গানের প্রয়োজনেই নাকি বারবার প্রেমে পড়েন টেলর
বিশ্বসংগীতে টেলর সুইফটের সফলতার গোপন মন্ত্র কী? উত্তরে উঠে এসেছে, নতুন নতুন প্রেম। ৩১ বছর বয়সী এই সংগীত তারকার সবচেয়ে বিখ্যাত গানগুলো স্টুডিওতে তৈরি হয়েছে নতুন করে প্রেমে পড়ার সময়। একটি প্রেম ভেঙে যাওয়ার পরই নতুন করে প্রেমে পড়ার সময় অসাধারণ সব গান উপহার দিয়েছেন তিনি। ২০২০ সালে করোনাকালে যখন সারা বিশ্ব থেমে আছে, তখনই টেলর উপহার দিয়েছেন দুটি অ্যালবাম, ‘ফোকলোর’ ও ‘এভারমোর’। এর আগে কখনোই একই বছরে দশবার গ্র্যামিজয়ী এই শিল্পীর দুটো অ্যালবাম মুক্তি পায়নি। এ জন্য অনেকে বলেন, গানের প্রয়োজনেই নাকি বার বার প্রেমে পড়েন টেলর।
২০০৮ সালে টেইলর প্রথম প্রেম নিয়ে আলোচনায় আসেন জনপ্রিয় ব্যান্ড জোনাস ব্রাদার্সের জো জোনাসের সঙ্গে। এমটিভি মিউজিক ভিডিও অ্যাওয়ার্ড হাতে এই প্রেম স্বীকার করেছিলেন টেইলর। তিনি বলেছিলেন, ‘জো একজন দুর্দান্ত মানুষ। যে নারী তাঁর সঙ্গে প্রেম করতে পেরেছেন, তিনি সত্যিই ভাগ্যবান।’ বলা হয়ে থাকে ‘ফিয়ারলেস’ ও ‘ফরএভার অ্যান্ড অলওয়েজ’ গান দুটি সৃষ্টির অনুপ্রেরণা ছিলেন জো। তারপর টেলর সুইফট প্রেম করেছেন টোয়ালাইটখ্যাত টেলর লটনারের সঙ্গে। এরপর তিনি প্রেমের তরীতে ভেসেছেন মার্কিন সংগীত তারকা জন মায়েরের সঙ্গে। সেই প্রেমে অনুপ্রাণিত হয়ে তৈরি হয় ‘জন ডিয়ার’ গানটি। যদিও সেই প্রেমও টেকেনি বেশি দিন। এরপর কোরি মনটেইথ আর জেক জিলেনহালের সঙ্গে চুটিয়ে প্রেম করেছেন টেলর সুইফট। ২০১২ সালে তিনি প্রেম করেছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডির পৌত্রের সঙ্গে। তারপর প্রেম করেন ব্রিটিশ সংগীত তারকা হ্যারি স্টাইলসের সঙ্গে। কেভিন হ্যারিস, টম হিডলস্টন, জো অ্যালউইন, জসুয়া বাসেট—টেলর সুইফটের প্রেমিকদের নামের তালিকা বেশ দীর্ঘ। প্রেমের তালিকা যেহেতু দীর্ঘ, তাই গানের হিটের তালিকাও দীর্ঘ এই সংগীতশিল্পীর।
এই মুহূর্তে হয়তো নতুন প্রেমিক খুঁজে পাচ্ছেন না টেলর। না হলে জো অ্যালউইনের সঙ্গে ভেঙে যাওয়া প্রেম আবার জোড়া লাগে! ফোর্বস সাময়িকীর তথ্যমতে, ২০২১ সালে গ্র্যামির ছয়টি মনোনয়ন থেকে একাধিক পুরস্কার উঠতে পারে এই ‘উইলো’ তারকার হাতে। জড়ো হয়ে গেছে তাঁর বেশ কিছু নতুন গান। এসব গান নিয়ে ওয়ার্ল্ড ট্যুর করতেও বের হতে পারেন টেলর সুইফট।