জন্মদিনে জানালেন, ফিরবেন হাসান

মঞ্চে হাসান (পুরোনো ছবি)
ছবি : ফেসবুক

কিছুটা থমকে ছিলেন হাসান। করোনা মহামারি তাঁকে দিয়েছে আরও কিছুটা স্থবিরতা। কিন্তু এ স্থবিরতায় শক্তি সঞ্চয় করে নতুন উদ্যমে ফিরবেন ব্যান্ড তারকা হাসান। নব্বই দশকের অন্যতম জনপ্রিয় গানের দল ‘আর্ক’–এর ভোকালিস্ট হাসানের আজ জন্মদিন।
১৯৯৬ সালে ভোকালিস্ট হিসেবে ‘আর্ক’-এ যোগ দেন হাসান। সে বছর প্রকাশিত হয় দলটির অ্যালবাম তাজমহল। দারুণ জনপ্রিয় হয় গানগুলো। ২০০১ সালে মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কারে ‘তাল’ গানের জন্য সেরা শিল্পী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছিলেন তিনি। ২০০২ সালে ‘আর্ক’ ছেড়ে ‘স্বাধীনতা’ নামে একটি গানের দল গঠন করেন তিনি। ২০১০ সালের শেষে আবারও ফেরেন আর্কে। দলটির জন্মভূমি অ্যালবামটি তাদের নিয়ে যায় জনপ্রিয়তার এক অন্য স্তরে।

৯৯৬ সালে ভোকালিস্ট হিসেবে ‘আর্ক’-এ যোগ দেন হাসান

তখনকার স্মৃতি স্মরণ করিয়ে দিতেই হাসান বলেন, ‘ওই সময়টা ছিল বাংলা ব্যান্ডসংগীতের স্বর্ণযুগ। শুধু আমি কেন, ওই সময়টাকে বাংলাদেশের সব মিউজিশিয়ান মিস করে।’ বেশ পরিণত বয়সেই গান শুরু করেছিলেন হাসান। তার আগে টুকটাক অভিনয়, লেখালেখি, আবৃত্তি করতেন। স্কুলের শেষ দিকে গানের প্রতি হঠাৎ তীব্র আকর্ষণ অনুভব করেন তিনি।

বুলবুল ললিতকলা একাডেমিতে করে নেন ডিপ্লোমা কোর্স। তখন থেকেই বিভিন্ন ইংরেজি গান কাভার করতেন তিনি, যেসবের ছোঁয়া পাওয়া গিয়েছিল তাঁর কণ্ঠে। সংগীতজীবনে যদি কাউকে কৃতজ্ঞতা জানাতে হয়, তাহলে পশ্চিমা শিল্পীদেরই জানাবেন তিনি। হাসান বলেন, ‘মাইকেল জ্যাকসনদের মতো শিল্পীদের গান শুনেই আমরা অনুপ্রাণিত হতাম। আমাদের এখানে তো ব্যান্ডসংগীতের তেমন কিছু ছিল না।’

হাসান
ছবি : প্রথম আলো

গান নিয়ে নতুন সব পরিকল্পনা করছেন হাসান। নতুন করে ফেরার জন্য নিচ্ছেন বিশেষ প্রস্তুতিও। জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘নিজের মতো করে গোছাচ্ছি। ফিরতে চাই। গান নিয়ে আমার নিজের নানা রকম প্রস্তুতি ও পরিকল্পনা রয়েছে।’ নিয়ম করে নতুনদের গানও শোনেন হাসান। তরুণ ব্যান্ডগুলোর প্রতি বিশেষভাবে অনুরক্ত তিনি। নব্বই দশকের ব্যান্ডসংগীতের সেই ধারাকে এগিয়ে নিতে যাঁরা চর্চা চালিয়ে যাচ্ছেন, তাঁদের অভিবাদন জানিয়েছেন হাসান।

হাসানের জন্ম চট্টগ্রামের হালিশহরে। স্ত্রী-কন্যাকে নিয়ে তিনি এখন বাস করছেন ঢাকায়। জন্মদিন কীভাবে কাটবে? জানতে চাইলে হাসান বলেন, ‘সবকিছু স্থবির। এখন কি আর জন্মদিন উদ্‌যাপন করার পরিবেশ আছে? বাড়িতে আছি, পরিবারের সবাই মিলে স্বাভাবিক নিয়মেই দিনটি কাটাচ্ছি। পৃথিবী ঠিকঠাক হয়ে গেলে হয়তো আবার ঘটা করে উদ্‌যাপন করব।’