জলের গানের ডাক সাড়া ফেলল

ঘড়ির কাঁটা সংকেত দেবে সাতটা বাজার, ঠিক যেন এই অপেক্ষাতেই ছিলেন জলের গানের সদস্যরা। যানজটে নাকাল এই শহরে যখন কেউ সময় মেনে কাজ করার প্রতিশ্রুতি রাখতে পারে না, তখন ঠিক সন্ধ্যা সাতটায় গানের আয়োজনের সূচনা করে প্রথমেই চমকে দিলেন তাঁরা। এভাবেই দেশের বন্যাদুর্গত মানুষের সাহায্যার্থে আয়োজিত জলের গানের কনসার্টের শুরু হলো গত বুধবার বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে। চিত্রশালা মিলনায়তনের প্রায় ৮০ ভাগ ছিল দর্শকপূর্ণ।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই গানের দলটির সদস্য রাহুল আনন্দ মঞ্চে ওঠেন। সাতটা বাজার সঙ্গে সঙ্গে সবাইকে স্বাগত জানিয়ে রাহুল শোনান ‘জলের গান ফ্যান ক্লাব’-এর মহতী উদ্যোগের কথা। তিনি বলেন, এর আগেও জলের গানের একদল ভক্তের গড়া ফ্যান ক্লাবটি অনেক মানবিক কাজের অংশ হয়েছে। দুবার সাহায্য পাঠিয়েছে বন্যাদুর্গত এলাকায়। এবার বন্যা–পরবর্তী সময়ে দুর্গত এলাকার মানুষদের সাহায্যের জন্যই এ আয়োজন করেছেন তাঁরা। এবার গানের আসর থেকে ওঠানো অর্থ পাঠানো হবে দেশের কুড়িগ্রাম অঞ্চলে। সেখানকার বন্যাদুর্গত মানুষের খাদ্য, চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের জন্য সেই অর্থ ব্যয় হবে।

উদ্যোগের বিস্তারিত জানানোর পর রাহুল ঘোষণা করেন, তাঁরা একা নন, তাঁদেরই গান শুনে বড় হওয়া কয়েকজন তরুণের গড়া গানের দল চিত্রপটও এ আসরে গান করবে। কিশোর-তরুণদের সেই দলের সাহস জোগাতে একসময় মঞ্চে তাঁদের সুরে সুর মেলান জলের গানের কণক ও জার্নাল। চিত্রপট পরিবেশন করে পাঁচটি গান।
এরপর মঞ্চে ওঠেন জলের গানের সদস্যরা। তাঁদের পরিবেশনার এক ফাঁকে শিল্পীরা ধন্যবাদ জানান কনসার্টে গান শুনতে আসা অতিথি স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমানকে। প্রতিমন্ত্রীও মঞ্চে উঠে জলের গানের ভক্তদের এই মানবিক উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান।

বন্যাদুর্গত লোকজনের জন্য গান গাওয়ার পাশাপাশি সদ্যপ্রয়াত বাউলশিল্পী রব ফকিরকেও একটি গান উৎসর্গ করে জলের গান।