জ্বর, শরীরব্যাথা, শ্বাসকষ্ট কিছুই নেই: ফরিদা পারভীন

ফরিদা পারভীন
খালেদ সরকার

জ্বর ও খুসখুসে কাশির সমস্যা গত মাসের শেষ থেকেই অনুভব করছিলেন। করোনার উপসর্গ ভেবে একাধিকবার করোনার টেস্টও করান। দুবারই ফলাফল নেগেটিভ আসে দেশবরেণ্য লালনসংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীনের। সর্বশেষ ৭ এপ্রিলের পরীক্ষায় তাঁর করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে। এর ঠিক তিন দিন আগে তাঁর স্বামী বংশীবাদক গাজী আবদুল হাকিমের করোনায় আক্রান্তের খবর জানা যায়। ফরিদা পারভীনের চিকিৎসা তাঁর বাসা থেকে চললেও শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভোগার কারণে গাজী আবদুল হাকিমকে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে। দুজনের সঙ্গে আজ রোববার দুপুরে কথা হলে তাঁরা এসব জানান।

ফরিদা পারভীন বলেন, ‘দুদিন আগেও খুব কষ্ট পাচ্ছিলাম। এখন তেমনটা হচ্ছে না। গতকাল থেকে কিছুটা ভালো লাগছে। সব ধরনের পরীক্ষা–নিরীক্ষা করা হয়েছে। আপাতত কোনো সমস্যা পাওয়া যায়নি। খাওয়াদাওয়া করতে পারছি। স্যুপ খেতে বেশি ভালো লাগছে। জ্বর, শরীরব্যাথা, শ্বাসকষ্ট—এসব কিছুই নেই।’ তবে আবদুল হাকিমের শ্বাসকষ্টের সমস্যা হচ্ছিল, তাই দেরি না করে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তাঁকে অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছে। সপ্তাহখানেক ধরেই তিনি হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

১৯৫৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর নাটোর জেলার সিংড়া থানার শাওল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন ফরিদা পারভীন। জন্ম নাটোরে হলেও বড় হয়েছেন কুষ্টিয়ায়। ১৯৬৮ সালে রাজশাহী বেতারের তালিকাভুক্ত শিল্পী হিসেবে নজরুলসংগীত গাইতে শুরু করেন। পরবর্তীকালে ১৯৭৩ সালের দিকে দেশাত্মবোধক গান গেয়ে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। সাধক মোকসেদ আলী শাহের কাছে ফরিদা পারভীন লালনসংগীতে তালিম নেন।

বাঁশিশিল্পী গাজী আবদুল হাকিম। ছবি: প্রথম আলো

দেশের প্রথিতযশা বংশীবাদক গাজী আবদুল হাকিম দীর্ঘ ৫৬ বছর বাঁশি দিয়েই মন জয় করে চলেছেন দেশ-বিদেশের অগণিত মানুষের। দেশ-বিদেশে তাঁর ২৫টির মতো বাঁশির অডিও অ্যালবাম প্রকাশ পেয়েছে।