ঈদের পর প্রতিকের বিয়ে

কণ্ঠশিল্পী প্রতিক হাসান
ছবি: ফেসবুকে থেকে

বিয়েটা আর পেছাতে চান না কণ্ঠশিল্পী প্রতিক হাসান। ঈদের পরই তিনি বসছেন বিয়ের পিঁড়িতে। আর এ বিয়েতে উপস্থিত থাকবেন কেবল বর-কনের পরিবারের সদস্যরা। গত বছর বিয়ের দিনক্ষণ প্রায় ঠিক হয়েই ছিল। ঠিক তখনই করোনার সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে। এ বছর আবার যখন বিয়ের আনুষ্ঠানিকতার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তাঁরা, তখন আবারও বেড়ে যায় করোনার সংক্রমণ।

করোনা পরিস্থিতির অবনতি হতে শুরু করলে ঘরবন্দী হন এই শিল্পী
ছবি: ফেসবুকে থেকে

প্রতিকদের পরিবার, স্বজন ও বন্ধুদের অনেকে দেশের বাইরে থাকেন। সবার ইচ্ছা ছিল এ বিয়েতে উপস্থিত থাকবেন। তাঁদের কথা ভেবেই বিয়ের আয়োজনটা বেশ বড় করে করার ইচ্ছা ছিল প্রতিকদের। কিন্তু বারবার বাধাগ্রস্ত হয় সেই পরিকল্পনা। তিনি জানান, গত বছরের শেষের দিকে ঢাকা ও ঢাকার বাইরে কনসার্ট শুরু করেছিলেন। পরিস্থিতি তখন স্বাভাবিকই মনে হচ্ছিল। সে সময় তাঁদের পরিকল্পনা ছিল, বড় আয়োজনে ধুমধাম করে বিয়েটা হবে। সে পথে এবার আর হাঁটবেন না এই গায়ক। প্রতিক বলেন, ‘বড় পরিসরে আমাদের বিয়েটা হচ্ছে না। ঈদের পরপরই দুই পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে হয়তো ঘরোয়া পরিবেশে আমাদের বিয়ে হবে। এবারের করোনা পরিস্থিতি মারাত্মক। আমাদের বিয়ে নিয়ে কেউ যেন মন খারাপ না করেন, সে জন্য পরিস্থিতি ভালো হলে আমরা বিবাহোত্তর সংবর্ধনার আয়োজন করব।’

বিয়েটা আর পেছাতে চান না কণ্ঠশিল্পী প্রতিক হাসান
ছবি: ফেসবুকে থেকে

করোনা পরিস্থিতির অবনতি হতে শুরু করলে ঘরবন্দী হন এই শিল্পী। এর মধ্যে ১০টির বেশি গান, টেলিভিশন অনুষ্ঠান ও সংগীত চিত্রের শুটিং আপাতত বাতিল করেছেন তিনি। দুই মাস ধরে তাঁর মা ঘরবন্দী। এ জন্য বাড়তি সতর্কতা মেনে চলতে হচ্ছে তাঁদের দুই ভাইকে। একান্ত জরুরি ছাড়া কোনো কাজেই বাসা থেকে বের হচ্ছেন না তাঁরা। তবে অনেকটা বাধ্য হয়েই একটি ঈদ নাটকের গানে কণ্ঠ দিয়েছেন প্রতিক। ঈদের কিছু নাটকে অভিনয়ের প্রস্তাবও পেয়েছিলেন। কিন্তু রাজি হননি। কিন্তু কেন? প্রতিক বলেন, ‘নাটকের শুটিং আমার কাছে খুবই কঠিন মনে হয়। এটা খুবই কষ্টের কাজ। মাঝে মাঝে মিউজিক ভিডিওতে অংশ নিই। তখন শুটিংয়ে গিয়ে মনে হয়, না করলে ভালো হতো। আমি গান নিয়েই থাকতে চাই। তবে মনমতো কোনো চরিত্র পেলে যত কষ্টই হোক, অভিনয় করার ইচ্ছা আছে।’

প্রতিক হাসান
ছবি: ফেসবুকে থেকে

ঈদের আগে যেখানে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানো কঠিন হয়ে পড়ে, সেখানে পুরো অবসর তাঁর কাটছে পরিবারের সঙ্গে। পেশাগত কিছু কাজের বাইরে মায়ের সঙ্গেই পুরো সময়টা কাটে তাঁর। হবু স্ত্রীসহ পুরো পরিবারের সবাই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, এবার শপিংয়ে যাবেন না তাঁরা। প্রতিক জানান, ঈদে কিছু সিনেমার গানে কণ্ঠ দিয়েছেন তিনি। বিয়ের পর যদি করোনার সংক্রমণ কমে, তখন আবারও নিয়মিত গানে ফিরবেন।