস্যায়ও ভুগছে সে।
জানা গেছে, ১১ বছর ধরে কিডনির সমস্যায় ভুগছেন আলিফ আলাউদ্দীন। এত বছর পরিবারের লোক ছাড়া কাউকে সেটা জানতে দেননি। হাসিমুখে কাজ করে গেছেন। এখন আর কিডনি নয়, মেয়ে পিওনাকে নিয়েই তাঁর যত চিন্তা।

আলিফের স্বামী শিল্পী কাজী ফয়সাল আহমেদ জানান, আলিফ পলিসিস্টিক কিডনি ডিজিজে আক্রান্ত। তাঁর শাশুড়ি শিল্পী সালমা সুলতানারও এই রোগ ছিল। তাঁর কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়েছিল। আলিফেরও কিডনি প্রতিস্থাপন করার প্রয়োজন পড়তে পারে। তবে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, যত দ্রুত কিডনি প্রতিস্থাপন করা যাবে, আলিফের জন্য ততই মঙ্গল।

সংগীতশিল্পী সালমা সুলতানা সঙ্গে তাঁর মেয়ে আলিফ আলাউদ্দিন

চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে কাজী ফয়সাল আহমেদ জানান, কিডনি প্রতিস্থাপন ছাড়া কোনো উপায় নেই। ডোনার পাওয়াটাও একটা বড় চ্যালেঞ্জ। এরপর আছে আরও অনেক কাজ। ডোনার খোঁজার পাশাপাশি দেশের বাইরের হাসপাতালেও সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।

আলিফ আলাউদ্দীনের বাবা দেশের প্রখ্যাত সংগীত পরিচালক আলাউদ্দীন আলী। আলিফের জন্য তাঁর পরিবার সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন। প্রসঙ্গত, দুই দশক ধরে গান গাওয়ার পাশাপাশি আলিফ আলাউদ্দীন গানের অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করে আসছেন। তাঁর উপস্থাপনায় শুরু হয় একুশে টেলিভিশনে ভার্জিন তাকধুম তাকধুম অনুষ্ঠান জনপ্রিয়তা পায়।