কলকাতার ইমন কণ্ঠ দিয়েছেন ঢাকার কেশবের সঙ্গে

ইমন চক্রবর্তী ও কেশব রায় চৌধুরী
ছবি : সংগৃহীত

বিয়ের মাস দেড়েক পরই স্বামীকে নিয়ে ঢাকায় এলেন কলকাতার সংগীতশিল্পী ইমন চক্রবর্তী। একটি গানের ভিডিওর শুটিংয়ে অংশ নিতে তাঁর ঢাকায় আসা। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘পুরানো সেই দিনের কথা’ গানটি নতুন করে সংগীতায়োজন করছেন তরুণ গায়ক ও সংগীত পরিচালক কিশোর। এই গানে কলকাতার ইমন কণ্ঠ দিয়েছেন ঢাকার কেশব রায় চৌধুরীর সঙ্গে। বাংলা নববর্ষে গানটি প্রকাশের পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানালেন কিশোর।

‘তুমি যাকে ভালোবাসো, স্নানের ঘরে বাষ্পে ভাসো’ গানটি দিয়ে দুই বাংলায় জনপ্রিয়তা পায় ভারতের শিল্পী ইমন চক্রবর্তী। বছরের শুরুতে তিনি বিয়ে সেরে নেন। সম্প্রতি তিনি কলকাতায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘পুরানো সেই দিনের কথা’ গানটির নতুন সংগীতায়োজনে কণ্ঠ দেন। ঢাকায় গানটির ভিডিওর শুটিংয়ের ফাঁকে ইমন ও কেশবের সঙ্গে কথা হয় প্রথম আলোর। ইমন বললেন, ‘এই গানের সংগীতায়োজক কিশোর আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ওর সঙ্গে আমার আগে থেকেই জানাশোনা, তাঁর ওপর পূর্ণ আস্থা ছিল। কেশবদার কথা কিশোরই আমাকে বলেছেন। সবকিছু ভেবেই আমি হ্যাঁ বলেছি।’

কেশব রায় চৌধুরী

কথায় কথায় ইমন এ–ও বলেন, ‘“পুরানো সেই দিনের কথা” গানটি আমাকে প্রায়ই গাইতে হয়। কিন্তু আমি কখনোই রেকর্ড করিনি। এর মধ্যে কিশোর একদিন বলল, “ঢাকায় এসো। গানটির ভিডিও শুটিং করব।” করোনার এই সময়ে এ রকম একটা অদ্ভুত প্রস্তাব পেয়ে রাজি হয়ে গেলাম। কারণ, আমার সদ্য বিয়ে হয়েছে। কেশবদা আমাদের পুরো পরিবারকে দাওয়াত দিয়েছেন। গানের শুটিংয়ের ফাঁকে ছোট্ট একটা হানিমুনও হয়ে গেল।’

সহশিল্পী কেশব রায় চৌধুরী সম্পর্ক ইমন বললেন, ‘একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা হয়েও তিনি সংগীত ভালোবাসেন। তিনি যে পেশায় আছেন, সেখান থেকে গান করা খুবই কঠিন। তাই ব্যাপারটিকে আমি অসম্ভব সম্মানের চোখে দেখছি। তা ছাড়া কেশবদার গাওয়া গানটি যদি আমার মনমতো না হতো, আমিও গাইতাম না। আমার কাছে সবার আগে মিউজিক। আমি যখন কেশবদার কণ্ঠ শুনলাম, এরপর অ্যাপ্রোচ—সব মিলিয়ে আমার ভীষণ ভালো লেগেছে। তাই গেয়েছি। আরেকটা বিষয়, কেশবদার গান গাওয়ার মধ্যে একটা সততা আছে। তিনি যা–ই করেন পূর্ণ মনোযোগ দিয়েই করেন।’

ইমন চক্রবর্তী ও কেশব রায় চৌধুরী

কেশব রায় চৌধুরী পেশায় একজন বিচারক। এ নিয়ে দ্বিতীয়বার কোনো গান প্রকাশ করতে যাচ্ছেন। তিনি বললেন, ‘গানটি নিয়ে কিশোরের সঙ্গে আমার যখন আলাপ হচ্ছিল, তখন সে–ই বলেছিল, ইমন গাইলে ভালো হয়। এরপর যোগাযোগ করা হয়। সব মিলিয়ে একটা সুন্দর অভিজ্ঞতা হয়েছে।’ বিচারক হয়ে গান প্রকাশের বিষয়টি নিয়ে বললেন, ‘এটা পুরোপুরি আত্মার খোরাক। কারণ, রবীন্দ্রসংগীত গেয়ে টাকা কামানোর কোনো সুযোগ নেই। ভালোবাসা ও তৃপ্তির জন্যই গানটি করা হয়েছে।’

‘পুরানো সেই দিনের কথা’ গানটি সাউন্ডটেকের ব্যানারে প্রকাশিত হবে। নিয়মিত গানের চর্চাটা করছেন বলে জানালেন কেশব রায় চৌধুরী। তিনি বললেন, ‘ছোটবেলায় আনুষ্ঠানিকভাবে “হাতে–কলমে” গান শেখা হয়নি। তবে বাড়ির লোকেরা গাইত। তখন থেকেই রবীন্দ্রসংগীতের প্রতি আমার একটা দুর্বলতা রয়েছে। শুনে শুনে গুনগুনিয়ে গাইতাম। এরপর সহধর্মিণীর কাছ থেকে পাওয়া অল্পস্বল্প কিছু কৌশল শিখেছি। এখন চর্চটা চালিয়ে যাচ্ছি।’