অ্যানিমেশন সিনেমা বানাতে চান অর্ণব

হাতিল নিবেদিত ‘বড় মঞ্চের তারকা’ অনুষ্ঠান অর্ণব ও পূর্ণিমা
প্রথম আলো

এ বছরই প্রথম কোনো চলচ্চিত্রে অভিনয় করলেন অর্ণব। এই সংগীত তারকাকে নিয়ে সেপ্টেম্বরে চরকিতে মুক্তি পেয়েছে আবরার আতহার পরিচালিত মিউজিক্যাল ফিল্ম ‘আধখানা ভালো ছেলে আধা মস্তান’। নিজেই এবার সিনেমা বানানোর ইচ্ছা প্রকাশ করলেন এই তারকা। তা–ও আবার অ্যানিমেশন। সম্প্রতি চিত্রনায়িকা পূর্ণিমার সঙ্গে আলাপকালে এমন ইচ্ছার কথা জানান এ শিল্পী। বলেন, ‘গল্পসল্প বাছাই করা আছে। মাথার মধ্যে অনেক কিছু আইডিয়া আছে। কিন্তু টিম লাগবে। সময় লাগবে। এখন হচ্ছে না, কিন্তু আশা করি, সামনে হবে। ইচ্ছা আছে করব।’

দেশের সীমানা পেরিয়ে ভিনদেশে নিজেদের দ্যুতি ছড়াচ্ছেন বাংলাদেশের যেসব তারকা, তাঁদের নিয়ে ‘প্রথম আলো’ আয়োজন করছে ‘বড় মঞ্চের তারকা’। হাতিল নিবেদিত এ অনুষ্ঠান প্রথম আলোর অনলাইন, ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেলে দেখা যাচ্ছে। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করছেন দিলারা হানিফ পূর্ণিমা। এ অনুষ্ঠানে গত পর্বে তাঁর অতিথি হয়ে এসেছিলেন অর্ণব।

আলাপকালে পূর্ণিমা অর্ণবকে বলেন, ‘আপনার বাবা স্বপন চৌধুরী খ্যতিমান চিত্রশিল্পী। আপনি আঁকিআঁকি অনেক ভালো করেন। এত প্রতিভা নিয়ে আপনি আছেন কী করে?’ পূর্ণিমার এই প্রশ্নে হাসতে হাসতে অর্ণব বলেন, বিষয়টা খুব চিন্তার। আঁকাআঁকি কি চলছে?

গায়ক ও সংগীত পরিচালক অর্ণব

এই প্রশ্নের উত্তরে অর্ণব জানান, ‘চেষ্টা করছি। আবার শুরু করেছি। আমার আব্বু এখনো প্রতিদিন চার–পাঁচ ঘণ্টা ছবি আঁকে। অনেক কাজ করে। মাঝে মাঝে যেটা করি, সেটাই ভালো হয়। প্রতিদিন প্র্যাকটিস করা, ওটা সেভাবে হয়ে ওঠে না। অনেকে প্রতিদিন আঁকে। শান্তিনিকেতনে থাকার ফলে আমি এখন প্রতিদিন এক ঘণ্টা–আধা ঘণ্টা বসার চেষ্টা করছি। ছবি আঁকলে আমার মাথা ঠান্ডা হয় বেশি।’

অর্ণব

পূর্ণিমার পরের প্রশ্ন, ‘আমরা যে অর্ণবকে দেখি, সে বড় সাদামাটা। কখনো মনে হয় না, একটু স্টারগিরি দেখাই?’ শুনে অর্ণব বলেন, ‘স্টারগিরি দেখাতে ইচ্ছা হয়। কিন্তু খুব বাজেভাবে ফেল করি, পারি না। তবে মাঝে মাঝে বিপদ থেকে রক্ষা পেতে স্টারগিরি দেখাতে হয়েছে। এমনও হয়েছে এক ঘণ্টা গান গেয়েছি। কিন্তু ফ্যানদের সঙ্গে দুই ঘণ্টা ছবি তুলেছি।’

অর্ণবের আইডল কে? উত্তর দেওয়ার আগে একটু ভাবলেন, তারপর জবাব দিলেন শিল্পী, ‘আমার বাবা-মা দুজনই আমার আইডল। আসলে ওরা এত কাজ করতে পারে।

‘বড় মঞ্চের তারকা’য় দিলারা হানিফ পূর্ণিমা

বিশেষ করে আব্বু অনেক ছবি আঁকতে পারে। আম্মুও অনেক কাজ করে। গ্রামের মহিলাদের জন্য কাজ করে। দুজনের কাজের ধরন দুই রকম। ওদের কাজ করার যে চেষ্টা, ওটা আমার কাছে আইডল মনে হয়। আমি চেষ্টা করি, তাদের মতো কাজ করতে। এ ছাড়া অনেকেই আছে। নানা রকমভাবে বিভিন্ন সেক্টরে অনেকজন আছে। যেসব আইডল আছে, তাদের আমি ফলো করার চেষ্টা করি না। তাদের আমি দেখি। ওদের রাস্তা অন্য রকম, আমার রাস্তা আরেক রকম। ফলো করি বাবা-মাকেই।’