‘আমাদের সম্পর্কটা ছিল মামা–ভাগনির’

আমাদের সম্পর্কটা ছিল মামা–ভাগনির মতো। সেই ছোটবেলা থেকে কাওসার (কাওসার আহমেদ চৌধুরী) মামাকে দেখছি। কলেজ পার হওয়ার পর প্রথম তাঁর লেখা গান গাই। তাঁর লেখা আমার গাওয়া প্রথম গান ‘আমায় ডেকো না’। এরপরই গেয়েছিলাম ‘কবিতা পড়ার প্রহর এসেছে’ গানটি। শেষ পর্যন্ত তাঁর লেখা পাঁচটি গানে কণ্ঠ দিয়েছি। বাকি তিনটি গান হলো ‘আমি অনুতপ্ত’, ‘রবি ঠাকুরের গান গাই’, ‘মনে রেখো কবিতার একটি চরণ, দ্য সিঙ্গার নট দ্য সং’। তাঁর যতগুলো গান আমি গেয়েছি এবং যতগুলো গান অন্যরা গেয়েছেন, সবই সুপারহিট।

কাওসার আহমেদ চৌধুরী

আধুনিক গান সবাই লেখেন, কিন্তু গীতিকবি কাওসার আহমেদ চৌধুরীর অন্যতম বৈশিষ্ট্য ছিল স্টাইলিশ ও ফ্যাশনেবল কথার মিশেলে গান তৈরি করা। এমন গান কেউ লিখতে পারেনি। তিনি নিজেও যেমন ফ্যাশনেবল ছিলেন, তাঁর লেখাও তেমন ছিল। আজ সবাই বলছেন, তিনি প্রচারবিমুখ মানুষ ছিলেন! প্রচারবিমুখ মানুষ বলে তিনি কিছুই চাননি, তা নয়। প্রচারবিমুখ মানে, আমি নিজে থেকে কিছু জানাতে চাই না। এই যেমন আল্লাহ আমাকে যে কণ্ঠ দিয়েছেন, তা আপনারা ব্যবহার করে আমাকে শিল্পী বানিয়েছেন। কাওসার মামাও তেমন ছিলেন, আমার আব্বাও। মামা সৃষ্টিশীলতায় ভরপুর একজন মানুষ ছিলেন।