এবার টিটু পাগল নিজেই তৈরি করেছেন গানটি

amito valana: ‘আমি তো ভালা না’ গানের পোস্টার
amito valana: ‘আমি তো ভালা না’ গানের পোস্টার

‘অতীতের কথাগুলো পুরোনো স্মৃতিগুলো/ মনে মনে রাইখো/ আমি তো ভালা না ভালা লইয়াই থাইকো...’—গানটি নিশ্চয়ই মনে পড়ছে? মনে পড়াই স্বাভাবিক। কত কথাই না হলো এই গান নিয়ে—কে গীতিকার, কে সুরকার? এর মাঝেই দারুণ জনপ্রিয় হয়েছে গানটি। সম্প্রতি জানা গেছে, গানটির প্রকৃত গীতিকার ও সুরকার টিটু পাগল। কপিরাইট অফিস তাঁকে এই স্বীকৃতি দিয়েছে। এবার টিটু পাগলের উদ্যোগে নতুন করে গানটি তৈরি হয়েছে।

ঈদ উপলক্ষে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান লেজার ভিশনের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত হলো টিটু পাগলের কথা ও সুরে অবিনাশ বাউলের গাওয়া গান ‘আমি তো ভালা না’। গানটির সংগীতায়োজন করেছেন সুমন কল্যাণ। গানটির ভিডিওচিত্রে অংশ নিয়েছেন টিটু পাগল, আলভী ও ইমরান। পরিচালনা করেছেন খান মাহি।

টিটু পাগল বলেন, ‘অনেক দুঃখের বিষয়, এর আগে আমার গানটি অনেক শিল্পী আমার অনুমতি ছাড়া গেয়ে বাজারজাত করেছে, যা মোটেই ঠিক হয়নি। এবার নিজ উদ্যোগে গানটি প্রকাশের ব্যবস্থা করেছি। আশা করি, শ্রোতা-দর্শকেরা এখানে গানটির মূল আবেদন খুঁজে পাবেন, যা আমি চেয়েছি।’

জানা গেছে, গত বছর ৭ ফেব্রুয়ারি কামরুজ্জামান রাব্বি তাঁর ইউটিউব চ্যানেলে প্রথম গানটি প্রকাশ করেন। ঈগল মিউজিকের চ্যানেলেও গানটি প্রকাশ করা হয়। তখন গানটিতে গীতিকার ও সুরকার হিসেবে মাহবুব শাহর নাম ছিল। গানটি জনপ্রিয় হওয়ার পর ব্যাপারটি টিটু পাগলের নজরে আসে।

টিটু পাগল জানিয়েছেন, তিনি বিক্রমপুরের চান মস্তানকে নিয়ে গানটি লিখেছেন। ২০১২ সালে তাঁর মাজারে তিনি প্রথম গানটি গেয়েছেন। এক অনুষ্ঠানে তাঁর কণ্ঠে গানটি শুনেছিলেন মাহবুব শাহ। গানটি তাঁর পছন্দ হয়। মাহবুব শাহ তাঁকে গানটি গাওয়ার জন্য শ্রীনগরে আমন্ত্রণ জানান। সেদিন একই মঞ্চে তাঁরা দুজন মিলে গানটি গেয়েছেন। এরপর কিছু অংশ পরিবর্তন করে মাহবুব শাহ গানটি নিজের নামে চালিয়ে দেন। তবে এই অভিযোগ গোড়া থেকে অস্বীকার করেছেন মাহবুব শাহ। শেষ পর্যন্ত গানটির স্বত্ব ফিরে পাওয়ার জন্য কপিরাইট অফিসে আবেদন করেন টিটু পাগল।

এরপর এ বিষয়ে একাধিক শুনানি হয়। শুনানিতে টিটু পাগল ও মাহবুব শাহ, কণ্ঠশিল্পী কামরুজ্জামান রাব্বি আর ঈগল মিউজিকের কর্ণধার কচি আহমেদকে ডাকা হয়। অন্যরা শুনানিতে উপস্থিত থাকলেও আসেননি মাহবুব শাহ। শেষ প্রমাণিত হয় গানটির মূল সুরকার ও গীতিকার টিটু পাগল।

গত ২ এপ্রিল রাজধানীর আগারগাঁওয়ের কপিরাইট অফিস থেকে টিটু পাগলের হাতে গানটির গীতিকার ও সুরকার হিসেবে স্বীকৃতির সার্টিফিকেট তুলে দেওয়া হয়। এরপর সেখান থেকে শিল্পী অবিনাশ বাউলের ফেসবুক পেজ থেকে লাইভে আসেন টিটু পাগল। সেখানে তিনি বলেছেন, ‘অনেক কষ্টের পর গানটি ফিরে পেয়েছি। আর গানটি ফিরে পেতে দুই বছর লেগেছে। এ কাজে কপিরাইট অফিসে যাঁরা আমাকে সহযোগিতা করেছেন, সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ। তাঁরা আমাকে স্বীকৃতি দিয়েছেন।’