আজ রাতে অনলাইনে কনসার্ট ‘মুক্তির জয়গান’

‘মুক্তির জয়গান’ কনসার্টে গাইবে জলের গান

পনেরোটি ব্যান্ডকে নিয়ে আয়োজন করা হয়েছে অনলাইন কনসার্ট ‘মুক্তির জয়গান’। এ কনসার্টের প্রথম দিন আজ। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের রজতজয়ন্তী উপলক্ষে ধারাবাহিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এ কনসার্ট।
কনসার্টের প্রথম দিন আজ রোববার রাত ৯টায় রয়েছে পাঁচটি ব্যান্ডের পরিবেশনা। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ফেসবুক পেজে সরাসরি এ কনসার্টে আজ গাইবে অবসকিউর, নোভা, বেঙ্গল বয়েজ, সহজিয়া ও মেঘদল।

নতুন প্রজন্মের সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের নিবিড় যোগাযোগ গড়ে তোলার মাধ্যমে গৌরবময় মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সম্পর্কে তাদের অবগত করার লক্ষে জাদুঘরের এটি দ্বিতীয় আয়োজন। তিন দিনের এ ব্যান্ডসঙ্গীতের উৎসবে গান গাইবে তরুণ প্রজন্মের প্রতিষ্ঠিত ব্যান্ডগুলো। উৎসবের দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিনে গান করবে মাকসুদ ও ঢাকা, ওয়ারফেজ, জলের গান, নেমেসিস, আর্ক, অ্যাশেজ, স্পন্দন, বাংলা ফাইভ, শহরতলী, সিন। আজকের মতো কাল সোমবার ও পরশু মঙ্গলবার রাত ৯টায় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ফেসবুক পাতায় সরাসরি তাদের গান উপভোগ করা যাবে।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দিচ্ছেন মাকসুদুল হক। ছবি : সংগৃহীত

২৬ মার্চ বাংলাদেশ স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর এবং ২২ মার্চ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর পঁচিশ বছর পূর্ণ করছে। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের রজতজয়ন্তীর শুভ লগ্নে নানা আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে জাদুঘর। বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের পঞ্চাশতম বার্ষিকী উদ্‌যাপনের মধ্য দিয়ে সুবর্ণজয়ন্তী ও রজতজয়ন্তী অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।

মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ধারাবাহিক কর্মকাণ্ডের মধ্যে রয়েছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০১তম জন্মবার্ষিকী উদ্‌যাপন। এ উপলক্ষে ১৭ মার্চ সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত শিশু-কিশোর আনন্দ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে অংশ নেবে ইউসেফ স্কুল, কল্যাণপুর গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ, সালেহা স্কুল অ্যান্ড কলেজ, হযরত শাহ আলী মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, শেরেবাংলা নগর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, আগারগাঁও আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়, কচি–কাঁচার মেলা, খেলাঘর এবং এসওএস শিশু পল্লি। জাদুঘরের রজতজয়ন্তীর প্রাক্কালে ২১ মার্চ রাতে ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অলটারনেটিভের (ইউডিএ) চারুকলা বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা জাদুঘরের আশপাশের সড়কের অলঙ্করণ করবেন। ইউডার সহযোগিতায় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের এ কর্মযজ্ঞে শতাধিক শিল্পী অংশ নেবেন। ২২ মার্চ সন্ধ্যা সাতটায় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে ও ভার্চ্যুয়াল অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেবেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি সারওয়ার আলী ও আসাদুজ্জামান নূর, বার্ষিক প্রতিবেদন পেশ করবেন ট্রাস্টি ও সদস্যসচিব সারা যাকের। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী স্মারক বক্তব্য দেবেন ইতিহাসবিদ দীপেশ চক্রবর্তী। শুক্লা সরকারের পরিচালনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশন করবে ধ্রুপদ কলাকেন্দ্র এবং গান গেয়ে শোনাবেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা।

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে এ বছরও পর্বতারোহীদের এই সংগঠন অভিযাত্রীর সঙ্গে যৌথভাবে আয়োজিত হচ্ছে শোক থেকে শক্তি অদম্য পদযাত্রা

এ ছাড়া কালরাত্রি ২৫ মার্চ সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় জাদুঘরের শিখা চির অম্লানকে ঘিরে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের কর্মী, সুহৃদ ও শহীদ পরিবারের সদস্যরা মোমবাতি প্রজ্বালনের মাধ্যমে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। মিরপুর ১০ নম্বর সেক্টরের জুটপট্টিতে অবস্থিত মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর পরিচালিত একাত্তরের গণহত্যার জ্বলন্ত সাক্ষী জল্লাদখানা স্মৃতিপীঠে ২৫ ও ২৬ মার্চ দুই দিনব্যাপী গণহত্যা দিবস ও স্বাধীনতা উৎসব অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে শহীদ পরিবারের সদস্যরা স্মৃতিচারণ করবেন এবং মিরপুর অঞ্চলের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সংস্কৃতি ও শিশু-কিশোর সংগঠন অংশগ্রহণ করবে। প্রতিদিন বিকেল চারটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত অনুষ্ঠান চলবে।

স্বাধীনতা দিবস উদ্‌যাপনের লক্ষ্যে নতুন প্রজন্মের একদল অভিযাত্রী সাত বছর ধরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে জাতীয় স্মৃতিসৌধ পর্যন্ত পদযাত্রা করে আসছে। এই অদম্য পদযাত্রায় ২০১৬ সাল থেকে যুক্ত হয়েছে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে এ বছরও পর্বতারোহীদের এই সংগঠন অভিযাত্রীর সঙ্গে যৌথভাবে আয়োজিত হচ্ছে শোক থেকে শক্তি অদম্য পদযাত্রা। ২৬ মার্চ সকাল ছয়টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে পদযাত্রা শুরু হয়ে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত বিভিন্ন স্থাপনা প্রদক্ষিণ করে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে গিয়ে শেষ হবে। এই পদযাত্রায় পর্বতারোহী, মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ পরিবারের সদস্য, বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করবেন।