গানের আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় বিজয়ী দুই বাংলাদেশি

গানের আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় বিজয়ী দুই বাংলাদেশি পঙ্কজ ও পল্লবীকোলাজ

ইন্টারন্যাশনাল ওয়াটারকালার সোসাইটি (আইডাব্লিউএস) প্রথমবারের মতো বিশ্বব্যাপী একটি মৌলিক গানের প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে। সেই প্রতিযোগিতায় ১০০ দেশের শিল্পীদের সৃষ্টির মধ্যে সেরা দশে স্থান করে নিয়েছে বাংলাদেশের দুজন শিল্পীর তিনটি গান। পল্লবী মজুমদার দুটি গান জমা দিয়েছিলেন। তাঁর একটি তৃতীয় ও আরেকটি অষ্টম হয়েছে। জাহিদ বাশার পঙ্কজ একটি গানই জমা দিয়েছিলেন। ‘সেল্ফলেস লাভ’ শিরোনামের সেই গানটি দশম স্থান অধিকার করেছে। পল্লবী ও পঙ্কজ দুজনেই বাংলাদেশের সংগীতজগতের পরিচিত নাম।

পল্লবী মজুমদার দুটি গান জমা দিয়েছিলেন। তাঁর একটি তৃতীয় ও আরেকটি অষ্টম হয়েছে
ফেসবুক

কানাডা থেকে পল্লবী মজুমদার তাঁর অনুভূতি জানিয়ে এক ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘আমার গান বাংলাদেশের জন্য আন্তর্জাতিক সম্মান আর স্বীকৃতি আনায় আমি গর্বিত। আমি চাই, এই করোনাকালে পৃথিবীর সব মানুষ ভালো থাকুক। নিরাপদে থাকুক। আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন। আমি যেন আরও গান লিখে, সুর করে ও গেয়ে বাংলা ভাষার গানের ভান্ডারকে সমৃদ্ধ করতে পারি।’

জাহিদ বাশার পঙ্কজ একটি গানই জমা দিয়েছিলেন। ‘সেল্ফলেস লাভ’ শিরোনামের সেই গানটি দশম স্থান অধিকার করেছে।
সংগৃহীত

জাহিদ বাশার পঙ্কজ বলেন, ‘পরিশ্রমের ফল পেলাম। আমি খুবই খুশি। কম্পোজার ও মিউজিক ডিরেক্টর হিসেবে কাজের আত্মবিশ্বাস ও অনুপ্রেরণা বাড়িয়ে দিয়েছে এই পুরস্কার।’ এই আয়োজনের বাংলাদেশি বিচারক সানী জুবায়ের এই অর্জনের জন্য তাঁর অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন, ‘এটা বিশাল ব্যাপার। এই অর্জনকে খাটো করে দেখার কোনো সুযোগ নেই। আমাদের দেশে অনেক মেধাবী তরুণ শিল্পী আছেন। আমার বিশ্বাস, তাঁরা ভবিষ্যতে এই অর্জনের ধারাবাহিকতা বজায় রাখবেন। এই অর্জন বাংলাদেশি শিল্পীদের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির একটা নতুন অধ্যায়ের শুরু।’

১৬ বছরের ঊর্ধ্বে বিশ্বের ১০০টি দেশ থেকে একক ও দলগতভাবে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। গানের ভাষা ছিল ইংরেজি। একজন সর্বোচ্চ ৩টি গান জমা দিতে পারবেন। ‘শিল্পের মাধ্যমে ভালোবাসা’ স্লোগানের এই আয়োজনে গানের বিষয় ছিল ভালোবাসা, শান্তি, সমৃদ্ধি ও শক্তি। ১০ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিযোগীরা গান সাবমিট করেন। এরপর চলে বিচারকাজ। এতে কম্পোজিশনের দক্ষতার জন্য ৫০ নম্বর, লিরিকের জন্য ৩০ নম্বর, গাওয়ার স্টাইলের জন্য ১০ নম্বর এবং গানটির প্রভাবের ওপর ১০ নম্বর ধরা হয়।

ছিলেন দুই বাংলাদেশি বিচারক—সানী জুবায়ের ও আবিদ আনোয়ার।
সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, যুক্তরাজ্য, ইকুয়েডর, মেক্সিকো, রাশিয়া, ইউক্রেন, বুলগেরিয়া, হংকং, বলিভিয়া, পোল্যান্ড, মোনাকো, চীন, জাপান, তুরস্ক, কোস্টারিকা, ফিলিপাইন, হন্ডুরাস, কসোভো, আলবেনিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ইতালি, আজারবাইজান, মিসর, সুদান এবং বাংলাদেশের গুণীজনদের নিয়ে গঠিত হয় ৩২ সদস্যের এর জুরিবোর্ড।

তাঁদের মধ্যে ছিলেন দুই বাংলাদেশি বিচারক—সানী জুবায়ের ও আবিদ আনোয়ার। তবে প্রতিযোগিতার নিয়ম অনুযায়ী তাঁরা দেশের কোনো প্রতিযোগীকে ভোট দিতে পারেননি। করোনাকাল শেষ হলে কানাডায় অবস্থিত আইডাব্লিউএসের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত একটি জমকালো ইভেন্টে পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে বিজয়ীদের হাতে।
বাংলাদেশ ছাড়াও প্রতিযোগিতায় যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, হংকং, বুলগেরিয়া, বলিভিয়া, ইউক্রেন ও তুরস্কের প্রতিযোগীদের গান স্থান করে নেয় সেরা দশের তালিকায়।

সেই প্রতিযোগিতায় ১০০ দেশের শিল্পীদের সৃষ্টির মধ্যে সেরা দশে স্থান করে নিয়েছে বাংলাদেশের দুজন শিল্পীর তিনটি গান
সংগৃহীত