ক্যানসারে চলে গেলেন ভ্যান হ্যালেন

এডি ভ্যান হ্যালেন
ইনস্টাগ্রাম

‘আমি ভাবিনি আমাকে কোনো দিন এই কথাগুলো লিখতে হবে। আমার বাবা অ্যাডওয়ার্ড ভ্যান হ্যালেন আজ সকালে মারা গেছেন। ক্যানসারের সঙ্গে দীর্ঘ এক লড়াই করে শেষমেশ হার মেনে চলে গেলেন তিনি। তিনি ছিলেন এই বিশ্বের সেরা বাবা। একজন বাবার কাছ থেকে একজন সন্তান যা কিছু চাইতে পারে, তার সবই তিনি। বাবা হারানোর ক্ষত কখনো সেরে ওঠার নয়, এই ক্ষতি কখনো পুষিয়ে ওঠা যাবে না। এক দুঃখভারাক্রান্ত হৃদয় নিয়ে আমি কেবল বলতে চাই, তোমাকে খুব ভালোবাসি বাবা।’ এভাবেই টুইটারে গিটারিস্ট এডি ভ্যান হ্যালেনের মৃত্যুর খবর জানান তাঁর সংগীতশিল্পী ছেলে উলফ ভ্যান হ্যালেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর।
এডি ভ্যান হ্যালেন মার্কিন গিটারিস্ট, গীতিকার, প্রযোজক ও উদ্যোক্তা। ১৯৫৫ সালের ২৬ জানুয়ারি নেদারল্যান্ডসে জন্ম নেওয়া ভ্যানের বড় হওয়া ক্যালিফোর্নিয়ায়। ১৯৭২ সালে তিনি ও তাঁর ভাই ড্রামার অ্যালেক্স ভ্যান হ্যালেন মিলে ‘ভ্যান হ্যালেন’ নামে ব্যান্ড গড়েন। এই ব্যান্ডের বেজ গিটারিস্ট ছিলেন মার্ক স্টোন আর গাইতেন ডেভিড লি রুথ। দ্রুত জনপ্রিয়তা পায় ব্যান্ডটি। ৭ কোটি ৫০ লাখের বেশি অ্যালবাম বিক্রির রেকর্ড আছে এই ব্যান্ডের।

এডি ভ্যান হ্যালেন
ইনস্টাগ্রাম
আমার বাবা অ্যাডওয়ার্ড ভ্যান হ্যালেন আজ সকালে মারা গেছেন। ক্যানসারের সঙ্গে দীর্ঘ এক লড়াই করে শেষমেশ হার মেনে চলে গেলেন তিনি। তিনি ছিলেন এই বিশ্বের সেরা বাবা। একজন বাবার কাছ থেকে একজন সন্তান যা কিছু চাইতে পারে, তার সবই তিনি। বাবা হারানোর ক্ষত কখনো সেরে ওঠার নয়, এই ক্ষতি কখনো পুষিয়ে ওঠা যাবে না। এক দুঃখভারাক্রান্ত হৃদয় নিয়ে আমি কেবল বলতে চাই, তোমাকে খুব ভালোবাসি বাবা।’

‘রানিং উইথ দ্য ডেভিল’, ‘জাম্প’, ‘ইরাপশন’, ‘জেমি’স ক্রাইং’, ‘রাইট নাউ’, ‘অন ফায়ার’—এই ব্যান্ডের জনপ্রিয় গান। গিটার ওয়ার্ল্ড ম্যাগাজিনের জরিপে সর্বকালের সেরা ১০০ গিটারিস্টের তালিকায় নাম আছে এই সংগীত তারকার।

ভ্যান ১৯৮১ সালে মার্কিন অভিনয়শিল্পী ও টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব ভ্যালেরি বার্টিনেল্লিকে বিয়ে করেন। এই দম্পতির সন্তান উলফ জন্ম নেন ১৯৯১ সালে। ২০০৭ সালে তাঁরা আলাদা হয়ে যান। ২০০৯ সালে ভ্যান জেনি লিসজিউস্কিকে বিয়ে করেন। ভ্যানের মৃত্যুতে তাঁর প্রথম স্ত্রী লেখেন, ‘ফুসফুস ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই চলাকালে, জীবনের সবচেয়ে কঠিন সময়ে তুমি যে মনোবল আর সাহস দেখিয়েছ, তা অনন্য। তুমি আমাদের জীবনের সেরা উপহার—আমাদের সন্তান উলফকে দিয়েছ। আমরা ভাগ্যবান যে তোমার জীবনের শেষ সময়ে আমরা পাশে থাকতে পেরেছি। পরের জীবনে নিশ্চয়ই আমাদের আবার দেখা হবে, প্রিয়। তুমিই আমার জীবনের ভালোবাসা।’

সর্বকালের সেরা ১০০ গিটারিস্টের তালিকায় নাম আছে এই তারকার
ইনস্টাগ্রাম