আড়াই হাজার অটোগ্রাফ দিলেন তাহসান

তাহসান খান। ছবি: সংগৃহীত
ক্রিস্টোফার (ক্রিস) জেমস গ্রেইসাসের স্বপ্ন ছিল বড় হয়ে পুলিশ অফিসার হওয়ার। কিন্তু লিউকেমিয়া সাত বছরের ক্রিসকে দাঁড় করিয়ে দেয় জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। তবে ক্রিসের এ স্বপ্নের কথা পৌঁছে যায় পুলিশের কাছে। ১৯৮০ সালের ২৯ এপ্রিল এক দিনের জন্য পুলিশ অফিসারের চেয়ারে বসানো হয় ক্রিসকে। ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর আগে স্বপ্নপূরণ হয় তার। তার মৃত্যুর পর গঠিত হয় মেক আ উইশ ইন্টারন্যাশনাল। সংগঠনটি বিশ্বজুড়ে ক্রিসের মতো হাজারো শিশুর স্বপ্নপূরণে কাজ করে যাচ্ছে। ২০১০ সাল থেকে পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক ইচ্ছাপূরণ দিবস। গতকাল ছিল বিশ্ব ইচ্ছাপূরণ দিবস। জেনে নেওয়া যাক অভিনয়শিল্পী, সংগীত তারকা তাহসান খানের ইচ্ছার কথা।
অভিনেতা হিসেবে দর্শকহৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন কণ্ঠশিল্পী তাহসান খান
ইনস্টাগ্রাম

তাহসান জানালেন, এখন থেকে ১৫–১৬ বছর আগে তিনি ‘ইচ্ছা’ নামে একটি গান লিখেছিলেন। সেই গানে তিনি তাঁর সব ইচ্ছার কথা জানিয়েছিলেন। বলেছিলেন, ‘উত্তাল সমুদ্রের অতলে হারিয়ে মুক্তো কুড়োতে চাই। উত্তর মেরুকোণে বরফঘরে বসে রবি ঠাকুর পড়তে চাই। গহীন অরণ্যে দুর্বার সাহস নিয়ে হিংস্রতার আস্বাদ চাই। মরুভূমির রোদে পুড়ে গিয়ে নীল নদে একা ভিজতে চাই।’ এ রকম আরও অনেক কিছু। তবে তাহসান যেটা সবচেয়ে বেশি চান, সেটা হলো এই গানের শেষ দুটো লাইন। ‘প্রতিটা প্রাণীকে সঙ্গে নিয়ে স্বর্গে যেতে চাই।’ এই ইচ্ছার ব্যাপারে বললেন, ‘এটা তো এই পৃথিবীতে সম্ভব নয়। ইউটোপিয়ান সোসাইটিতে (কল্পনার আদর্শ সমাজ) হয়তো সম্ভব।’ তবে তাহসান খুব করে চাচ্ছেন, যেন মহামারিকাল দ্রুত শেষ হয়ে যায়। তাড়াতাড়ি যেন সুস্থ হয়ে ওঠে পৃথিবী।

তাহসান
প্রথম আলো

কখনো অন্যের ইচ্ছা পূরণ করেছেন? ‘সে তো কতই। আমি সব সময় চেষ্টা করি ভক্তদের ইচ্ছার মূল্যায়ন করার। এই তো এবার আমার প্রথম বই বের হলো। ভক্তরা সংগ্রহে রেখেছেন। পড়ে তাঁদের উচ্ছ্বাস জানিয়েছেন। এখন তো সেলফির যুগ। কিন্তু আমার বইয়ের পাঠকেরা আমার অটোগ্রাফ চান। বাধ্য হয়ে বইয়ে অটোগ্রাফ দেওয়া শুরু করলাম। ভক্তদের আবদার মিটিয়ে প্রায় আড়াই হাজার বইয়ে অটোগ্রাফ দিয়েছি। শুনতে অল্প মনে হচ্ছে। কিন্তু যে অটোগ্রাফ দিয়েছেন, তিনি জানেন, এটা কত বড় সংখ্যা!’ বললেন তাহসান।

তাহসান
ইনস্টাগ্রাম

আবার লকডাউনে ঘরে বসে বই লেখা শুরু করছেন। এটাও অনুভূতির অভিধানের মতো তাঁর ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার সাগরে ডুব দিয়ে একেকটা গল্পের মুক্তা কুড়িয়ে আনা। বলা যেতে পারে, অনুভূতির অভিধান: দ্বিতীয় খণ্ড। তবে আগেরগুলোর চেয়ে এবারের গল্পগুলো আরও জটিল আর মজার।