চরকিতে মুক্তি পেয়েছে অর্ণবের ‘আধখানা ভালো ছেলে আধা মস্তান’

মুক্তি পেয়েছে সংগীতশিল্পী অর্ণবকে নিয়ে নির্মিত আবরার আতহার পরিচালিত চরকির মিউজিক্যাল ফিল্ম ‘আধখানা ভালো ছেলে আধা মস্তান’

‘অর্ণবদার জন্য তিন দিন আগে থেকে সাবস্ক্রিপশন নিয়ে রাখছি।’ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম চরকির পেজে এমনটাই মন্তব্য করেছেন সৌমিক পাল। তাহমিদ আলভী লিখেছেন, ‘কখন মুক্তি পাবে? আর অপেক্ষা করতে পারছি না যে!’ সৌমিক, তাহমিদদের অপেক্ষার অবসান হলো শুক্রবার রাতে। অবশেষে মুক্তি পেয়েছে সংগীতশিল্পী অর্ণবকে নিয়ে নির্মিত আবরার আতহার পরিচালিত চরকির মিউজিক্যাল ফিল্ম ‘আধখানা ভালো ছেলে আধা মস্তান’।
নানা কারণে মিউজিক্যাল ফিল্মটির প্রতি দর্শকের আগ্রহ তৈরি হয়েছে। ‘আধখানা ভালো ছেলে আধা মস্তান’ ছবিতে আছে অর্ণবের গাওয়া জনপ্রিয় ‘রাস্তায়’, ‘আধখানা’, ‘চাই না ভাবিস’, ‘সে যে বসে আছে’, ‘হারিয়ে গেছি’সহ ১২টি গানের নতুন সংগীতায়োজন।

সেই সঙ্গে জানা যাবে অর্ণবের জীবনের কিছু অজানা গল্প, যা শোনাবেন খোদ অর্ণব ও তাঁর কাছের মানুষেরা। সংগীতশিল্পী অর্ণবের প্রতি দর্শক–শ্রোতাদের আগ্রহ আগেই ছিল। তাঁর বেশ কিছু গান জনপ্রিয়তা পেয়েছে। দর্শকেরা অপেক্ষা করছিলেন, পর্দায় কেমন করেছেন তাঁদের প্রিয় শিল্পী। ছবিটি মুক্তির পর এক অজানা অর্ণবকে দেখতে পাচ্ছেন দর্শক।

গায়ক ও সংগীত পরিচালক অর্ণব

জানা গেছে, নির্মাতা আবরার আতহার এ বছরের শুরুর দিকে এই ছবির কাজ শুরু করেন। ঢাকা, মুন্সিগঞ্জ ও কক্সবাজারে এর শুটিং হয়। অর্ণবের সঙ্গে মিউজিক্যাল ফিল্মটিতে দেখা যাবে তাঁর পরিবার ও বন্ধুদের। গানের অংশগুলোয় অর্ণবের সঙ্গে বাজাবেন তাঁর অর্ণব অ্যান্ড ফ্রেন্ডস গানের দলের সদস্যরা।
চরকির এই মিউজিক্যাল ফিল্মের শুটিং শুরুর সময় থেকেই আলোচনা শুরু হয় ‘আধখানা ভালো ছেলে আধা মস্তান’ নিয়ে।

চরকির এই ভিন্নধর্মী প্রযোজনা নিয়ে প্ল্যাটফর্মের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা রেদওয়ান রনি বলেন, অর্ণব সবার প্রিয় একটি নাম। অর্ণবের গানের সঙ্গে বাঙালি শ্রোতাদের অনেক অনেক আবেগ আর স্মৃতি জড়িয়ে আছে। চরকি দর্শকদের বৈচিত্র্যপূর্ণ কনটেন্ট দেওয়ার ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এর ধারাবাহিকতায়ই অর্ণবকে নিয়ে আবরার আতহারের এই ছবি সবার সামনে নিয়ে আসা।

আবরার আতহার

নির্মাতা আবরার আতহার বলেন, ‘“আধখানা ভালো ছেলে আধা মস্তান” ফিল্মে এক শিল্পীর জীবনের দ্বৈত রূপের মধ্য থেকে নিজের সত্তা খুঁজে বের করার গল্প দেখানো হয়েছে। এখানে আমার আর অর্ণবের কথোপকথনের মধ্য দিয়ে জীবনের অনেক দোটানা আর দ্বিধার কথা উঠে এসেছে। মূলত, আমরা সবাই আধখানা ভালো, আধা মস্তান—এই দুই সত্তার মধ্যে বাঁধা। এই ফিল্ম আমার ও অর্ণবের আত্মোপলব্ধির যাত্রা। আশা করি, সবাই এর মধ্যে নিজ জীবনের প্রেম, বিচ্ছেদ আর দোটানা খুঁজে পাবেন।’

প্রথম আলোকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অর্ণব বলেন, ‘এ ধরনের চলচ্চিত্রে সম্পাদনা তো খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এটা দিয়ে গল্পটা দাঁড়ায়। পরিকল্পনা ছিল একটা মিউজিক্যাল শো করা, যেটাতে আমি পারফর্ম করব। নতুন-পুরোনো গান থাকবে, গানের পেছনের গল্প বলব। কিন্তু সে কিছু কিছু জায়গায় আমার গানের সঙ্গে এমন কিছু বিষয় যুক্ত করেছে, ওসব বাড়তি ইমোশন তৈরি করছে। একটা সুন্দর জার্নি তৈরি হয়েছে, ইট ওয়াজ আ ব্রিলিয়ান্ট জব। আর মজার ব্যাপার হচ্ছে, এই চলচ্চিত্রে আমার আম্মু ও আব্বু দুজনই ছিলেন। আমাকে নিয়ে কথা বলছেন। আব্বু তো বরাবরের মতো আমাকে পচাইছে। আব্বু জীবনে কোথাও যান না, এটাতে লাকিলি তাঁকে পাওয়া গেছে।’