গীতিকবিদের আর্থিক অধিকার আদায়ে কাজ করবে সংঘ

গীতিকবিদের নৈতিক ও আর্থিক অধিকার আদায়ে গীতিকবি সংঘের সাংগঠনিক অবস্থান, সংগীতাঙ্গনে বিরাজমান অস্থিরতা ও সংক্ষুব্ধতা নিরসনে সংঘের ভূমিকা ও অবস্থান, সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে পারস্পরিক আস্থার পরিবেশ তৈরির প্রচেষ্টা, কপিরাইট আইনের নানা দিকসহ গীতিকবিদের অপ্রাপ্তি নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়।

জাফর রাজা চৌধুরীর হাতে প্রস্তাবনাপত্র তুলে দিচ্ছেন গীতিকবিরাসংগৃহীত

কপিরাইট আইন সংশোধনে বাংলাদেশ কপিরাইট অফিসে চিঠি দিয়েছে গীতিকারদের সংগঠন গীতিকবি সংঘ। ১০ প্রস্তাব দিয়ে এই চিঠি দিয়েছে গীতিকবি সংঘের প্রতিনিধিদল। গত রোববার সন্ধ্যায় কপিরাইট রেজিস্ট্রার জাফর রাজা চৌধুরীর সঙ্গে গীতিকবি সংঘ সমন্বয় কমিটির চার সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল সৌজন্য সাক্ষাৎ করে এই চিঠি হস্তান্তর করেন।

গীতিকবিদের নৈতিক ও আর্থিক অধিকার আদায়ে গীতিকবি সংঘের সাংগঠনিক অবস্থান, সংগীতাঙ্গনে বিরাজমান অস্থিরতা ও সংক্ষুব্ধতা নিরসনে সংঘের ভূমিকা ও অবস্থান, সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে পারস্পরিক আস্থার পরিবেশ তৈরির প্রচেষ্টা, কপিরাইট আইনের নানা দিকসহ গীতিকবিদের অপ্রাপ্তি নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়। আলোচনায় কপিরাইট ডেপুটি রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ রায়হানুল হারুনও অংশ নেন। প্রতিনিধিদলে ছিলেন গীতিকবি হাসান মতিউর রহমান, আসিফ ইকবাল, কবির বকুল ও জুলফিকার রাসেল।

কপিরাইট অফিসে সভা করেন গীতিকবিরা
সংগৃহীত

সংঘের অন্যতম একজন সদস্য জানান, আলোচনা সভায় কপিরাইট আইনে গীতিকবিসহ সব সুরকার, কণ্ঠশিল্পী, যন্ত্রশিল্পী, প্রযোজক ও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের ন্যায্য স্বার্থ রক্ষার বিষয়ে বিস্তারিত আলাপ হয়। লিখিত আকারে দেওয়া হয় ১০টি প্রস্তাব।

জাফর রাজা চৌধুরী কপিরাইট আইন নিয়ে গীতিকবি সংঘের এমন আগ্রহ ও পর্যালোচনার প্রশংসা করেন। সংগীতাঙ্গনে গীতিকবিসহ সব পক্ষের স্বার্থ নিশ্চিতকরণে কার্যকর ভূমিকা রাখার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।

বাংলাদেশের সংগীতাঙ্গনে গেল ৪৯ বছরেও গড়ে ওঠেনি সর্বস্তরের কোনো সংগঠন। এ নিয়ে সংগীতস্রষ্টাদের মধ্যে রয়েছে হতাশা। কারণ অধিকার নিয়ে কথা বলার কেউ নেই, নেই কোনো প্ল্যাটফর্ম। সেটি কাটিয়ে তোলার লক্ষ্যে চলমান করোনাকাল উপেক্ষা করে জোটবদ্ধ হন দেশের সর্বস্তরের গীতিকবিরা। অন্তর্জালে কয়েক দফা বৈঠক শেষে গত ২৪ জুলাই গঠন করা হয় ‘গীতিকবি সংঘ, বাংলাদেশ’ নামের সংগঠন।

গীতিকবিদের স্বার্থ সংরক্ষণের লক্ষ্যে সংগঠনটি গেল এক মাসে বেশ কয়েকটি উদ্যোগ নিয়েছে। সংগঠনটির সমন্বয় কমিটির প্রধান শহীদ মাহমুদ জঙ্গী আগেই বলেছেন, ‌‘গীতিকবিদের নৈতিক ও আর্থিক অধিকারের দাবিকে সামনে রেখে বাংলা সংগীতের সৃজনশীল উৎকর্ষের জন্য এই সংগঠন কাজ করবে নিরলস।’